বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। ২০২২ সালের শেষ লগ্নে অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দেন। দীর্ঘ ৩৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে আকস্মিকভাবে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। প্রায় এক বছর বিরতি নিয়ে ফের অভিনয়ে ফিরেছেন।

আমির খানের পারিশ্রমিক নিয়ে নানা সময়ে নানা খবর পাওয়া গেছে। এবার এই অভিনেতা জানালেন, গত দুই দশক ধরে অভিনেতা হিসেবে কোনো পারিশ্রমিক নেন না তিনি।

আমির খান বলেন, “গত ২০-২১ বছর ধরে অভিনেতা হিসেবে সিনেমা থেকে পারিশ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। মুক্তির পর সিনেমা যদি দর্শক পছন্দ করেন, তা হলে আমি অর্থ উপার্জন করি। আর যদি দর্শক পছন্দ না করে তবে আমারও কোনো আয় হয় না।

আরো পড়ুন:

কেন উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ভূমি?

৪৭৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে রাশমিকার সিনেমার আয়

পারিশ্রমিক না নিয়েও সিনেমায় কেন অভিনয় করেন আমির খান? তা হলে কি বিনাপারিশ্রমিকে কাজ করেন? এ প্রশ্নের জবাবে আমির খান বলেন, “ইন্ডাস্ট্রি থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য সবচেয়ে পুরোনো পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। এজন্য আমার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্বাধীনতা রয়েছে।”

অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমা প্রযোজনাও করেন আমির খান। যার ফলে চলচ্চিত্র নির্মাণের অর্থনীতি ভালোভাবে বোঝেন তিনি। তার ভাষায়— “একটি সিনেমার বাজেট যদি ২০০ কোটি রুপি হয়, আর তারকা মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক নেন, তারপর সিনেমা যদি ব্যর্থ হয়, সে ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাওয়া অসম্ভব।”

আমির খান পরিচালিত ও অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘তারে জমিন পার’। ২০০৭ সালে এ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে তার অভিষেক ঘটে। মুক্তির পর সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। এ সিনেমার সিক্যুয়েল ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে অভিনয়ে ফিরেছেন আমির। অভিনয়ের পাশাপাশি এটি প্রযোজনাও করছেন। চলতি বছরের ২৫ ডিসেম্বর সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন।

তথ্যসূত্র: পিঙ্কভিলা

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র খ ন আম র খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভিন্নমতের জায়গাগুলো নিয়ে আলোচনা হবে, এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, এক নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখন আমাদের কাজ সবাই মিলে যেন একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারি। যেন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসন ফেরত না আসে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।

এনসিপি নেতাদের উদ্দেশে আলী রায়ীজ আরও বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর পক্ষ থেকে যে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আপনাদের কিছু একমত, কিছু ভিন্নমত আছে। আমরা একমতের জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছি, সেগুলো নিয়ে অগ্রসর হব। যেসব জায়গায় আংশিকভাবে একমত বা ভিন্নমত সেগুলো নিয়ে আজ আলোচনা করব এবং প্রয়োজনে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। কেননা আমরা চাই, জাতির আকাঙ্ক্ষার জায়গা থেকে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে।

বৈঠকে এনসিপি নেতাদের উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আপনারা প্রাণবাজি রেখে লড়াই করে ফ্যাসিবাদী শাসককে পলায়ন করতে বাধ্য করেছেন। সেই বিজয়ের পাশাপাশি আপনারা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চান এবং আপনাদের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা উন্মত্ত হয়ে উঠেছে।’ তিনি বলেন, এ দেশের ইতিহাসে আমরা বারবার দেখেছি, গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে কীভাবে পর্যুদস্ত করা হয়, কী করে গণতন্ত্রের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে বিজয় অর্জিত হয়, সে বিজয়কে বিভিন্নভাবে ভূলুণ্ঠিত করা হয়। রাষ্ট্রকে কীভাবে এক ব্যক্তির করতলগত করে একটি শাসনব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন‘মৌলিক সংস্কার’ বলতে কী বোঝাতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি৩ ঘণ্টা আগে

এখন এক নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ সবাই মিলে যেন একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারি। যেন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসন ফেরত না আসে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্থায়ী রূপ নেয় এবং যেন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং সমস্ত নিপীড়ন মোকাবিলা করতে পারি। সেই ব্যবস্থাগুলোকে অপসারণ করতে পারি।’

সভায় কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, এনসিপির ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন,

জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, মূখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ