খুবির দুই ছাত্রকে ১৭ দিন গুম রেখে পরে ছয় মামলা
Published: 24th, February 2025 GMT
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থীকে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি তুলে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ১৭ দিন অজানা স্থানে রেখে তাদের করা হয় নির্যাতন।
পরে ২৫ জানুয়ারি তাদের বিস্ফোরক দ্রব্যসহ গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। ওই দিনই তাদের খুলনার কৃষক লীগ কার্যালয় ও আড়ংঘাটা থানার গাড়ির গ্যারেজে বোমা হামলা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর একে একে তাদের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা করে পুলিশ। সেই থেকে পাঁচ বছর তারা কারাবন্দি। ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী হলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের নূর মোহাম্মদ অনিক ও পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের মোজাহিদুল ইসলাম রাফি।
গতকাল রোববার দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা গ্রেপ্তার ও মামলাগুলো বানোয়াট বলে দাবি করেন। সহপাঠী, রুমমেট, শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যরাও দুই ছাত্রকে নিরপরাধ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সহপাঠীরা বলেন, ছাত্র হিসেবে তারা দু’জনই ছিলেন মেধাবী। দীর্ঘদিন একসঙ্গে ক্লাস, গ্রুপ স্টাডি করার সময় কখনোই তাদের মধ্যে উগ্রতা দেখা যায়নি। এর মধ্যে অনিক তাবলিগে যুক্ত হন। ২০২০ সালে নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিন পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। উদ্ধারের পুরো বিষয়টি সাজানো ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তাদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় খালাস, দুটি মামলায় জামিন এবং সোনাডাঙ্গা থানার দুটি মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কারাগারে তারা অনশন শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুটি মামলায় জামিনের ব্যবস্থা করা হয়। সাজা হওয়া দুটি মামলায় উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তবে দুই বছর ধরে সেই আবেদনের শুনানি হচ্ছে না। জঙ্গি দোহাই দিয়ে সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
ছাত্রদের আইনজীবী আকতার জাহান রুকু বলেন, সম্পূর্ণ সাজানো তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সাজা দেওয়া হয়েছে। এ মামলার ন্যূনতম কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। হাইকোর্ট নথি দেখেই জামিন দিয়ে দেবেন। সমস্যা হচ্ছে, হাইকোর্ট এই মামলা শুনানি করতে রাজি হচ্ছে না।
কারাবন্দি অনিকের স্ত্রী সুমাইয়া বলেন, আড়াই বছরের সংসারজীবনে কখনও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়াতে দেখিনি। আমার ঘর থেকে যেসব উদ্ধার দেখানো হয়েছে, সেগুলো আমাদের ঘরে ছিলই না। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
দুই ছাত্রের সাজা হওয়া মামলা দুটি নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় করা। গত ৫ আগস্টের পর থানার সব কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। থানার ওসিসহ অন্যরা মামলা দুটির বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুবির দুই ছাত্রকে ১৭ দিন গুম রেখে পরে ছয় মামলা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থীকে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি তুলে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ১৭ দিন অজানা স্থানে রেখে তাদের করা হয় নির্যাতন।
পরে ২৫ জানুয়ারি তাদের বিস্ফোরক দ্রব্যসহ গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। ওই দিনই তাদের খুলনার কৃষক লীগ কার্যালয় ও আড়ংঘাটা থানার গাড়ির গ্যারেজে বোমা হামলা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর একে একে তাদের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা করে পুলিশ। সেই থেকে পাঁচ বছর তারা কারাবন্দি। ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী হলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের নূর মোহাম্মদ অনিক ও পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের মোজাহিদুল ইসলাম রাফি।
গতকাল রোববার দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা গ্রেপ্তার ও মামলাগুলো বানোয়াট বলে দাবি করেন। সহপাঠী, রুমমেট, শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যরাও দুই ছাত্রকে নিরপরাধ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সহপাঠীরা বলেন, ছাত্র হিসেবে তারা দু’জনই ছিলেন মেধাবী। দীর্ঘদিন একসঙ্গে ক্লাস, গ্রুপ স্টাডি করার সময় কখনোই তাদের মধ্যে উগ্রতা দেখা যায়নি। এর মধ্যে অনিক তাবলিগে যুক্ত হন। ২০২০ সালে নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিন পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। উদ্ধারের পুরো বিষয়টি সাজানো ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তাদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় খালাস, দুটি মামলায় জামিন এবং সোনাডাঙ্গা থানার দুটি মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কারাগারে তারা অনশন শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুটি মামলায় জামিনের ব্যবস্থা করা হয়। সাজা হওয়া দুটি মামলায় উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তবে দুই বছর ধরে সেই আবেদনের শুনানি হচ্ছে না। জঙ্গি দোহাই দিয়ে সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
ছাত্রদের আইনজীবী আকতার জাহান রুকু বলেন, সম্পূর্ণ সাজানো তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সাজা দেওয়া হয়েছে। এ মামলার ন্যূনতম কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। হাইকোর্ট নথি দেখেই জামিন দিয়ে দেবেন। সমস্যা হচ্ছে, হাইকোর্ট এই মামলা শুনানি করতে রাজি হচ্ছে না।
কারাবন্দি অনিকের স্ত্রী সুমাইয়া বলেন, আড়াই বছরের সংসারজীবনে কখনও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়াতে দেখিনি। আমার ঘর থেকে যেসব উদ্ধার দেখানো হয়েছে, সেগুলো আমাদের ঘরে ছিলই না। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
দুই ছাত্রের সাজা হওয়া মামলা দুটি নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় করা। গত ৫ আগস্টের পর থানার সব কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। থানার ওসিসহ অন্যরা মামলা দুটির বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি।