কোনো ধরনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা কারণ ছাড়াই পুঁজিবাজারে প্রকৗশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এমন তথ্য জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ডিএসই ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডকে চিঠি পাঠানো হয়। তবে, ডিএসইর চিঠির কোনো জবাব দেয়নি কোম্পানিটি। গত রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর ওয়েবসাইট এবং গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর কোম্পানিটি চিঠির জবাব দেয়।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান, বেড়েছে লেনদেন

ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের নাম পরিবর্তনে ডিএসইর সম্মতি

ডিএসইর চিঠির জবাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ছে।

প্রসঙ্গত, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের গত ২৬ জানুয়ারি শেয়ার দর ছিল ১১.

১০ টাকা। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.১০ টাক। কয়েক দিনের মধ্যে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ টাকা বা ২৭ শতাংশ। এভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/এনটি/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এসইর ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৬ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। একইসঙ্গে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার ৪২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১.১১ পয়েন্ট বা ০.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২০০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৯.২২ পয়েন্ট বা ০.৪৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯০৯ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭.১৯ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৬২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ০.৯২ পয়েন্ট বা ০.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬ পয়েন্টে।

আরো পড়ুন:

৬ মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ

পুঁজিবাজারে সূচকের পতন

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৯১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ৪৫১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১০৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৪৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৯টি কোম্পানির, কমেছে ২০৩টির ও অপরিবর্তিত আছে ৩৭ টির। তবে, ১৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়নি।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১.৮৭ পয়েন্ট বা ০.২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৪৯ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৯০৫ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.০৮ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৭৯৪ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.১৩ শতাংশ কমে ৯৪১ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১.৮৭ শতাংশ কমে ২ হাজার ১০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২ হাজার ৪৬৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৯৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১১৯টি কোম্পানির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭টির।

ঢাকা/এনটি/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
  • ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের নাম পরিবর্তনে ডিএসইর সম্মতি
  • ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ০.৪১ শতাংশ
  • পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা
  • সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে গ্রামীণফোন