বিপ্লবসহ ২ পুলিশ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
Published: 24th, February 2025 GMT
বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে ছয় মাস অনুপস্থিত থাকায় সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন ডিএমপির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) বিপ্লব কুমার সরকার। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ডিএমপির আরেক যুগ্ম কর্মকর্তা (ট্রাফিক দক্ষিণ) এস এম মেহেদি হাসানকেও।
আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সই করেছেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিপ্লব কুমার সরকার এবং এস এম মেহেদি হাসান গত ৬ আগস্ট থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে মৌখিক বা লিখিতভাবে অবহিত না করে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাই এই দুজনকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ২ (চ) বিধি অনুযায়ী ওই দিন থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আদেশে বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্তকালে বিপ্লব কুমার সরকার বরিশাল রেঞ্জে এবং মেহেদি হাসান সিলেট রেঞ্জে সংযুক্ত থাকবেন। বিধি অনুযায়ী তারা খোরপোষ ভাতা পাবেন; জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
২১তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে চাকরি নেওয়া বিপ্লব সরকার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জগন্নাথ হল শাখার সাধারণ সম্পাদক। পুলিশের চাকরিতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় পুরোটা সময় তিনি দাপুটে কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
২০১১ সালের ৬ জুলাই বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক সংসদ ভবনের সামনে পুলিশের পিটুনির শিকার হন। সেসময় তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার হারুন অর রশীদ এবং অতিরিক্ত উপ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ওই ঘটনার নেতৃত্ব দেন।
জয়নাল আবেদীন ফারুককে ধাওয়া করে জামা খুলে নেওয়ার একটি ভিডিও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছাপা হলে তা ভাইরাল হয়। এরপর থেকে বিপ্লব ও হারুনের প্রভাব পুলিশ বিভাগে ছড়িয়ে পড়ে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগ মুহূর্তে ৩১ জুলাই ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লবকে প্রশাসন এবং গোয়েন্দা (ডিবি) দক্ষিণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেসিডেন্টের আদালতের আদেশ মেনে চলা উচিত বলে মনে করেন ৮২ শতাংশ মার্কিন: রয়টার্সের জরিপ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সব সময় ফেডারেল আদালতের আদেশ মেনে চলা উচিত বলে মনে করেন বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিক। বার্তা সংস্থা রয়টার্স/ইপসসের এক জরিপে এমনটা দেখা গেছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন শুরু থেকেই বিচারকদের সমালোচনা করছে, যাঁরা কিনা ট্রাম্পের কয়েকটি নির্বাহী আদেশ আটকে দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার বিষয়টি সামনে এলে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা, বিশেষ করে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা তাঁর সিদ্ধান্তের প্রতি বেশি নমনীয় থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্পের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর একটি অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।
গত রোববার শেষ হওয়া তিন দিনের এ সমীক্ষায় দেখা গেছে, এতে ৮২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এই বিবৃতির সঙ্গে একমত যে না চাইলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফেডারেল আদালতের রায় মেনে চলা উচিত। এ সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগ ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান।
যুদ্ধকালীন ক্ষমতার অধীনে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অভিবাসীদের বিতাড়ন সম্পর্কে বিশেষভাবে জিজ্ঞাসা করা হলে ৭৬ শতাংশ রিপাবলিকান তাঁর এ পদক্ষেপের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। যদিও আদালত তাঁর এই পদক্ষেপ স্থগিত করে দিয়েছেন। ওই রিপাবলিকানরা মনে করেন, আদালতের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসীদের বিতাড়ন অব্যাহত রাখা উচিত। অন্যদিকে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
সমীক্ষার ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ট্রাম্পের দলের বেশির ভাগ সদস্য এখনো বিশ্বাস করেন, সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত করার এখতিয়ার থাকা উচিত আদালতের। তবে যেসব মানুষ দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ, তাঁদের বিতাড়িত করার ক্ষেত্রে রিপাবলিকানরা আদালতের আদেশ অমান্য করার পক্ষে ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন।