চুরি করা কার্ডে টিকিট কিনে লটারি জয়
Published: 24th, February 2025 GMT
ভাগ্য যাচাই করতে অনেকে লটারির টিকিট কেনেন। ফ্রান্সের দুই বাসিন্দাও নিজেদের ভাগ্য যাচাই করতে লটারির টিকিট কিনেছিলেন। সেই টিকিটেই খুলে যায় সৌভাগ্যের দুয়ার, জিতে যান ৫ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা!
অবশ্য লটারিতে এত বড় অঙ্কের পুরস্কার জিতে গেলেও তা দাবি করতে পারছেন না ওই দুই ব্যক্তি। কারণ, তাঁরা লটারির টিকিটটি কিনেছেন চুরি করা ব্যাংক কার্ড দিয়ে।
পুরস্কার দাবি করতে হলে ওই দুই ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে আসতে হবে। আর সামনে এলে আছে চুরির দায়ে গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা। চুরি হওয়া কার্ডের মালিক জ্যঁ-ডেভিডই লটারিজয়ী ওই দুই ব্যক্তিকে তাঁর সঙ্গে পুরস্কার ভাগাভাগি করে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। পুরস্কারের অর্থ ভাগাভাগির পাশাপাশি ওয়ালেটও ফেরত চেয়েছেন তিনি।
দুই চোর তাঁর প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়েছেন কি না, তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে গত শনিবার এফডিজে লটারি পরিচালনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কেউ লটারি বিজয়ী টিকিট জমা দিয়ে পুরস্কারের অর্থ দাবি করেননি।
জ্যঁ-ডেভিডের আইনজীবী শনিবার বলেছেন, এটা অবিশ্বাস্য এক গল্প, কিন্তু এটা একদম সত্যি। এ মাসের শুরুতে গাড়ির ভেতর থেকে জ্যঁ-ডেভিডের ব্যাগটি খোয়া যায়। সেটির ভেতর তাঁর ওয়ালেট, ব্যাংক কার্ড এবং অন্যান্য নথিপত্র ছিল। জ্যঁ-ডেভিড ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে তাঁর কার্ডের লেনদেন বন্ধ করে দিতে বলেন এবং তখনই জানতে পারেন, তাঁর কার্ডটি এরই মধ্যে স্থানীয় একটি দোকানে ব্যবহার করা হয়েছে।
ওই দোকানে গেলে একজন বিক্রেতা জ্যঁ-ডেভিডকে বলেন, গৃহহীনের মতো দেখতে দুই ব্যক্তি একটি কার্ড দিয়ে লটারির টিকিট কিনেছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকের বন্ধুতালিকা ‘রিসেট’ করার ভাবনা ছিল জাকারবার্গের
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে মেটার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মামলার বিচার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ সোমবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। শুনানিতে আদালতে উপস্থাপন করা হয় মেটার অভ্যন্তরীণ কিছু ই–মেইল, যেখানে উঠে আসে এক সময় সবাইকে ফেসবুকে বন্ধু তালিকা ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে বাধ্য করার এক অভিনব প্রস্তাব।
২০২২ সালে পাঠানো একটি ই–মেইলে জাকারবার্গ লেখেন, বন্ধু তৈরিতে দ্বিগুণ জোর। সবাইকে তাঁদের বন্ধুতালিকা (গ্রাফ) মুছে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিশোর-তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ায় ফেসবুকের ব্যবহার কমছিল। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের সক্রিয়তা বাড়াতে নতুন কিছু ভাবনার অংশ হিসেবেই জাকারবার্গ ওই প্রস্তাব দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে মেটার অভ্যন্তরেই প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। ফেসবুক বিভাগের প্রধান টম অ্যালিসন ই–মেইলের জবাবে লেখেন, আপনার প্রস্তাবিত প্রথম বিকল্পটি (বন্ধু সংযোগে জোর) আমার কাছে বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। ইনস্টাগ্রামে বন্ধু সুবিধাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি অকার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
জাকারবার্গ আরও একটি বিকল্প প্রস্তাব করেছিলেন। ফেসবুককে বন্ধুভিত্তিক মাধ্যমের বদলে অনুসরণভিত্তিক (ফলোয়ার) মাধ্যমে রূপান্তর করার চিন্তা ছিল তাঁর। যদিও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি, তবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে উঠে আসা এসব ভাবনা থেকে প্রযুক্তি মাধ্যমটি ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটতে চায়, তার একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ২০২০ সালে মেটার বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতা-বিরোধী মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিযোগীদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। এফটিসির ভাষ্য, সম্ভাবনাময় প্রতিযোগীরা যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তখন মেটা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে কিনে নিয়ে সেই ‘হুমকি’ দূর করেছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনশীল মাধ্যমগুলোকে হুমকিস্বরূপ মনে করে অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাবিরোধী একক আধিপত্য গড়ে তুলেছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস