ভারতের বিপক্ষে হারের পর পাকিস্তানের বোলারদের কঠোর সমালোচনা করেছেন সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বোলিং গড় ওমান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও খারাপ! অন্যদিকে, দলের পরিকল্পনার অভাব নিয়ে ম্যানেজমেন্টকে ‘নির্বোধ’ বলেছেন আরেক সাবেক পেসার শোয়েব আখতার।

রোববার হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের ব্যাটিং ছিল হতাশাজনক। মাত্র ২৪১ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। জবাবে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি ও শ্রেয়াস আইয়ারের অর্ধশতকে সহজেই জয় তুলে নেয় ভারত। পাকিস্তানের বোলাররা কার্যকরী পারফরম্যান্স দেখাতে ব্যর্থ হন। শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহ কেউই ভারতীয় ব্যাটারদের ভীতিতে ফেলতে পারেননি।

পাকিস্তানের বোলিং নিয়ে ক্ষুব্ধ আকরাম বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে! আপনারা তাদের তারকা বানিয়েছেন। অথচ, শেষ পাঁচ ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বোলাররা প্রতি উইকেটে ৬০ গড়ে মাত্র ২৪টি উইকেট নিতে পেরেছে। আমাদের বোলিং গড় ওমান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও খারাপ! ওয়ানডে খেলা ১৪টি দলের মধ্যে পাকিস্তানের বোলিং গড় দ্বিতীয় সবচেয়ে বাজে।’

অন্যদিকে, পাকিস্তানি ব্যাটারদের ধীরগতির ব্যাটিং নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন আকরাম। তিনি দলে বড় পরিবর্তনের পক্ষে, ‘শেষ কয়েক বছর ধরে পাকিস্তান ওয়ানডেতে পরাজিতই হচ্ছে। এখনই সময় কঠোর ও সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার। ভয়ডরহীন ক্রিকেটারদের আনুন, তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করুন। প্রয়োজন হলে পাঁচ-ছয়টি পরিবর্তন করুন।’

এদিকে, পাকিস্তানের হারের জন্য দলীয় ম্যানেজমেন্টকে দায়ী করেছেন শোয়েব আখতার। তিনি বলেন, ‘আমি মোটেও হতাশ নই, কারণ আমি আগেই জানতাম কী হবে! পুরো বিশ্ব ছয়জন বোলার নিয়ে খেলে, অথচ পাকিস্তান একাদশে পাঁচজন বোলারও রাখতে পারেনি! দুই অলরাউন্ডার নিয়ে খেলতে নেমেছে। এটা পুরোপুরি নির্বোধ ম্যানেজমেন্ট, যাদের কোনো পরিকল্পনাই নেই।’

খেলোয়াড়দের পরিকল্পনার অভাব ছিল বলে মনে করেন শোয়েব, ‘আমি খেলোয়াড়দের দোষ দিচ্ছি না। কারণ, তারা ম্যানেজমেন্টের মতোই দিশেহারা। কেউ জানে না, তাদের কী করা উচিত। ইনটেন্ট একটি ভিন্ন ব্যাপার, কিন্তু আমাদের দলে রোহিত, বিরাট বা শুভমানের মতো দক্ষ ব্যাটার নেই।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আকর ম

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের চিঠির জবাব দিয়েছে ইরান

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তির আহ্বান জানিয়ে ইরানকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠির জবাব দিয়েছে তেহরান। ওমানের মাধ্যমে এই জবাব দেওয়া হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ট্রাম্পের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের জবাব ‘ওমানের মাধ্যমে যথাযথভাবে পাঠানো হয়েছে’।

আরাগচি বলেন, ‘সর্বোচ্চ চাপ ও সামরিক হুমকির মধ্যে থাকা অবস্থায় সরাসরি আলোচনায় যুক্ত না হওয়ার আমাদের নীতি এখনো বহাল আছে। তবে অতীতের মতো পরোক্ষ আলোচনা চলতে পারে।’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জবাবের মধ্যে একটি চিঠি রয়েছে, যেখানে বর্তমান পরিস্থিতি ও ট্রাম্পের চিঠির বিষয়ে আমাদের অভিমত বিস্তারিত তুলে ধরেছি।’

আরও পড়ুনইরানের নেতাকে ট্রাম্পের চিঠি০৭ মার্চ ২০২৫

‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতির অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালে তাঁর প্রথম মেয়াদে ইরানের সঙ্গে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে একতরফা সরে আসেন এবং দেশটির ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে ওই চুক্তি করেছিল ইরান।

৭ মার্চ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে তিনি চিঠি লিখেছেন। তেহরান আলোচনায় বসতে রাজি না হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। চিঠিতে আলোচনায় বসার জন্য ইরান দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

সম্পর্কিত নিবন্ধ