হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ক্ষমতার ওপর আত্মবিশ্বাসী। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারবেন। তিন বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধ এই সপ্তাহেই শেষ হতে পারে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব দক্ষিণ লনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই  ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির।

গত মাসে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে জোর তৎপরতা শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এ ব্যাপারে আলোচনা করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলেছেন। এ ছাড়া রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে হোয়াইট হাউজেরর পক্ষ থেকে বলা হলো, চলতি সপ্তাহেই এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হতে পারে।

আরো পড়ুন:

আড়াই শতাধিক ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা রাশিয়ার

ফের বৈঠকে বসছে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র

ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার দল এই যুদ্ধ বন্ধ করতে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে জানিয়েছেন, আমরা এই সপ্তাহেই এটি সম্পন্ন করতে পারব।”

লেভিট আরো জানান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাট ওয়াল্টজ এই সপ্তাহান্তে একটি চুক্তির জন্য দিনরাত কাজ করছেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টও ইউক্রেনের সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদের বিষয়ে একটি প্রস্তাবিত চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের চিঠির জবাব দিয়েছে ইরান

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তির আহ্বান জানিয়ে ইরানকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠির জবাব দিয়েছে তেহরান। ওমানের মাধ্যমে এই জবাব দেওয়া হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ট্রাম্পের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের জবাব ‘ওমানের মাধ্যমে যথাযথভাবে পাঠানো হয়েছে’।

আরাগচি বলেন, ‘সর্বোচ্চ চাপ ও সামরিক হুমকির মধ্যে থাকা অবস্থায় সরাসরি আলোচনায় যুক্ত না হওয়ার আমাদের নীতি এখনো বহাল আছে। তবে অতীতের মতো পরোক্ষ আলোচনা চলতে পারে।’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জবাবের মধ্যে একটি চিঠি রয়েছে, যেখানে বর্তমান পরিস্থিতি ও ট্রাম্পের চিঠির বিষয়ে আমাদের অভিমত বিস্তারিত তুলে ধরেছি।’

আরও পড়ুনইরানের নেতাকে ট্রাম্পের চিঠি০৭ মার্চ ২০২৫

‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতির অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালে তাঁর প্রথম মেয়াদে ইরানের সঙ্গে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে একতরফা সরে আসেন এবং দেশটির ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে ওই চুক্তি করেছিল ইরান।

৭ মার্চ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে তিনি চিঠি লিখেছেন। তেহরান আলোচনায় বসতে রাজি না হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। চিঠিতে আলোচনায় বসার জন্য ইরান দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

সম্পর্কিত নিবন্ধ