কবর থেকে ভোট দিয়েছে ১৭ লাখ মৃত ভোটার: সিইসি
Published: 24th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সুন্দর ভোটের জন্য ভোটার লিস্ট স্বচ্ছ করা দরকার। অথচ ভোটার তালিকায় প্রায় ১৭ লাখ মৃত ভোটার। ওরাই কবর থেকে এসে ভোট দিয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইটিআই ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন ডেমোক্রেসি-আরএফইডির নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও বিদায়ী কমিটির বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নাসির উদ্দিন বলেছেন, ভাবা যায় কবরবাসীও ভোট দিতো। এই মৃত ভোটারের ব্যাপারটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। অন্যদিকে ৩৬ লাখ ভোটার হতে পারে, কিন্তু তাদের করা হয়নি। এগুলো বাদ পড়ে যেত।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোতে সঠিক ভোট হয়। যদি সাংবাদিক সংগঠনগুলোর মতো নির্বাচন করতে পারতাম, ভালো হতো। সাংবাদিকদের সংগঠনের ভোটে কোনো ঝামেলা নাই, কোনো কারচুপি নাই, অভিযোগও নাই। আমরা অবাধ তথ্য প্রবাহ চাই।
এ সময় সিইসি আগামী নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা জোরেশোরে প্রস্তুতি শুরু করেছি। এক্ষেত্রে সরকার থেকে ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। জুনে তো করা যাবে না। করলে হয়তো এপ্রিলে করতে হবে। তবে আমরা মিনিমাম সময় ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সরকার ঐকমত্য কমিশন করেছে, যার মেয়াদ ছয় মাস। তাহলে মিনিমাম সংস্কার যদি হয়, তবে ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হবে। আর ডিসেম্বরে করতে হলে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এখন ভোটার তালিকাসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ভোটার তালিকা যদি সুষ্ঠুভাবে না হয়, তাহলে তো আগের মতোই কবর থেকে এসে ভোট দিয়ে যাবে।
সিইসি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের ঠেকানোর চেষ্টা করছি। স্থানীয় অনেকে রোহিঙ্গা হয়েছে রিলিফের আশায়। স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে। অনেক সময় স্বামী রোহিঙ্গা, স্ত্রী বাংলাদেশি। আবার স্ত্রী বাংলাদেশি, স্বামী রোহিঙ্গা। এমন তথ্য আমরা পাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমেদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্র সংগঠনগুলো ধীরে না চললে ছাত্রলীগের পরিণতি
সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। শনিবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভায় কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, বর্তমানে ক্যাম্পাসগুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে। আমরা ছাত্র সংগঠনগুলোকে বলব, ধীরে চলুন, না হলে আপনাদের অবস্থা ছাত্রলীগের মতো হবে। যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল, খুনিদের সহযোগী ছিল, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই, তাদের একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে নিয়ে আসতে হবে। তারা যদি ক্ষমা না চায়, তাহলে বাংলাদেশে তাদের জায়গা হবে না। আগামী নির্বাচনের ব্যালট পেপার সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং লড়াই করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) রোকন উদ্দিন, মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) মেহেদী হাসান, গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) মো. খালেদ হোসাইন, ক্যাপ্টেন (অব.) শুভ আফ্রিদি প্রমুখ। জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ছাড়াও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, আপনারা সন্ত্রাসী এবং দখলদারিত্ব সমর্থন করবেন? ক্ষমতার অপব্যবহার সমর্থন করবেন? খুনি শেখ হাসিনা একা গিয়েছে। কিন্তু তার যে চর্চা ১৬ বছরের, তা রয়ে গেছে। ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করতে হবে।
সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, আমাদের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পরিবারগুলোতে ১ কোটির বেশি ভোটার রয়েছেন। আগামী নির্বাচনে এ ভোটাররা আমাদের রিজার্ভ হিসেবে থাকবেন। ইতোমধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে এ বিষয়ে একমত হয়েছি। বিএনপিরও অনেকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।