এক সময় বাবর আজমকে মনে করা হতো আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটারদের একজন। বিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন ও জো রুটের সঙ্গে তার নাম উচ্চারিত হতো ফ্যাবুলাস ফোরের সমকক্ষ হিসেবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বড় মঞ্চে যখন এই চার তারকা নিজেদের প্রমাণ করেছেন, তখন বাবর বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও পারফরম্যান্সে হতাশ করেছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হারের ফলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে পাকিস্তান। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও হারতে হয়েছিল দলটিকে। দুই ম্যাচেই বাবর আজমের ব্যাটিং নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কিউইদের বিপক্ষে ৯০ বলে ৬৪ রান করা বাবর ভারতের বিপক্ষে ২৬ বলে ২৩ রান করে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়ার বলে। তার ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা চলছে দেশজুড়ে।
অন্যদিকে, বাবরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিরাট কোহলি আরও একবার দেখিয়েছেন বড় মঞ্চে তার অসাধারণ দক্ষতা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫১তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে দলকে সহজ জয় এনে দিয়েছেন এই ভারতীয় ব্যাটার। বাবরের ফর্মহীনতা ও ব্যর্থতা নিয়ে এবার কঠোর সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা পেসার শোয়েব আখতার। পাকিস্তানের এক টক শোতে তিনি বাবরকে ‘প্রতারক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
শোয়েব বলেন, ‘আমরা সবসময় বাবরকে বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনা করেছি। কিন্তু এখন বলুন তো, বিরাটের নায়ক কে? শচীন টেন্ডুলকার, যিনি ১০০ সেঞ্চুরি করেছেন। বিরাট তাকে অনুসরণ করছে। কিন্তু বাবরের নায়ক কে? সে ভুল পথে হেঁটেছে এবং ভুল মানসিকতা নিয়ে এগিয়েছে। শুরু থেকেই সে আমাদের প্রতারণা করে আসছে।’
বাবরের এমন ধারাবাহিক ব্যর্থতা তাকে পাকিস্তানের ক্রিকেট ভক্তদের রোষানলে ফেলেছে। বিশেষ করে আইসিসির টুর্নামেন্টে তার ব্যর্থতা প্রশ্ন তুলেছে, আদৌ তিনি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় তারকা হতে পেরেছেন কিনা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ য় ব আখত র ব বর র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ট্রাস্ট ফান্ড গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের প্রথম বর্ষের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পিতার স্মৃতি রক্ষার্থে ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের জন্য নিউজিল্যান্ডের অ্যাটর্নি অ্যাট ল মি. হাসান তওফিক চৌধুরী ৬০ লাখ টাকার একটি চেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে হস্তান্তর করেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘জালালউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী স্মারক বৃত্তি ট্রাস্ট ফান্ড’।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সিপিডি’র সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং দাতা পরিবারের সদস্যরা।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এই ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের জন্য দাতাকে ধন্যবাদ জানান। এর মাধ্যমে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা অনেক উপকৃত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মরহুম জালালউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন বাণিজ্য অনুষদের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী