গাইবান্ধায় ‌অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযান চালিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে গাইবান্ধা শহর থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে জেলা শহরের ১ নং রেলগেট এলাকা থেকে মাসুদ রানাকে এবং হাসপাতাল রোডের বাড়ি থেকে তানভীর আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় মামলা

নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার মাসুদ রানা (৫০) গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক এবং শহরের খানকা শরীফের মৃত মোখলেছার রহমানের ছেলে। খন্দকার তানভীর আহমেদ (৩০) নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গাইবান্ধা জেলা শাখার সহ-সভাপতি এবং সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারোয়ারের ভাগ্নে। তিনি শহরের সদর হাসপাতাল রোডের খোকা মিয়ার ছেলে। 

ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, “অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে গতকাল রাতে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুইজনই এজাহারভুক্ত মামলার আসামি। আজ তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।” 

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো হামাস

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। হামাস জানিয়েছে, অবিলম্বে তারা এমন একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত যেখানে যুদ্ধের অবসান এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে বাকি সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

এক ভিডিও বিবৃতিতে হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া বলেছেন, “আমরা (ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক এজেন্ডা পূরণের আংশিক চুক্তি গ্রহণ করব না।”

হামাসের কাছে এখনো ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ প্রস্তাবে ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

খলিল আল-হায়া বলেছেন, “সব বন্দিকে বলি দিয়ে হলেও নির্মূল ও অনাহারের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার উপর ভিত্তি করে নেতানিয়াহু এবং তার সরকার তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার আবরণ হিসেবে আংশিক চুক্তিকে ব্যবহার করে।”

তিনি আরো বলেন,  হামাস ‘ইসরায়েলের হাতে বন্দি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনির বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবিলম্বে একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত’ এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রস্তুত।

হামাস এর আগে জানিয়েছিল, তারা যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি সামগ্রিক চুক্তির কথা বিবেচনা করবে।

হামাসের এই ঘোষণার পর অতিডানপন্থী ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানিয়েছেন, হামাসের উপর ‘নরকের দরজা খুলে দেওয়ার’ সময় এসেছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ