কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না আমু
Published: 24th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির জাকির হোসাইন শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আদালতে শুনানি চলাকালে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না আমির হোসেন আমু। তাকে বসার জন্য কাঠের চেয়ার দেওয়া হয়।
সোমবার সকাল ১০টা ১১ মিনিটে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও মেয়রসহ ১১ জনকে আদালতে তোলা হয়। তারা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ১০টা ১৭ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন। ১০টা ২৬ মিনিটে খিলগাঁও থানার মামলায় আমুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর কাঠগড়ায় দাঁড়ান তিনি, তবে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। অন্য আসামিদের শুনানি চলাকালে ১০টা ৪০ মিনিটে কাঠগড়ায় বসার জন্য আমুকে কাঠের চেয়ার দেওয়া হয়। তিনি ১১টা পর্যন্ত কাঠগড়ায় চেয়ারে বসে অন্যদের শুনানি শোনেন। এ সময় সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম তার খোঁজ নেন।
গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই খিলগাঁওয়ের বনশ্রী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন মিজানুর রহমান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় গত সেপ্টেম্বরে তার বাবা কামাল হোসেন খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র হ স ন আম ক ঠগড় য় দ
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে মাইক্রোবাস চাপায় নিহত ২
শেরপুর পৌর শহরে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও পথচারীকে চাপা দেয় একটি মাইক্রোবাস। এতে দুইজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে অষ্টমীতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শিশু রনি মিয়া ও গৌরব। দুজনের বাসা শেরপুর শহরেই। হতাহতরা সবাই শেরপুর শহরের নিউমার্কেটের কালার ডিজিটাল নামে একটি দোকানের মালিক এবং কর্মচারী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে একটি দ্রুতগতির মাইক্রোবাস শেরপুর শহর থেকে জামালপুর যাওয়ার পথে অষ্টমীতলা নামক স্থানে প্রথমে একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। পরে একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এরপর আরও একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এরপর পথচারীকেও চাপা দেয়।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে শিশু রনির মৃত্যু হয় এবং আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে গৌরব নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়। শুভ নামে আরেকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসের চালক পালিয়ে যায়। পাশাপাশি মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীরাও পালিয়ে যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম জানান, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএইচ