গত বছরের আগস্টে মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির যৌন হয়রানি নিয়ে হেমা কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয় ভারতে। মালায়ালাম সিনেমার অভিনেতা সিদ্দিকি, পরিচালক রঞ্জিত বালকৃষ্ণনসহ একাধিক খ্যাতিমান তারকার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে।
সময় প্রবাহের সঙ্গে বিষয়টি ‘পুরোনো’ হলেও আদতে তা নয়। এবিপি নেটওয়ার্ক আয়োজিত অনুষ্ঠানে হেমা কমিটির রিপোর্ট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলিউড অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকার।
‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’ তারকা ভূমি বলেন, “ভারতের সব ভাষার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এই ধরনের নিয়ম মানা হয় না। কয়েকটি ভাষার বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে মানা হয়। এই রিপোর্ট যেসব ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে, তা নির্মমতার দৃষ্টান্ত। এই ধরনের ঘটনা যেভাবেই হোক বন্ধ করতে হবে।
আরো পড়ুন:
৪৭৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে রাশমিকার সিনেমার আয়
বিয়ে করেছেন নার্গিস ফাখরি নাকি শুধুই গুঞ্জন
উদ্বেগ জানিয়ে ভূমি পেডনেকার বলেন, “মুম্বাইয়ে আমার সঙ্গে আমার এক বোন থাকে, ও কলেজে পড়ে। রাত ১১টার মধ্যে যখন ও বাড়ি না ফিরে তখন ভীত হয়ে পড়ি, ঘাবড়ে যাই। সংবাদমাধ্যমের প্রথম পাতায় শুধু নারীর ওপরে সহিংসতার খবর যখন পড়তে হয়, তখন এতে সমস্যা হয়। এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, এটি নিয়মিত ব্যাপার।”
ভূমি পেডনেকার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি’। গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এটি। মুদাসসার আজিজ নির্মিত এ সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন— অর্জুন কাপুর, রাকুল প্রীত সিং প্রমুখ।
তথ্যসূত্র: দ্য প্রিন্ট
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
লিবিয়ার মিসরাতা শহরে অভিযান চালিয়ে ২৩ অপহৃত বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিবিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাস এমন তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, লিবিয়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ২৩ জন অপহৃত বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে এবং এ ঘটনায় জড়িত দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। মিসরাতার আল-গিরান থানায় বেশ কয়েকজন বিদেশিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি এই তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি ও গ্রেপ্তারদের আল-গিরান থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে বাংলাদেশ দূতাবাস মিসরাতার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে উদ্ধার বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে বলে জানিয়েছে।