জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিন, না হলে আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান। আমাদের ভাই আজহারুলকে মুক্তি দিলে একজন মজলুম মুক্তি পাবে।’ আজ সোমবার সকালে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পাশে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।

শরীয়তপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির কে এম মকবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে পথসভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান, জেলা আমির মুহা.

আবদুর রব, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতাকে প্রহসনের ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। ওই প্রহসনের শিকার আজহারুল ইসলাম এখনো কারাগারের প্রকোষ্ঠে বন্দী। এখনকার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও তাঁকে মুক্তি দিচ্ছে না সরকার।

আজহারুল ইসলাম মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ পুরোপুরি মুক্তি পাবে না। তবে একজন মজলুম মুক্তি পাবে মন্তব্য করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হলে এ দেশের যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। টানা সাড়ে ১৫ বছর আমাদের ওপর জুলুম চলেছে, আমরা আন্দোলন করেছি ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরানোর জন্য। আমরা রাজনীতিবিদেরা তাদের সরাতে পারিনি। কিন্তু সেই সমস্ত কষ্ট–দুঃখ–যাতনা, জুলুম একত্র হয়ে যে শক্তি তৈরি হয়েছিল, আমাদের ছাত্রদের নেতৃত্বে সেই শক্তিতে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। আমাদের সেই সন্তানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

যুবকদের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘সমাজ গড়ার জন্য দায়িত্ব নিতে হলে তোমাদের এগিয়ে আসতে হবে। যে সমাজের যুবকেরা এগিয়ে আসে বিপ্লবের জন্য, সেই সমাজে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিপ্লব সফল হয়। আমি যুবকদের থেকে দুইটি জিনিস চাই, একটি হচ্ছে গভীর দেশপ্রেম ও আরেকটি হচ্ছে আল্লাহর প্রতি ভয়। এই দুইটা জিনিস নিয়ে যদি যুবকেরা এগিয়ে আসে, তারাই হবে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হিমালয় পর্বত। এই পর্বত যারাই খসে দিতে আসবে, তাদের মাথা চুরমার হয়ে যাবে।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে শফিকুর রহমান বলেন, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। আওয়ামী লীগও শিক্ষা নেয়নি। তারা দেশের মানুষের ওপর জুলুম করেছে, নির্যাতন করেছে। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। সেই সম্পদ বিদেশে পাচার করে কানাডায় বেগমপাড়া গড়ে তুলেছে। তাদের দেশ থেকে কেউ তাড়ায়নি, তারাই দেশ থেকে পালিয়েছে। যারা পালাতে পারেনি, তারা এখন জালে ধরা পড়ছে।

আজ সোমবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে শফিকুর রহমান ভেদরগঞ্জে আসেন। পথসভায় বক্তব্য দিয়ে তিনি উপজেলার মহেশকান্দি এলাকায় প্রয়াত বেলায়েত হুসাইনের বাড়িতে যান। বেলায়েত হুসাইন ঢাকার দারুস সালাম থানার সাবেক আমির। ২০১৪ সালে আন্দোলনের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আজহ র ল ইসল ম আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অগ্রাধিকারে রাখার দাবিতে ঢাকায় নানা কর্মসূচি শনিবার

অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মসূচিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অগ্রাধিকার তালিকায় রাখার দাবিতে শনিবার রাজধানীতে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি করবে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে গণসংযোগ, পথসভা ও প্রচারপত্র বিতরণ। 

পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সকাল ১০টায় কর্মসূচি শুরু হবে আর সন্ধ্যায় উত্তরায় গিয়ে শেষ হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গণসংযোগ চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছয়টি পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পথসভাটি হবে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে। এর পর প্রেস ক্লাব, শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর-১০ ও উত্তরার রাজলক্ষ্মীতে পথসভা করা হবে। দিনব্যাপী কর্মসূচির রুটটি হচ্ছে বাহাদুর শাহ পার্ক-প্রেসক্লাব-টিএসসসি-শাহবাগ-ফার্মগেট-শ্যামলী-মিরপুর ১-মিরপুর ১০-ইসিবি চত্বর-বিমানবন্দর-উত্তরা।

পথসভাগুলোতে দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান,  সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফন্ট, বিসিএলের নেতারা বক্তব্য রাখবেন। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশিষ্ট নাগরিক ও মানবাধিকারকর্মীরা সংহতি জানাবেন।
 

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের দুই যুগ্ম সমন্বয়কারী মানবাধিকারকর্মী জাকির হোসেন ও অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী এক যুক্ত বিবৃতিতে শনিবার কর্মসূচি সফল করার জন্য রাজধানীবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা এ কর্মসূচিতে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহায়তা কামনা করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অগ্রাধিকারে রাখার দাবিতে ঢাকায় নানা কর্মসূচি শনিবার