চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচারে বাধা নেই : আপিল বিভাগ
Published: 24th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচার বন্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচারে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে চ্যানেল ওয়ানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি দীর্ঘ ১৬ বছর পর আপিল দায়েরের অনুমতি পায় চ্যানেল ওয়ান। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে চ্যানেল ওয়ানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, পলাশ চন্দ্র রায়, কাজী আখতার হোসেন, মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, ব্যারিস্টার মারুফ ইব্রাহিম আকাশ এবং মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ।
দেশের বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল ওয়ান’ ১৬ বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। ২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার কিছু পর তৎকালীন সরকার ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ বন্ধ করে দেন। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক এবং প্রতিহিংসাবশত শেখ হাসিনা বিটিআরসিকে বাধ্য করে জনপ্রিয় এই গণমাধ্যমটির সম্প্রচারে হস্তক্ষেপ করেন।
পরে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা করেন চ্যানেল ওয়ান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সরাসরি তৎকালীন সরকারের অন্যায় নির্দেশে মামলার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
চ্যানেল ওয়ান এর লিগ্যাল অফিসার মিজান-উল হক বলেছেন, ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আবারও মামলা নিয়ে আদালতে গেলে চেম্বার জজ আপিল করার অনুমতি দেন।
আদালতের এমন আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চ্যানেল ওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। বলেন, অন্যায়ভাবে চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আজ আদালত ন্যায় বিচার করেছেন।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতাল
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে প্রশাসক নিয়োগের বিরুদ্ধে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরীর দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে করে সরকারের নিয়োগ দেওয়া প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল পরিচালিত হবে।
আজ শনিবার এ তথ্য জানান হাইকোর্টের আইনজীবী ইফতেখার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সরকারি অনুদান আত্মসাৎ এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগের ব্যাপারে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে সমাজসেবা অধিদপ্তর তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই ব্যাপারে গঠিত তদন্ত কমিটি বিস্তারিত অনুসন্ধান শেষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। যাতে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়।
তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ সালে হাসপাতালের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ দেয় সমাজসেবা। সংস্থার পরিচালক মোহাম্মদ সাব্বির ইমাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খানকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর প্রশাসক নিয়োগের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। শুনানির পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ জাহাঙ্গীর চৌধুরীর করা রিটটি খারিজ করে দেন। এতে করে প্রশাসক নিয়োগের আদেশ বহাল থাকে। ফলে এখন থেকে নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের আর কোনো বৈধতা থাকল না। প্রশাসকই এই হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে জানান আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের সভাপতির পদত্যাগসহ ১৪ দফা দাবিতে টানা আন্দোলনের জেরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক ও সমাজসেবা অধদিপ্তরের উপ-পরচিালককে সদস্যসচিব করা হয়েছিল।