নোয়াখালীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
Published: 24th, February 2025 GMT
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার তোতার বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চরজব্বর থানার ওসি শাহীন মিয়া গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।”
পুলিশ জানায়, মোজাম্মেল সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চরবাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি দুইটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি। ২০১৮ সালে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়ার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরো পড়ুন:
অপারেশন ডেভিল হান্ট: আরো গ্রেপ্তার ৫৮৫
চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি
রাত ১০টার পর বন্ধ থাকবে ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়ক
ওসি শাহীন মিয়া বলেন, “গ্রেপ্তার আসামি দুইটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। ২০১৮ সালে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে আরেকটি মামলা হয়। মামলার পর থেকে তিনি আত্নগোপনে ছিলেন। গেপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
ঢাকা/সুজন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
গৃহকর নিয়ে প্রশাসকের সঙ্গে বাসিন্দাদের হট্টগোল
গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) ধার্যের বিষয়টি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে হট্টগোল করেছেন অঞ্চল-৭-এর আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত গণশুনানির শেষের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি শেষ করে ওই অঞ্চলের চারটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সেখানে গৃহকর কীভাবে আদায় হবে, কী ছাড় পাওয়া যাবে—এসব বিষয়ে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে বলা হয়। হট্টগোলকারীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রশাসকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
গণশুনানিতে দেখা যায়, নাগরিক সেবা নিয়ে চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন সংকট, সমস্যা ও অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, তাঁরা ২০১৮ সাল থেকে নয়, ২০২৪ সাল থেকে গৃহকর পরিশোধ করবেন। প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বাসিন্দাদের বলা অভিযোগগুলোর সমাধান, পদক্ষেপ ও করপোরেশনের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় নিয়ে বাসিন্দাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন।
প্রশাসকের বক্তব্য ছিল, আইন অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকেই গৃহকর পরিশোধ করতে হবে। তবে গৃহকরের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা ও সড়ক বাতি বাবদ যে কর আদায় করা হয়, সেই ৫ শতাংশ কর আপাতত আদায় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিধিমালা অনুযায়ী গৃহকরে একজন গ্রাহক যেসব ছাড় পান, সেসব ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলেও জানান। সেই হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে যে টাকা কর আসবে, ২০১৮ থেকে একই পরিমাণ কর দিতে হবে।
কিন্তু প্রশাসকের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি শুনানিতে অংশ নেওয়া বাসিন্দারা। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে এর প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সামনের সারিতে বসা কিছু ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে মঞ্চে থাকা প্রশাসকের সামনে গিয়ে বলতে থাকেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানেন না। তাঁরা ২০২৪ সাল থেকেই কর দেবেন।
মিনিট পাঁচেক এমন হট্টগোল আর চেঁচামেচি চলে। ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত হওয়া ব্যক্তিদের শান্ত করেন।
ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত ব্যক্তিদের শান্ত করার চেষ্টা করেন