চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সমানে সমান
Published: 24th, February 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এটি হবে দুই দলের তৃতীয় দেখা, যেখানে আগের দুটি লড়াইয়ে দুদলই একটি করে জয় পেয়েছে।
২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। কলম্বোতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৬৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল কিউইরা। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ, যেখানে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রান করেছিলেন তুষার ইমরান।
এরপর ২০১৭ সালে কার্ডিফে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি হয় দুই দল। সেবার দুর্দান্ত এক জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ, যা দলকে নিয়ে যায় সেমিফাইনালে। নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান সংগ্রহ করে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। তবে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবিশ্বাস্য ২০৯ বলে ২২৪ রানের জুটিতে ৫ উইকেটের দারুণ জয় পায় টাইগাররা। সাকিব ১১৫ বলে ১১৪ ও মাহমুদউল্লাহ ১০৭ বলে ১০২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ঐতিহাসিক সেই জয়ের সুবাদে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো ইভেন্টের সেমিফাইনালে উঠে, যদিও সেখানে ভারতের কাছে ৯ উইকেটে হেরে যায়।
ওয়ানডে ফরম্যাটের সামগ্রিক পরিসংখ্যানে নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে। এখন পর্যন্ত দুই দলের ৪৫ দেখায় কিউইরা জিতেছে ৩৩ ম্যাচে, আর বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ১১টিতে। এক ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
আজকের ম্যাচে কে এগিয়ে থাকবে, তা সময়ই বলে দেবে, তবে অতীতের হিসাব-নিকাশ অনুযায়ী দুদলই আত্মবিশ্বাসী থেকে মাঠে নামবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
দ. আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ৮ টি-টোয়েন্টি, ৬ ওয়ানডে
আগামী মৌসুমে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য থাকবে দারুণ উত্তেজনা! ২০২৫ সালের আগস্ট থেকে ২০২৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ১১টি শহর ও ১৪টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর জমজমাট আসর।
অস্ট্রেলিয়াজুড়ে দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন বহু প্রতীক্ষিত পুরুষদের অ্যাশেজ সিরিজ, যেখানে পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ভারতকে নিয়ে হবে আট ম্যাচের হাইভোল্টেজ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছয়টি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পুরুষদের সাদা বলের মৌসুম। পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়ার নারী দলও মুখোমুখি হবে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে।
চলতি বছরের শুরুতে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি সিরিজে রেকর্ডসংখ্যক দর্শক উপস্থিতি দেখা গিয়েছিল। এবার অ্যাশেজের লড়াইয়ে সেই রেকর্ড ভাঙতে পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ২০১৭-১৮ সাল থেকে ধরে রাখা অ্যাশেজ ট্রফি রক্ষায় নামবে।
আরো পড়ুন:
স্টার্ক-ডু প্লেসিস-ম্যাকগার্কে হায়দরাবাদকে হারালো দিল্লি
নিউ জিল্যান্ডের ঘোরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসরে ওয়াগনার
এই টেস্ট সিরিজ শুরু হবে পার্থ স্টেডিয়ামে ‘ওয়েস্ট টেস্ট’ দিয়ে। এরপর গ্যাবায় প্রথমবারের মতো দিবারাত্রির অ্যাশেজ টেস্ট, অ্যাডিলেড ওভালে প্রথমবারের মতো ক্রিসমাস টেস্ট এবং ঐতিহ্যবাহী বক্সিং ডে ও নিউ ইয়ার টেস্টের রোমাঞ্চও থাকছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ:
ম্যাচ | তারিখ | ভেন্যু |
প্রথম টি-টোয়েন্টি | ১০ আগস্ট | ডারউইন |
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি | ১২ আগস্ট | ডারউইন |
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি | ১৬ আগস্ট | কেয়ার্নস |
প্রথম ওয়ানডে ১৯ আগস্ট কেয়ার্নস
দ্বিতীয় ওয়ানডে ২২ আগস্ট ম্যাকেই
তৃতীয় ওয়ানডে ২৪ আগস্ট ম্যাকেই।
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ:
প্রথম ওয়ানডে ১৯ অক্টোবর পার্থ
দ্বিতীয় ওয়ানডে ২৩ অক্টোবর অ্যাডিলেড
তৃতীয় ওয়ানডে ২৫ অক্টোবর সিডনি
প্রথম টি-টোয়েন্টি ২৯ অক্টোবর ক্যানবেরা
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ৩১ অক্টোবর মেলবোর্ন
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ২ নভেম্বর হোবার্ট
চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ৬ নভেম্বর গোল্ড কোস্ট
পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ৮ নভেম্বর ব্রিসবেন
অ্যাশেজ সিরিজ:
প্রথম টেস্ট ২১-২৫ নভেম্বর পার্থ
দ্বিতীয় টেস্ট ৪-৮ ডিসেম্বর ব্রিসবেন
তৃতীয় টেস্ট ১৭-২১ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড
চতুর্থ টেস্ট ২৬-৩০ ডিসেম্বর মেলবোর্ন
পঞ্চম টেস্ট ৪-৮ জানুয়ারি সিডনি।
ঢাকা/আমিনুল