কক্সবাজারে আব্দুল মান্নান নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কবিতা চত্বর সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

আবদুল মান্নান কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও একই এলাকার মৌলভী আহামুদুর রহমানের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত এবং প্রাপ্ত ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশের একটি দল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল মান্নানকে সমুদ্রসৈকতের কবিতা চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে কবিতা চত্বর সড়কে নিয়ে এলে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (পূর্ব শাখা) নূর উদ্দিন, মোহাম্মদ গুরা মিয়া ও কামাল বহাদ্দারসহ ২০-৩০ জন পুলিশকে ঘিরে ধরে। একপর্যায়ে আব্দুল মান্নানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সেখানে পৌঁছান ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আকতার কামাল। যিনি আব্দুল মান্নানের ছোট ভাই। তিনি পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে আব্দুল মান্নানকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

তবে, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আকতার কামাল। তিনি বলেন, ‘‘আমার ভাই কোনো মামলার আসামি নন। পুলিশ সন্দেহের বশে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। এর বাইরে আর কিছু ঘটেনি।’’

এ ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দিন বলেন, ‘‘আমি অসুস্থ। এসবের কিছুই জানি না।’’

কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াছ খান আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘অভিযানে পুলিশের সদস্যসংখ্যা কম ছিল। এ কারণে ব্যারিকেড না দিয়ে পুলিশ ফিরে আসে।’’

ঢাকা/তারেকুর/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১ মে থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা

কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তার ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতে আগামী ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের মাছ আহরণ, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আধীর চন্দ্র দাস প্রমুখ।

সভায় জানানো হয়, প্রতি বছরের মতো এবারো কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি অবৈধ মৎস্য শিকারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো পড়ুন:

মাছ শিকারে সমুদ্রে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু আজ

জেলের জালে ধরা পড়লো ১২ কেজির কোরাল

ঢাকা/শংকর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ