ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আনিকা মেহেরুন নেছার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার মাকসুদ ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, লাশটি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ডিএমপি নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো.
আনিকা মেহেরুন নেছার বাড়ি নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায়। ঘটনার পর তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আশ্রয় নিয়ে খেয়ে দেয়ে ৪ শিশুসহ চম্পট, পরে ওই নারীকে আটক
রংপুরে এক বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে খেয়ে দেয়ে ৪ শিশুসহ চম্পট দিয়েছে এক নারী। পরে রংপুর রেলস্টেশন থেকে চার শিশুসহ আদুরী বেগম (৪০) নামে ওই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত ১১টার দিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় তাকে আটক করা হয়।
আটক আদুরী বেগম কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার মনসুর আলীর স্ত্রী। তিনি রংপুর নগরীর বাবুপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, রংপুর নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তপোধন গ্রাম থেকে চার শিশু নিয়ে ওই নারী ইফতারের পর উধাও হন। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে অবগত করা হয়। রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নেয়। এরপর রেলস্টেশন এলাকা থেকে ৪ শিশুসহ তাকে আটক করা হয়।
উদ্ধারকৃত চার শিশু
শিশুদের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দিনের বেলা আদুরী বেগম তপোধন গ্রামে এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় চান। বাড়ির অভিভাবক আশিকুল ইসলাম তাকে আশ্রয় দেন। ওই নারী রাতে সেখানে থাকেন এবং সাহরি খান। সারাদিনও ওই বাড়িতেই অবস্থান করেন এবং সন্ধ্যায় ইফতারও করেন। তবে ইফতারের পর ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী চার শিশুকে নিয়ে তিনি উধাও হয়ে যান। সন্তানদের না পেয়ে অভিভাবকরা দ্রুত পুলিশকে বিষয়টি জানান।
এরপর রাতে রেলস্টেশনে শিশুদের নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে আটক করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে মারধরের চেষ্টা করে।
রংপুর রেলস্টেশনের সুপার শংকর গাঙ্গুলি জানান, ধারণা করা হচ্ছে, চার শিশুকে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল।
রংপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন, “আমরা ৪ শিশুসহ আদুরী বেগম নামে এক নারীকে আটক করেছি। পরে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসির উপস্থিতিতে পুলিশি হেফাজতে শিশুসহ ওই নারীকে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ঢাকা/আমিরুল/টিপু