চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিকে থাকার লক্ষ্যে আজ ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায় এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ। যেখানে জয় না পেলে তাদের টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। এমন সমীকরণের ম্যাচ সামনে রেখে টসে হেরেছে বাংলাদেশ। টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় ।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এটি দুই দলের তৃতীয় দেখা, যেখানে আগের দুটি লড়াইয়ে দুদলই একটি করে জয় পেয়েছে। ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। কলম্বোতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৬৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল কিউইরা। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ, যেখানে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রান করেছিলেন তুষার ইমরান।

এরপর ২০১৭ সালে কার্ডিফে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি হয় দুই দল। সেবার দুর্দান্ত এক জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ, যা দলকে নিয়ে যায় সেমিফাইনালে। নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান সংগ্রহ করে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। তবে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবিশ্বাস্য ২০৯ বলে ২২৪ রানের জুটিতে ৫ উইকেটের দারুণ জয় পায় টাইগাররা। সাকিব ১১৫ বলে ১১৪ ও মাহমুদউল্লাহ ১০৭ বলে ১০২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ঐতিহাসিক সেই জয়ের সুবাদে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো ইভেন্টের সেমিফাইনালে উঠে, যদিও সেখানে ভারতের কাছে ৯ উইকেটে হেরে যায়।

যদিও ওয়ানডে ফরম্যাটের সামগ্রিক পরিসংখ্যানে নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে। এখন পর্যন্ত দুই দলের ৪৫ দেখায় কিউইরা জিতেছে ৩৩ ম্যাচে, আর বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ১১টিতে। এক ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি সেনা নিহত

উত্তর গাজা উপত্যকায় হামাসের হামলায় একজন ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং আরো পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের। 

নিহত সেনার নাম ওয়ারেন্ট অফিসার গা’হালেব স্লিমান আলনাসাসরা। ৩৫ বছর বয়সী আলনাসাসরা গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেডের একজন ট্র্যাকার ছিলেন।

গত ১৮ মার্চ, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামাসের বিরুদ্ধে পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে তিনি গাজায় নিহত প্রথম ইসরায়েলি সেনা।

আরো পড়ুন:

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরো ৫৪ ফিলিস্তিনি

গাজায় এক মাসে ৪ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে ইসরায়েল

শনিবার (১৯ এপ্রিল) উত্তর গাজার বেইত হানুনের কাছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ২৫২তম ডিভিশনের অভিযানের সময় হামাসের হামলার ঘটনাটি ঘটে। ইসরায়েলের বাফার জোন, যা এখন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ৩০ শতাংশেরও বেশি জুড়ে রয়েছে, যা আরো বাড়ানোর জন্য ডিভিশনটি কাজ করছে।

আইডিএফের প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, দুপুর ১২ টা ৫৮ মিনিটে, গাজার অভ্যন্তরে একটি সেনা শিবিরের কাছে আইডিএফের একটি লজিস্টিক রোড ধরে গাড়ি চালানো একদল সেনার ওপর হামাসের যোদ্ধরা গুলি চালায়। একটি সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসা হামাস কর্মীরা নিরস্ত্র সেনা গাড়িতে একটি আরপিজি ছোড়ে।

আরপিজি হামলায় ৪১৪তম কমব্যাট ইন্টেলিজেন্স কালেকশন ইউনিটের তিনজন নারী সেনা আহত হন। তাদের মধ্যে দুজন- একজন অফিসার এবং একজন কমব্যাট মেডিকেল গুরুতর আহত হন। 

কিছুক্ষণ পরে, গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেড কমান্ডার কর্নেল ওমরি মাশিয়ার নেতৃত্বে উদ্ধারকারী বাহিনী ব্রিগেডের ট্র্যাকারদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

তদন্ত অনুসারে, দুপুর ১ টা ২৫ মিনিটে হামাস যোদ্ধরা ইসরায়েলি উদ্ধারকারী বাহিনীর কাছে রাস্তার পাশে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণ ঘটায়, যার ফলে আলনাসাসরা নিহত হন এবং আরো দুইজন ট্র্যাকার আহত হন, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

আইডিএফ জানিয়েছে, হামলার পেছনের হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করার লক্ষ্যে আইডিএফ ওই এলাকায় একের পর এক হামলা চালিয়েছে।

আইডিএফ আরো জানিয়েছে, তারা গত ১৮ মার্চ হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করা পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলার পর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি ভেস্তে যাওয়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে পুররায় গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।

গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৫১ হাজারেও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত গাজায় প্রায় ২০ হাজার হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এর বিপরীতে, গাজায় স্থল আক্রমণ এবং সীমান্তে সামরিক অভিযান শুরু করার পর হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪১১ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কোনো কথা না বলেও অনেক কথা বললেন সুনেরাহ্
  • গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি সেনা নিহত