গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ করার দাবিতে রেললাইন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর ফলে উত্তর বঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ২০মিনিটের দিকে কালিয়াকৈরে উপজেলার হাইটেক রেল স্টেশনের সামনের রেললাইন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীরা জানান, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (বিডিইউ) নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তাদের এ নাম পছন্দ হয়নি। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি রাখতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাম পরিবর্তন করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। 

আরো পড়ুন:

ঢাকার পথে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: বিএনপি ও যুবদলের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

এর আগেও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও করেছিলেন।

আজ সকালে শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে তারা পাশেই হাইটেক রেল স্টেশনের সামনে অবস্থান নিয়ে রেললাইন অবরোধ করেন।

জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে রেললাইন অবরোধ করেছে। তারা সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন কিছু সময় আটকে রেখেছিল, পরে ছেড়ে দিয়েছে। তবে সাময়িক সময়ের জন্য ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।”

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ ড জ ট ল ইউন ভ র স ট

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ