গাজীপুর মহানগরীর দিঘিরচালা এলাকায় ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ওই শিক্ষার্থী মামলাটি করেছেন। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার নজরুল ইসলাম চাঁদপুরের কচুয়া থানার চাঁনপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় দিঘিরচালা এলাকায় রবিন সরকারের বাড়িতে ভাড়া থেকে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতেন।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী দিঘিরচালা এলাকায় বসবাস করে স্থানীয় ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করেন। লেখাপড়ার খরচ জোগাতে কিছুদিন ধরে তিনি বিভিন্ন এলাকায় চাকরি খুঁজছেন। গত শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় জরুরি প্রয়োজনে গ্রামের বাড়ি জামালপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। বাসন থানার দিঘিরচালা বাচ্চু সরকারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে নিরাপত্তাকর্মী নজরুল ইসলাম তাঁকে গতিরোধ করে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে তাঁকে বাড়ির পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেন। গতকাল রোববার রাতে ওই নারী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে বাসন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহম্মেদ বলেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী থানায় মামলা করেছেন। একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম র ল ইসল ম কল জ র এল ক য় সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

রাবিতে সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণের দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণ ও শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন ইউজিসি নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “রাবির বর্তমান প্রশাসনের কাছে প্রতিটি দাবি আদায়ের জন্য আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে। মেডিকেলের সমস্যা, হলের সমস্যা, খাবারের সমস্যা, বিভাগের সভাপতির সমস্যা ইত্যাদি কারণে আমাদের পথে নামতে হচ্ছে। বিপ্লবের প্রায় ৯ মাস হতে চলেছে, কিন্তু আজও আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা ক্যাম্পাসের মধ্যে অবাধে চলাফেরা করছে এবং তারা বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের ব্রেইন ওয়াশ করছে।”

আরো পড়ুন:

রাকসুর গঠনতন্ত্র অনুমোদন করে নির্বাচন কমিশন গঠন

১৫ বছরের দুর্নীতির তথ্য উদঘাটনে রাবিতে সত্যানুসন্ধান কমিটি

তিনি বলেন, “আমরা এ ধরনের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের তালিকা প্রশাসনের কাছে দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রাবির ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর দাবি, অনতিবিলম্বে সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং ইউজিসির অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।”

রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষক হতে পারবে কী পারবে না, তা আওয়ামী সিন্ডিকেট নির্ধারণ করে দিতে পারবে না। আপনারা এসব সুশীলগিরি বাদ দেন। আমরা অনতিবিলম্বে ইউজিসি নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে চাই। আপনারা আওয়ামী শিক্ষকদের কথা চিন্তা করেই ইউজিসি নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে চান না, আমরা তা বুঝি।”

তিনি আরো বলেন, “অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যদি ইউজিসি নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে পারে, তাহলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়ন করলে সমস্যা কোথায়, প্রশাসনের কাছে আমার প্রশ্ন থাকলো। আওয়ামী সিন্ডিকেটের স্টেকহোল্ডারদের অনতিবিলম্বে দূরে ঠেলে দিয়ে আমাদের ডিসিশন মেকিংয়ের জায়গায় ছাত্র সংগঠনসহ শিক্ষার্থীদের মতামত নিতে হবে। কারণ ছাত্রদের মাধ্যমেই এই বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ