ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে পুলিশের তিনটি বিশেষায়িত ইউনিট শিগগিরই মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

তিনি বলেন, ‘রাতে ছিনতাই বেড়েছে। দিনেও ছিনতাই বেড়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে বিশেষ একটি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশ, র‍্যাব ও এন্টি টেরোরিজম ইউনিট যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে। আজ সোমবার থেকে এটি বাস্তবায়িত হবে আশা করি। আমরা দেখি এভাবে উন্নতি হয় কিনা। না হলে আমাদের অন্য পরিকল্পনায় যেতে হবে।’

সোমবার সকালে রাজশাহীর প্রাইমারি ট্রেনিং সেন্টারে দেশের পরিবর্তন পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ে কর্মশালায় যোগদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘যৌথ বাহিনীতে একটা সাইজেবল কম্পোনেন্ট থাকে। আসলে পুলিশে এত বড় কম্পোনেন্ট নেই। কিন্তু যৌথ বাহিনী একটি জয়েন্ট পার্টি।’

তিনি বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট মূলত যারা সন্ত্রাস করে সমাজবিরোধী কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে। এটি আমরা শুরু করেছিলাম বেশ কয়েকদিন আগেই। ডেভিল হান্টে কারা ধরা পড়ছে আপনারা একটু দেখেন। বড় সন্ত্রাস, বড় চোরাকারবারি সবাই ধরা পড়ছে।’

আইজিপি বলেন, একটি গোষ্ঠী চায় না বাংলাদেশে স্মৃতিশীল পরিবেশ বজায় থাক। সেটার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ নত ই আইজ প আইজ প

এছাড়াও পড়ুন:

সালমান এফ রহমান ও তার পরিবারের ৩৫৮টি ব্যাংক হিসাব জব্দ

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসামরিক, শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদের নামে থাকা ৩৫৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

অনুসন্ধানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ অন্যান্যদের নামে ব্যাংক হিসাবসমূহের তথ্য পাওয়া যায়। সূত্র জানিয়েছে, তারা এসব ব্যাংক হিসাব হস্তান্তর/স্থানান্তর/রূপান্তর করার চেষ্টা করছেন। এতে সফল হলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা রুজু, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই, সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য এবং তার সহযোগীদের নামে থাকা ৩৫৮ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা আবশ্যক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ