আবারও রিমান্ডে সাবেক মেয়র আতিক, নজরুল, শাহেন শাহ ও শামীমা
Published: 24th, February 2025 GMT
পৃথক হত্যা মামলা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ ও ঢাকা মহানগর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আক্তার।
ঢাকার বাড্ডা থানায় করা সোহাগ হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। এ সময় আতিকুলের আইনজীবী আদালতকে বলেন, তাঁর মক্কেলকে একের পর এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। এরই মধ্যে তাঁকে কয়েকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আসামিপক্ষের বক্তব্যের বিরোধিতা করে আদালতে রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি আদালতকে বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী আতিকুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শত শত নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আতিকুল এসব হত্যাকাণ্ডের অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী।
আদালত প্রাঙ্গণে আসামিদের বহনকারী প্রিজন ভ্যান। সিএমএম আদালত, রায়সাহেব বাজার, ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতারণার মামলা থেকে খালাস পেলেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল
প্রতারণার মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন চিত্রনায়ক এম এ জলিলসহ (অনন্ত জলিল) ছয়জন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্লাহ আজ রোববার এ আদেশ দেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রতারণার অভিযোগে অনন্ত জলিলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী শাহনাওয়াজ চৌধুরী লিখিতভাবে মামলা প্রত্যাহারের আদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। তাতে বলা হয়, মামলার অভিযোগের বিষয়ে অন্তত জলিলসহ অন্যদের সঙ্গে তাঁর (বাদী) আপস হয়েছে। এ জন্য তিনি মামলা প্রত্যাহার চান। আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী মামলা প্রত্যাহারের আদেশ দেন। এর ফলে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন অনন্ত জলিলসহ ছয়জন।
খালাস পাওয়া অন্য পাঁচজন হলেন পোলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহানারা বেগম, প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (ফাইন্যান্স) শরীফ হোসেন, সহকারী ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার মিলন ও বাজেট অ্যান্ড অডিট ডিপার্টমেন্টের হেড অব কস্ট সাইদুল ইসলাম।
পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার পরও টাকা বুঝিয়ে না দেওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর অনন্ত জলিলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন শাহনাওয়াজ চৌধুরী। মামলায় শাহনাওয়াজ দাবি করেন, তিনি মেসার্স স্টিচ অ্যান্ড কালার টেকনোলজি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তাঁর প্রতিষ্ঠান উন্নত মেশিনারিজের মাধ্যমে এমব্রয়ডারি ও জামাকাপড় প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা করে। অনন্ত জলিলের প্রতিষ্ঠান ওই প্রতিষ্ঠানকে ৯৮ হাজার ৬১০টি শার্টের কাটিং পার্ট রং করার কার্যাদেশ দেয়। পুরো কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পরও অর্থ পরিশোধ করা হয়নি।
প্রতারণার মামলায় পোলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান অনন্ত জলিলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ২৩ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদীর প্রতিষ্ঠান অনন্ত জলিলের প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধের জন্য বারবার চিঠি দেয়। পরে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু অনন্ত জলিলের প্রতিষ্ঠান এর কোনো জবাব দেয়নি। এমনকি বাদীর প্রতিষ্ঠানের পাওনা ২৯ হাজার ২৯৯ ডলার পরিশোধ করেনি।
আরও পড়ুনপ্রতারণার মামলা: অনন্ত জলিলকে আদালতে হাজির হতে সমন৩০ ডিসেম্বর ২০২৪অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তখন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানকে পোশাকের এই কাজটি দিয়েছিল সিল্ক রুট সোর্সিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পুরো কাজ শেষ হলে পণ্যগুলো তাদের নেওয়ার কথা। ওই প্রতিষ্ঠান থেকেই কাপড় রং করার জন্য মেসার্স স্টিচ অ্যান্ড কালার টেকনোলজিকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সিল্ক রুট সোর্সিং প্রতিষ্ঠানটি তার ফরমাশ দেওয়া সব মাল এখনো নেয়নি। সে কারণে বিল না পাওয়ায় তাঁরা মেসার্স স্টিচ অ্যান্ড কালার টেকনোলজির পাওনা পরিশোধ করতে পারেননি। বিল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অর্থ পরিশোধ করা হবে।