কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ১৩ জন শিক্ষককে একটি মামলায় আসামি করার প্রতিবাদে আজ সোমবার বেলা একটা থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

তাঁদের দাবি, আজকের মধ্যেই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং যাঁরা মামলা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে অবরোধের স্থানে এসে এ ঘোষণা দিতে হবে।

কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। এরপর তাঁরা বেলা একটার দিকে শহরের মজমপুর ট্রাফিক এলাকায় এসে মহাসড়ক অবরোধ করেন। একই দাবিতে গতকাল কলেজের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছিলেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মহাসড়ক অবরোধের কারণে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক অবর ধ কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতালে যাওয়ার পথে বাসচাপায় মা-ছেলের মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে বাসচাপায় যূথী আক্তার ও তার দেড় বছর বয়সী ছেলে সিয়াম নিহত হয়েছে। এ সময় নিহতের স্বামী কুয়েত প্রবাসী শরিফ হোসেনসহ আরও তিনজন আহত হন। 

শনিবার সকালে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল ও নিহত যূথীর বাবা রহমত উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের কাচারিবাড়ি এলাকায় শাহী পরিবহনের একটি বাস ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত যূথী সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের জব্বার মাস্টারহাট এলাকার কুয়েত প্রবাসী শরীফের স্ত্রী ও নিহত সিয়াম তাদের ছেলে। আহত অন্যরা হলেন- শরীফের ভাগিনা রাজা মিয়া ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক। তবে চালকের নাম জানা যায়নি। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

যূথীর বাবা রহমত উল্যা জানান, যূথীর বুকে ব্যথা উঠলে অটোরিকশাযোগে তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। রিকশায়চালকসহ তার স্বামী শরীফ, ছেলে সিয়াম, ভাগিনা রাজা ছিলেন। ঘটনাস্থলে চেয়ারকোচ জোনাকি বাসকে ওভারটেক করার সময় শাহী পরিবহণের একটি বাস অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার সবাই আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এর মধ্যে ঢাকা নেওয়ার পথে শিশু সিয়াম মারা যায়। যূথী ও তার ছেলের মৃতদেহ সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রামে বাবার বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।

যূথীর বাবা রহমত উল্যা বলেন, বাসচাপায় আমার মেয়ে ও নাতি মারা গেছে। তিনজনকে ঢাকা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছি।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, দুর্ঘটনায় হাসপাতালে ৫ জনকে আনা হয়। এর মধ্যে একজন হাসপাতাল আনার পথে মারা গেছে। ঢাকা নেওয়ার পথে আরেক জন নিহত হয়। আহতদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, বাসের চালককে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নিহত নারীর পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ