কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও পাথর বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচজন। তাদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। হাইওয়ে পুলিশের চিরিঙ্গা থানার ওসি আরিফুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত নারীর নাম আইরিন নিগার (৩৫)। তিনি চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার ফাজিলহাট এলাকার নোমান রশিদের স্ত্রী। আহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। তারা সবাই বাসের যাত্রী।

আরো পড়ুন:

অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, প্রাণ গেল ২ যুবকের

সুনামগঞ্জে যাত্রীবাহী দু’ বাসের সংঘর্ষ, আহত ২০ 

ওসি আরিফুল আমিন বলেন, “চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় চট্টগ্রামমুখী হানিফ পরিবহনের বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা পাথর বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালকসহ ছয়জন আহত হন।”

তিনি আরো বলেন, ‍“স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক এক নারীকে মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পর পুলিশ বাস ও ট্রাকটি জব্দ করেছে। মারা যাওয়া নারীর মরদেহ চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।” 

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত স ঘর ষ উপজ ল চকর য়

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রশিক্ষণ-কর্মসংস্থান কার্যক্রম শুরু

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০ জনকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।

বুধবার দুপুর ১টায় রাজধানীর বাড্ডা সাঁতারকুল এলাকায় মাল্টিক্রাফট টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

ইকুয়ালিএবল ও বিদেশ ফাউন্ডেশন ইউএসএ নামের দুটি সংগঠনের আর্থিক সহায়তায় অ্যাসোসিয়েশন ফর ইকোনমিক্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অব বাংলাদেশ, মাল্টিক্রাফট টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ও বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন এই কার্যক্রম শুরু করেছে। 

আয়োজকরা জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আন্দোলনে আহতদের শারীরিক সক্ষমতা বিবেচনায় তাদের জন্য বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষন, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা, থাকা খাওয়ার পাশাপাশি ও প্রশিক্ষণ পরবর্তী তাদের কর্মসংস্থান পেতে সহায়তা দেওয়া হবে।

শুরুতে যে ১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তারা হলেন- পাবনার মিরাজুল ইসলাম, নেত্রকোনার আকাশ মিয়া, কিশোরগঞ্জের জুনায়েদ আহমেদ, টাঙ্গাইলের মানিক মিয়া, মাদারীপুরের নেসার উদ্দিন, বরিশালের আবির হোসেন, ঢাকার উত্তরার আশরাফউদ্দিন ইমন, ঢাকার মহাখালীর রানা মিয়া, বরিশালের হানিফ মিয়া ও সিলেটের জুবেল মিয়া। তাদের কেউ পা হারিয়েছেন, কেউ গুলি ও অন্যান্য আঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে নেসার উদ্দিন তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য সংগঠনগুলোকে ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

বিদেশ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শাহুদ আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ১০ জনকে নিয়ে শুরু পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে আরও প্রকল্প হাতে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাইফ মুস্তাফিজ সরকারকেও এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন আসিয়াব প্রতিনিধি রিয়াজুল ইসলাম, সন্তান ও অভিভাবক ফোরামের কেন্দ্রীয় সমন্বয় ডা. শাকিল আরিফ চৌধুরি, বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের  মহাসচিব ডা. ফরিদ উদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি ডা. ইশরাত জাহান, প্রকল্প সমন্বয়ক ডা. দলিলুর রহমান,  মাল্টিক্রাফট টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের প্রিন্সিপাল আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাদ উড়ে যাওয়ার পরও বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা 
  • যাত্রীবাহী লেগুনা ড্রেনে, দুই পোশাক শ্রমিক নিহত
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রশিক্ষণ-কর্মসংস্থান কার্যক্রম শুরু