দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রশ্নে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ‘‘একটা গোষ্ঠী চাচ্ছে না, আমরা স্থিতিশীল হই। তারা চেষ্টা করছে। এটা তো খুব স্বাভাবিক বিষয়। এটার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।’’

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজশাহী পিটিআইয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘‘শুধু গতরাতে না, আগের রাতেও বেশ কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা র‌্যাব, এন্টিটেরোরিজম ইউনিট ও ডিএমপি যৌথভাবে একটা পেট্রোল প্রোগ্রাম নিয়েছে। এভাবে দেখি উন্নতি হয় কিনা, তা না হলে অন্য স্টেপ নিতে হবে।’’

এ সময় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা আমদেরকে জানান। আমরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও তথ্য পাচ্ছি। আশা করি, পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’’

অপারেশন ডেভিল হান্টে বড় অপরাধী না ধরা পড়ার বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘‘কারা ধরা পড়ছে দেখেন। চোরাকারবারি, মাদক কারবারিরা ধরা পড়ছে। বিশেষ করে জেলা পর্যায়ে।’’

পরে পিটিআই মিলনায়তনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক এক কর্মশালায় যোগ দেন পুলিশ প্রধান।

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর স থ ত আইজ প

এছাড়াও পড়ুন:

বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের ভুখা মিছিল

শ্রমিকদের পাওনা মজুরি ও বোনাস নিয়ে শ্রম উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বাসন হাতে ভুখা মিছিল করেছেন টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শ্রম ভবনের সামনে থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা। মিছিলটি শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে নয়াপল্টন হয়ে জিরো পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে আবারও শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। দাবি মেনে না নেওয়া হলে আজ শনিবার দুপুর থেকে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি ও বিকেল ৪টায় গণমিছিল করারও ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা। গত ২৩ মার্চ থেকে বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। 

এর আগে সকালে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাপারেলস প্লাস ইকো লিমিটেডের শ্রমিক সফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ নিয়ে শ্রম উপদেষ্টা চরম মিথ্যাচার করেছেন। তাই আমরা আবারও রাজপথে নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না।

শ্রমিক নেতারা বলেন, শ্রম সচিব আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আমাদের নেতারা দফায় দফায় ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। অথচ তাঁর সরবরাহ করা তথ্য দিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে শ্রম উপদেষ্টা সংবাদ ব্রিফিংয়ে দাবি করেন, মালিকপক্ষ নাকি গাড়ি বিক্রি করে আমাদের পাওনা পরিশোধ করেছে। 
সংবাদ সম্মেলনে গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন, গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস-টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, সোয়েটার গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনে, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি, শ্রমজীবী আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা রাস্তায় আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও পুরোনো জমানার মতো শ্রমিকরা নিষ্ঠুরতার শিকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ