ভাওয়াল কলেজের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ, নিরাপত্তাকর্মী গ্রেপ্তার
Published: 24th, February 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর দিঘিরচালা এলাকায় ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ওই শিক্ষার্থী মামলাটি করেছেন। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার নজরুল ইসলাম চাঁদপুরের কচুয়া থানার চাঁনপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় দিঘিরচালা এলাকায় রবিন সরকারের বাড়িতে ভাড়া থেকে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী দিঘিরচালা এলাকায় বসবাস করে স্থানীয় ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করেন। লেখাপড়ার খরচ জোগাতে কিছুদিন ধরে তিনি বিভিন্ন এলাকায় চাকরি খুঁজছেন। গত শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় জরুরি প্রয়োজনে গ্রামের বাড়ি জামালপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। বাসন থানার দিঘিরচালা বাচ্চু সরকারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে নিরাপত্তাকর্মী নজরুল ইসলাম তাঁকে গতিরোধ করে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে তাঁকে বাড়ির পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেন। গতকাল রোববার রাতে ওই নারী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে বাসন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহম্মেদ বলেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী থানায় মামলা করেছেন। একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম র ল ইসল ম কল জ র এল ক য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
দুঃসাহস নিয়ে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছি: শামীম জামান
টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা শামীম জামান। অভিনয়ের পাশাপাশি নিয়মিত নাটক পরিচালনা ও প্রযোজনা করেন তিনি। এখন অভিনয়ের চেয়ে তাঁকে পরিচালনায় বেশি পাওয়া যায়। সম্প্রতি নিজের কাজসহ নানা বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।
আপনাকে অভিনয়ে দর্শক কম পাচ্ছে, কারণ কি?
হ্যাঁ, বর্তমানে ক্যামেরার পেছনে সময় বেশি দিচ্ছি। এজন্য অভিনয় কম করছি। আমার নিজের নাটকে আমি বেশি অভিনয় করি। এখন ক্যামেরার পেছনে কাজ করার কারণে অভিনয়ে খুব একটা সময় দিতে পারছি না।
বাইরের গল্পে অভিনয়ের জন্য ডাক আসে না?
আসে না বললে ভুল হবে। অভিনয় ও নির্মাণ দুইটা দুই ধরণের। কিন্তু এখন নির্মাণ এক ধরণের নেশা হয়ে গেছে। আমি এখন পরিচালনা নিয়ে আছি বলে এখন অভিনয়ের জন্য অনেকে ডাকেও না।
সম্প্রতি মোশাররফ করিম ও আ খ ম হাসানের সঙ্গে আপনার ছবি নিয়ে আলোচনা...
আমরা তিনজন মিলে একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছি। গল্পটার নাম ‘শাদী মোবারক’। অভিনয়ের পাশাপাশি এটি পরিচালনাও করেছি। অনেকদিন পর এক হয়ে একটা সিরিজ করছি। গল্পটা দারুণ। অনেকদিন পর দর্শক একটা মজার নাটক পাবে।
অভিনেতা চঞ্চল, মোশাররফ, হাসান ও আপনাকে এখন নিয়মিত পাওয়া যায় না কেন?
সবাই এখন অনেক ব্যস্ত। বলতে গেলে সবাই বড় শিল্পী। সবাইকে একসঙ্গে করা অনেক কঠিন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বাজেট। এখন নাটকের বাজেট যেখানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে এতো বড় বড় শিল্পীকে নিয়ে কাজ করা কঠিন। তারপরও সেই সাহস আমি দেখিয়েছি। মোশাররফ করিম, আ. খ. ম. হাসানকে সঙ্গে নিয়ে দুঃসাহসের পদক্ষেপটা আমি নিয়েছি।
আবার কবে আপনাদের একসঙ্গে পাওয়া যাবে?
সবাই তো আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। ছোটবেলার বন্ধু সবাই। এক সময় প্রযোজনা করেছি। যেমন ‘সার্ভিস হোল্ডার’, ‘গরু চোর’, ‘পত্র মিতালি’ ও ‘জামাই মেলা’সহ অনেক নাটক করেছি। কারণ, তখন বাজেট ভালো ছিল সেই সঙ্গে শিল্পীদের পারিশ্রমিকও কম ছিল। এখন চাইলেও সেটা কঠিন। তবে আমার ইচ্ছে আছে সাবাইকে নিয়ে আরও কাজ করার। সামনে আমরা এক হয়ে কাজ হবে।
বর্তমানে নাটকের মান নিয়ে মাঝে মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। আপনি কী বলবেন?
আমার মনে হয় টেলিভিশন নাটকের অবস্থা ভালোর দিকে যাচ্ছে। অনেক ভালো ভালো নাটক নির্মাণ হচ্ছে। দর্শকের পছন্দের ভিন্নতানুযায়ী সিরিয়াস ও কমেডি নাটক তৈরি হচ্ছে। তবে কিছু ক্রুটির কারণে বিভিন্ন মহলে কথা উঠছে এটা সত্য। ভাইরাল বা অতিরিক্ত ভিউয়ের জন্য এমন কিছু বিষয় সামনে আসছে যা কখনোই কাম্য নয়। এতে আমাদের ইন্ডাট্রির ক্ষতি হয়। তার চেয়ে বড় কথা সামাজিকভাবে আমরা ক্ষতির মধ্যে পড়ছি। আমি বলবো, নিজেদের সংস্কৃতির কথা চিন্তা করে সবাই যেন সুস্থ বিনোদন দেওয়ার লক্ষে কাজ করেন।
সিনিয়র শিল্পীরা কী এখন সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছেন?
এটা নিয়ে বলা মুশকিল। কারণ, বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিচালকের ওপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে যারা গল্প লেখেন তাদের ওপরও কিছু দায়িত্ব থাকে। বাজেটের সঙ্গে আবার সিনিয়রদের পারিশ্রমিকের দিকেও তাকাতে হয়। তবে আমি চেষ্টা করি সিনিয়রদের নিয়ে কাজ করতে। তাতে একটি নাটকের মান উচ্চতর হয়।