ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আনিকা মেহেরুন নেছার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার মাকসুদ ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, লাশটি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ডিএমপি নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো.
আনিকা মেহেরুন নেছার বাড়ি নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায়। ঘটনার পর তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দৌলতপুর সীমান্তে মাদকসহ ৩ ভারতীয় নাগরিক আটক
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে ৬৯ বোতল ফেনসিডিলসহ তিন ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় দৌলতপুর উপজেলার চরচিলমারীর ডিগ্রিরচার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) পক্ষ থেকে লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি জানায়, বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৮৪/২-এস হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ডিগ্রীরচর এলাকার ময়েজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে নিজাম মন্ডলের বাড়িতে বিজিবির সদস্যরা মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময়ে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার নিজাম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে জুয়েল মন্ডল (২৫), শাহাদ আলী মন্ডলের ছেলে রাকিবুল মন্ডল (৩৫), কালাচাঁদ মন্ডলের ছেলে বাপন মন্ডলকে (৩২) ৬৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে।
এ ঘটনায় জড়িত বাংলাদেশি নাগরিক নিজাম মন্ডল (৪৫) ও তার সহোদর শরিফ মন্ডল (২৫) পলাতক রয়েছে। এছাড়াও পৃথক আরেক অভিযানে তেঁতুলবাড়ী বিওপি এলাকার হাটপাড়া নামক স্থান থেকে মালিকবিহীন অবস্থায় ১৪ কেজি গাঁজা এবং চরচিলমারী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ আকন্দপাড়া নামক স্থান থেকে ভারতীয় ৪শ’ ৮৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জব্দ মাদকদ্রব্যের আনুমানিক সিজার মূল্য- ২ লক্ষ ২২ হাজার ১শ’ টাকা। এছাড়াও ভারতীয় চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরপূর্বক দৌলতপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মালিকবিহীন অবস্থায় জব্দ গাঁজা ও ইয়াবা ধ্বংসের লক্ষ্যে ব্যাটালিয়ন সদর মাদক স্টোরে সংরক্ষণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।