ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, “শত্রুদের জানা উচিৎ দখলদারি জুলুম এবং সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কখনো শেষ হবে না। আল্লাহর ইচ্ছায় লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।”

হিজবুল্লাহ নেতা শহীদ সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং সাইয়্যেদ হাশেম সাফি উদ্দিনের জানাজা ও দাফন উপলক্ষে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী এ বার্তা দিয়েছেন। 

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) লেবাননের রাজধানী বৈরুতে জানাজা অনুষ্ঠানে এই বার্তা পাঠ করা হয়েছে।

বার্তায় তিনি বলেন, “মহান মুজাহিদ এবং এই অঞ্চলের প্রতিরোধের শীর্ষস্থানীয় নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এখন সম্মান-মর্যাদার শীর্ষে অবস্থান করছেন। সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর পবিত্র দেহ লেবাননে অর্থাৎ আল্লাহর পথে জিহাদের ভূমিতে সমাহিত করা হবে, কিন্তু তাঁর আত্মা এবং তাঁর পথ প্রতিদিন আরো মহিমান্বিত ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। তাঁর আত্মা এবং পন্থা ঐসব মানুষদের জন্য পথ আলোকিত করবে, যারা তাকে অনুসরণ করে।”

তিনি আরও বলেন, “শত্রুদের জানা উচিত দখলদারি, জুলুম এবং সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কখনো শেষ হবে না। আল্লাহর ইচ্ছায় লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।” 

এখানে সর্বোচ্চ নেতার বার্তার অনুবাদ হুবহু তুলে ধরা হলো:

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

সমস্ত মান-মর্যাদা তো আল্লাহর, তাঁর রাসুলের এবং মু'মিনদের; কিন্তু মুনাফিকরা তা জানে না। (আল-মুনাফিকুন, আয়াত ৮)

মহান মুজাহিদ এবং এই অঞ্চলের প্রতিরোধের শীর্ষস্থানীয় নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ (আল্লাহ তাঁর উপর রহমত বর্ষণ করুন) এখন সম্মান-মর্যাদার শীর্ষে অবস্থান করছেন। সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর পবিত্র দেহ লেবাননে অর্থাৎ আল্লাহর পথে জিহাদের ভূমিতে সমাহিত করা হবে, কিন্তু তাঁর আত্মা এবং তাঁর পথ প্রতিদিন আরো মহিমান্বিত ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। তাঁর আত্মা এবং পন্থা ঐসব মানুষদের জন্য পথ আলোকিত করবে যারা তাকে অনুসরণ করে।

শত্রুদের জানা উচিত দখলদারি, জুলুম এবং সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কখনো শেষ হবে না। আল্লাহর ইচ্ছায় লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।

জনাব সাইয়্যেদ হাশেম সাফি উদ্দিন (আল্লাহ তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন) এর সুখ্যাতি এবং নুরানি মুখাবয়ব এই অঞ্চলের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি লেবাননের প্রতিরোধের নেতৃত্বের একজন ঘনিষ্ঠ সহচর এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন।

এই দুই সম্মানিত মুজাহিদের পাশাপাশি সম্প্রতি শাহাদাত বরণকারী অন্যান্য সাহসী ও আত্মত্যাগী যোদ্ধাদের উপর আল্লাহ এবং তাঁর পুণ্যবান বান্দাদের সালাম বর্ষিত হোক। ইসলামের সকল শহীদের উপর আল্লাহর সালাম বর্ষিত হোক। হে আমার প্রিয় সন্তান লেবাননের বীর যুবকেরা, তোমাদের প্রতি আমার বিশেষ সালাম। -সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী

ঢাকা/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শত র দ র জ ন ল ব নন আল ল হ

এছাড়াও পড়ুন:

আমরা কারও দাবার ঘুঁটি হব না: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা রাষ্ট্রে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাই না। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কেউ যদি খেলে, তাহলে আমরা কারও দাবার ঘুঁটি হব না। কেউ আমাদের সঙ্গে খেলবেন, তা পছন্দ করি না। শুধু আমাদের সঙ্গে না, এ দেশের একজন নাগরিকের সঙ্গেও যেন কেউ খেলাধুলা না করে। আমরা ফ্যাসিস্ট আমলে একটা কথা শুনতাম—খেলা হবে। ওই খেলা আর দেখতে চাই না।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

শফিকুর রহমান বলেন, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে জামায়াতের প্রয়াত নেতা গোলাম আজমকে মুছে ফেলা হয়েছে। তার যতটুকু অবদান, ততটুকু দিতে অসুবিধা কোথায়? বিচারপতি আবদুর রহমান চৌধুরী ভাষা আন্দোলনের স্মারকের ড্রাফট করেছিলেন, তাকে কোথাও স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না কেন? তমদ্দুন মজলিশ ইতিহাস থেকে বিলীন কেন? যার যেখানে জায়গা, তাকে সেখানে জায়গা করে দিতে হবে। তাহলে এ জাতির মধ্যে বারবার বীর জন্ম নেবে। বীরদের স্বীকৃতি না দিলে সুবিধাবাদী কাঙাল জন্ম নেবে, যারা গরিবের ধন লুটে খাবে।

জামায়াত আমির বলেন, চব্বিশের নিহত ও আহতদের রক্ত, জীবন, ইজ্জত ও আবেগকে অপমানিত করবেন না। কিন্তু আমরা দেখছি, কতিপয় কাজ এখনও বন্ধ হচ্ছে না। আমরা দেশবাসীকে আহ্বান জানাব। আমরা বারবার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এ আহ্বান কেয়ামত পর্যন্ত জানাব না। কারণ জুলুমটা পুরো জাতির ওপর হচ্ছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এখনও চাঁদাবাজি-দখলদারি বন্ধ হয়নি। ঘাটে ঘাটে যে চাঁদাবাজি হয়, এর কারণে দ্রব্যমূল্য বহুগুণ বেড়ে যায়। এর চাপ দেশের সব মানুষের ওপর পড়ে। আমরা কেন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব, নীরবে সহ্য করব? এ ব্যাপারে আমাদের সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধ করতে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, জাতিকে সামনে এগিয়ে যেতে দিন। আবার যেন ফ্যাসিবাদের নতুন ধারা, অধ্যায় তৈরি না হয়, তার থেকে ফিরে আসুন। ফিরে না এলে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

ভুল করলে সমালোচনা করার অনুরোধ জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, জোর করে আমাদের নামে কেউ কোনো ভুল তৈরি করলে তা মানব না। আমরা যেটা করি না, মানি না, সেটা যদি আমাদের নামে চালান দেওয়া হয়, তার প্রতিবাদ করা দায়িত্ব। আমাদের আপনার ভাষায় সমালোচনা করুন কিন্তু সেটাতে সত্যতা, যথার্থতা থাকতে হবে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের ওপর আওয়ামী লীগ সরকার জুলুম করেছে, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ‘ক্যাঙারু কোর্টে’ তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন দলটির আমির।

তিনি বলেন, পট পরিবর্তনের সপ্তম মাসে আমরা আছি, এখনও কেন তাকে হাজতে থাকতে হবে? মনের কষ্ট থেকে বলেছি, আমার এখন বাইরে থাকার কোনো সার্থকতা নেই। প্রতিবাদে আমি স্বেচ্ছায় জেলে যেতে চাই। লাখো কর্মী আমার সঙ্গে জেলে যাওয়ার কথা বলেছেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের বলছি, লাখো লাগবে না। আমি একাই যাব। এই জমিন ঠিক করার জন্য আমার সহকর্মীদের বাইরে থাকতে হবে। সবাই বাইরে থেকে জঞ্জাল পরিষ্কার করুক, আমি মজলুমের প্রতীক হিসেবে জেলে থাকি।

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘বিভিন্ন মহল থেকে আমাকে অনুরোধ করা হয়েছে, অনেক ধৈর্য ধরেছেন, আর একটু ধৈর্য ধরুন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমরা কারও দাবার ঘুঁটি হব না: জামায়াত আমির