Prothomalo:
2025-02-24@12:25:20 GMT

একদিন ফেসবুকে না থেকেই...

Published: 24th, February 2025 GMT

আগের পর্বআরও পড়ুনব্যবসায় লাল বাত্তি জ্বলল না কেন২২ ঘণ্টা আগে

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামীর অনৈতিক সম্পর্কের জেরে খুন হন গৃহবধূ সাথি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গৃহবধূ সাথি খাতুন আত্মহত্যা করেননি, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে। ওই গৃহবধূকে (২২) পিটিয়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাথি খাতুনের শ্বশুর মতিয়ার শেখ, স্বামীর খালু মো. ফারুক ও এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার সকালে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ। 

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সদকী ইউনিয়নের হুদা করাতকান্দি গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে সাথির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন তাঁর স্বামী ইটভাটা শ্রমিক মো. সিমান্ত (৩০)। 

পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, প্রায় আট বছর আগে সিমান্তর সঙ্গে সাথি খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এ দম্পতির নাহিদ (৬) ও আফসানা (৪ মাস) নামে দুই সন্তান রয়েছে। প্রায় এক বছর পূর্বে এক তরুণীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ায় সিমান্ত। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ দেখা দিলে সমস্যার সমাধানে পারিবারিকভাবে একাধিকবার সালিশি বৈঠক হয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণীকে নিয়ে ঘোরাফেরা করে সিমান্ত। ওইদিন রাতে এ বিষয়ে স্বামীর কাছে জানতে চায় সাথি। তখন স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে হত্যা করে সিমান্ত। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে সে পালিয়ে যায়। 

সাথির বাবা মনছুর শেখ বলেন, তাঁর মেয়েকে স্বামী সীমান্ত ও তাদের পরিবারের লোকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক করেছিল। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ড বলে জানানোর পর আসামিদের উপযুক্ত শাস্তির আশায় সোমবার দুপুরে থানায় হত্যা মামলার এজাহার দিয়েছেন। 

কুমারখালী থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, এক তরুণীর সঙ্গে স্বামীর অনৈতিক সম্পর্কের জেরে ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন ওই গৃহবধূর বাবা। পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ