একটা গোষ্ঠী চাচ্ছে না, আমরা স্থিতিশীল হই: আইজিপি
Published: 24th, February 2025 GMT
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রশ্নে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ‘‘একটা গোষ্ঠী চাচ্ছে না, আমরা স্থিতিশীল হই। তারা চেষ্টা করছে। এটা তো খুব স্বাভাবিক বিষয়। এটার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।’’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজশাহী পিটিআইয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘‘শুধু গতরাতে না, আগের রাতেও বেশ কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা র্যাব, এন্টিটেরোরিজম ইউনিট ও ডিএমপি যৌথভাবে একটা পেট্রোল প্রোগ্রাম নিয়েছে। এভাবে দেখি উন্নতি হয় কিনা, তা না হলে অন্য স্টেপ নিতে হবে।’’
এ সময় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা আমদেরকে জানান। আমরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও তথ্য পাচ্ছি। আশা করি, পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’’
অপারেশন ডেভিল হান্টে বড় অপরাধী না ধরা পড়ার বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘‘কারা ধরা পড়ছে দেখেন। চোরাকারবারি, মাদক কারবারিরা ধরা পড়ছে। বিশেষ করে জেলা পর্যায়ে।’’
পরে পিটিআই মিলনায়তনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক এক কর্মশালায় যোগ দেন পুলিশ প্রধান।
ঢাকা/কেয়া/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর স থ ত আইজ প
এছাড়াও পড়ুন:
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়ে রাবিতে গায়েবানা জানাযা
দেশব্যাপী আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী ও ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে তার গায়েবানা জানাযা আদায় করেন তারা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনের জোহা চত্বরে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন তারা।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীদের ‘ধর্ষকদের আস্তানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আমার মাটি আমার মা, ধর্ষকদের দিবো না’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’, ‘আমরা আছি থাকব, যুগে যুগে লড়ব’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদি মারুফ বলেন, “আপনারা যদি কাজ করতে না পারেন, তাহলে আমরা এ ধরনের এনজিও মার্কা সরকার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সরকার চাই না। দেশের জন্য একটা ইনক্লিউসিভ সরকার গঠন করুন। যদি আপনারা তা করতে ব্যর্থ হন, তবে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। প্রয়োজনে ছাত্র সমাজ দায়িত্ব গ্রহণ করবে। আমরা যেমন ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে তাড়াতে পেরেছি, আপনাদের সরাতেও বেশি সময় লাগবে না।”
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্রসনজিৎ সরকার বলেন, “দেশে এক ধরনের অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কোন কাজই আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তিনি কাঠের পুতুলের মতো গদিতে বসে আছেন। আমাদের সাধারণ মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই। কিন্তু তিনি গতকাল রাতে সংবাদ সম্মেলনে এসে শিশুসুলভ কথাবার্তা বলেছেন। আমরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই।”
ফার্সি ভাষা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াজেদ শিশির বলেন, “ছাত্র জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। অন্তর্বতী সরকার গঠিত হয়েছিল দেশের আইনশৃঙ্খলাসহ সব মন্ত্রণালয়ের সংস্কার করার জন্য। কিন্তু আমরা তার বিপরীত দিকটা দেখতে পাচ্ছি। ছিনতাই, ধর্ষণ এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কোন পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলে দিতে চাই, এ গদি তার বাবার না। তিনি যদি তার দায়িত্ব পালন করতে না পারেন, তাহলে ছাত্র-জনতার উপর ছেড়ে দেন।”
আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, “যেই নারীরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছাত্রদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেই নারীদের ধর্ষকরা ধর্ষণ করে পালিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা চোখ বুজে বসে আছি। আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলী চেয়ারে বসে আমাদের সুশীলগিরী দেখায়। সুশীলগিরীর দিন শেষ, বিচার চায় বাংলাদেশ।”
পরে শিক্ষার্থীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাযা আদায় করে প্রতিবাদী কর্মসূচি শেষ করেন।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী