২০ বছর ধরে অভিনেতা হিসেবে পারিশ্রমিক নিই না: আমির খান
Published: 24th, February 2025 GMT
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। ২০২২ সালের শেষ লগ্নে অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দেন। দীর্ঘ ৩৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে আকস্মিকভাবে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। প্রায় এক বছর বিরতি নিয়ে ফের অভিনয়ে ফিরেছেন।
আমির খানের পারিশ্রমিক নিয়ে নানা সময়ে নানা খবর পাওয়া গেছে। এবার এই অভিনেতা জানালেন, গত দুই দশক ধরে অভিনেতা হিসেবে কোনো পারিশ্রমিক নেন না তিনি।
আমির খান বলেন, “গত ২০-২১ বছর ধরে অভিনেতা হিসেবে সিনেমা থেকে পারিশ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। মুক্তির পর সিনেমা যদি দর্শক পছন্দ করেন, তা হলে আমি অর্থ উপার্জন করি। আর যদি দর্শক পছন্দ না করে তবে আমারও কোনো আয় হয় না।
আরো পড়ুন:
কেন উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ভূমি?
৪৭৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে রাশমিকার সিনেমার আয়
পারিশ্রমিক না নিয়েও সিনেমায় কেন অভিনয় করেন আমির খান? তা হলে কি বিনাপারিশ্রমিকে কাজ করেন? এ প্রশ্নের জবাবে আমির খান বলেন, “ইন্ডাস্ট্রি থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য সবচেয়ে পুরোনো পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। এজন্য আমার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্বাধীনতা রয়েছে।”
অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমা প্রযোজনাও করেন আমির খান। যার ফলে চলচ্চিত্র নির্মাণের অর্থনীতি ভালোভাবে বোঝেন তিনি। তার ভাষায়— “একটি সিনেমার বাজেট যদি ২০০ কোটি রুপি হয়, আর তারকা মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক নেন, তারপর সিনেমা যদি ব্যর্থ হয়, সে ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাওয়া অসম্ভব।”
আমির খান পরিচালিত ও অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘তারে জমিন পার’। ২০০৭ সালে এ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে তার অভিষেক ঘটে। মুক্তির পর সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। এ সিনেমার সিক্যুয়েল ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে অভিনয়ে ফিরেছেন আমির। অভিনয়ের পাশাপাশি এটি প্রযোজনাও করছেন। চলতি বছরের ২৫ ডিসেম্বর সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন।
তথ্যসূত্র: পিঙ্কভিলা
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র খ ন আম র খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত ২০
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেলে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের কালনীরচর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালনীরচর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল হক ও একই গ্রামের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শওকত আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওইসব বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে।
সম্প্রতি একটি মামলায় ইউপি সদস্য শওকত আলীকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ৮ দিন পর গত মঙ্গলবার জামিনে বের হন শওকত আলী। এরই জেরে বুধবার বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজন বাগ্বিতণ্ডা ও পরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ওসমানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।