নিজেকে কারাগারে পাঠানোর আর্জি জামায়াত আমিরের
Published: 24th, February 2025 GMT
আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া না হলে নিজেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এক পথসভায় যোগ দিয়ে তিনি এই আর্জি জানান।
ডা. শফিকুর রহমান জানান, পরিবর্তিত বাংলাদেশে এখনো জুলুমের বোঝা ঘাড় থেকে নামেনি। জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে এখনো কারাগারে। দ্রুত তাকে মুক্তি দেওয়া না হলে নিজেকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানোর দাবি জানান তিনি।
আরো পড়ুন:
যানজটে জামায়াত আমিরের গাড়িবহর, ছাড়াতে গিয়ে বাসচাপায় কর্মীর মৃত্যু
জামায়াত নেতার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মব জাস্টিস আর অ্যালাউ করা যাবে না, অনেক হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘মব জাস্টিস আর অ্যালাউ (অনুমোদন) করা যাবে না। অনেক হয়েছে। কারও কোনো কিছু বলার থাকলে আইনের আশ্রয় নেবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে যশোরের সশস্ত্র বাহিনী ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন। যশোর জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে এ মতবিনিময় সভা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন থানা থেকে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার সব এখনো আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। যত দ্রুত সম্ভব এসব অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।
জামিনে দাগি সন্ত্রাসীদের মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অনেক বড় বড় সন্ত্রাসী জামিনে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। আমাদের আরও বেশি কেয়ারফুল হতে হবে। জামিনের বিষয়টা তো আমাদের হাতে নেই। জজরা বিচার-বিবেচনা করে জামিন দিচ্ছেন।’ এ বিষয়ে আদালতের পিপির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সরকারি আমলাদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা অরাজনৈতিক সরকার। আমাদের কাছ থেকে আপনারা বেশি সুবিধা নিতে পারেন। চাকরির পোস্টিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা অনুরোধ-তদবির অ্যাভয়েড (এড়াতে) করতে পারি। শতভাগ হয়তো পারিনি। তবে যতটা সম্ভব, আমরা অনুরোধ না রাখার চেষ্টা করছি। থানার ওসি যেন ঘুষ না খায়, সেটা আপনারা দেখবেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়ের সংখ্যা বেড়ে গেছে। আত্মীয় পরিচয়ে কেউ কোনো সুবিধা নিতে গেলে প্রথমবার চা খাওয়ায়ে বিদায় করবেন। দ্বিতীয়বার পুলিশে সোপর্দ করবেন। কোনো রিকোয়েস্ট থাকলে আমি নিজে ফোন করব।
মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মাদক। ১৫ হাজার বোতল ফেনসিডিল ছাইড়া দিয়ে ৫০০ বোতল রিকভার (উদ্ধার) দেখান, এটা বন্ধ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলামসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।