কিশোরগঞ্জে মোবাইল ফোনে কথা বলা অবস্থায় এক ব্যক্তি ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছেন। তিনি নিকলী উপজেলার ভাটি বরাটিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ (৪৫) বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিটন মিয়া।

তিনি জানিয়েছেন, আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে আন্তঃনগর এসারসিন্দুর প্রভাতী ট্রেন ছেড়ে যায়। ট্রেনটি আধা কিলোমিটার দূরে সিদ্ধেশ্বরী বাড়ি এলাকায় গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে জানিয়েছেন, নিহত আব্দুল মজিদ রেললাইনে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। লোকজন তাকে ডাকলেও তিনি শুনতে পাননি। মরদেহ ময়নাতদন্ত করানো হবে। বাড়িতে স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি লিটন মিয়া। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

তর্ক-বিতর্কে যেন স্বৈরাচার সুযোগ পেয়ে না যায়: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তর্ক-বিতর্ক করতে গিয়ে এমন কিছু যেন না হয়, যাতে স্বৈরাচার কিংবা দেশের ভালো যারা চায় না, তারা সুযোগ পেয়ে যায়। সংস্কার নিয়ে যদি আমরা অযাচিত আলোচনা করতে থাকি, তাহলে রাষ্ট্রের মূল সমস্যাগুলো আড়াল হয়ে যেতে পারে। সংস্কার নিয়ে অযাচিত আলোচনা না করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।

সোমবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে অনুষ্ঠিত খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

গণতন্ত্রের যত চর্চা হবে তত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, এ কারণেই বিএনপি দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতা নির্বাচিত করছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেল নারী উন্নয়ন, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন করবেন বলে জানান তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব বিষয়ে নজর দেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনিন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, শামীমুল ইসলাম শামীম, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।

আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা সৈয়দা নার্গিস আলী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, কাজী মিজানুর রহমান, কে এম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, শেখ মোহাম্মদ আলী বাবু, মুর্শিদ কামাল। 

বিকালে জেলা স্টেডিয়ামে শুরু হয় কাউন্সিল অধিবেশন। সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের ৩টি পদে লড়ছেন ১২ জন। ভোটার রয়েছেন ৫০৫ জন। এর আগে খুলনা মহানগর বিএনপির সবশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর। আর ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর গঠিত হয়েছিল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ