দর বৃদ্ধির কারণ জানে না ইয়াকিন পলিমার
Published: 24th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণ জানে না বলে আবারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি ডিএসই কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠায়।
এর জবাবে কোম্পানিটি পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানিটির শেয়ার দর এভাবে বাড়ছে।
এসকেএস
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
এই ৭ আচরণ বা অভ্যাস আপনাকে অনেকের মধ্যে আলাদা করবেই
১. অন্যের কথার মধ্যে নাক না গলানো
মনে হতে পারে, এ আর এমন কী কঠিন কাজ! কারও কথার মধ্যে বাধা না দিলেই তো হয়। কিন্তু আপাত সহজ এই কাজটাই বেশির ভাগ লোকের পক্ষে করা বেশ কঠিন। আলাপ চলার সময় অনেকে বুঝতেই পারেন না, কখন তাঁরা অন্যের কথার মধ্যে নাক গলাচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা এটা প্রায়ই করেন। কাজটা হয়তো তাঁরা সচেতনভাবে করেন না, কিন্তু করেন। মূলত তাঁরা অন্যের কথায় নাক গলানো বা বাধা দেন একধরনের অনিরাপত্তা বোধ থেকে। আমরা আদতে মনোযোগ চাই। নিজের উপিস্থিতি জানান দিতে চাই। চাই অন্যেরা আমাকে দেখুক, শুনুক, আমি আছি। যখনই এর অভাব ঘটে, তখনই আমাদের মধ্যে একধরনের অনিরাপত্তাবোধ তৈরি হয়। ফলে অন্য কেউ যখন কথা বলে, তখন মনোযোগ নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিতেই আমরা অনিচ্ছাকৃতভাবে আলাপে বাধা দিয়ে ফেলি। নিজে কথা বলে উঠি।
এ ধরনের আচরণ আমাদের প্রতি অন্যের শ্রদ্ধাবোধ নষ্ট করে। এ জন্য অন্যকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। নিজে বেশি না বলে অন্যকে বরং জায়গা দিতে হবে। অন্যের কথা শুনতে হবে, যেটা বড় নেতারাও করেন।
মনে রাখতে হবে, নিজের কথাও বলতে হবে, তবে এতে অত তাড়াহুড়ার প্রয়োজন নেই। অন্যকে কথা বলার এই সুযোগদান আপনাকে অনেকের মধ্যে দিন দিন আলাদা করেই তুলবে।
২. গড়পড়তা না হয়ে বিশেষ বিষয়ে দক্ষতা অর্জনকোনো একটি বিশেষ বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠা খুব একটা সহজ নয়। আপনার আশপাশে দেখবেন, অনেকেই প্রায় সব বিষয়েই জানেন বা পারেন, কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে? দেখবেন, তাতে অনেকেই বিশেষজ্ঞ নন। তাঁরা গড়পড়তা। তাঁদের চেয়ে আলাদা হতে হলে আপনাকে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।
কোনো বিশেষ বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠার মানে এটাও যে আপনি অন্যদের চেয়ে অধ্যবসায়ী ও সংকল্পবদ্ধ। আপনি হতে পারেন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, অভিনেতা, ব্যাংকার, সাংবাদিক কিংবা যেকোনো পেশাজীবী। তবে আপনার বিশেষত্ব কী? আপনি কি সবার চেয়ে আলাদা? কিংবা যিনি আলাদা, তিনি কেন বাকি সবার মতো নন? খেয়াল করে দেখবেন, সব অভিনেতাই সেলিব্রেটি হন না, সব খেলোয়াড়ও চ্যাম্পিয়ন নন। তাই আপনার চারপাশের লোকদের মধ্যে কোনো বিশেষ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করুন। সেটাই আপনাকে আলাদা করবে সহজে।
আরও পড়ুনমুখের আকার দেখে কি আপনার ব্যক্তিত্ব বলে দেওয়া সম্ভব২৩ ডিসেম্বর ২০২৪৩. উপস্থিতিতেই নজর কাড়ুনযেকোনো স্থানে আপনার উপস্থিতি আলাদা করে বুঝিয়ে দিন। সামান্য ব্যতিক্রমী হলেও কিছু করুন। এর মানে এই নয় যে আপনি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য হাস্যকর, অদ্ভুত কোনো আচরণ করবেন, অথবা অদ্ভুত ধরনের পোশাক পরবেন। তাই এমন কিছু করুন বা পরুন, যাতে ভিড়ের মধ্যে আপনার উপস্থিতি আলাদাভাবে নজর কাড়ে।
আলাদা করে মানুষের নজর কাড়তে গিয়ে অনেক সময় কেউ কেউ হাসির পাত্রে পরিণত হন। সেদিকটায় খেয়াল রাখতে হবে। হয়তো আপনি সাদামাটা পোশাকই পরলেন, কিন্তু টাই হলো আলাদা। হাতঘড়ি, ব্রেসলেট অথবা পায়ের মোজা দুটি কিছুটা ব্যতিক্রমী হলো।
মানুষের মনোযোগ আকর্ষণে আপনি হয়তো কথায় কথায় অট্টহাসি দিলেন না, কিন্তু ঠোঁটের কোণে লেগে রইল স্মিত মিষ্টি হাসি। সারাক্ষণ ভাঁড়ামো করলেন না, কিন্তু পরিচয় দিলেন পরিমিত রসবোধের।
মনে রাখবেন, আপনার নজরকাড়া উপস্থিতির কারণেই আপনাকে আলাদা করে মনে রাখবে অনেক মানুষ।
৪. সমালোচনায় সর্বংসহা হোনবেশির ভাগ মানুষই সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। সামান্যতেই আহত বোধ করেন। কিন্তু ভিড়ের মধ্যে আলাদা হতে গেলে আপনাকে সমালোচনায় সর্বংসহা হতে হবে, মানুষের আক্রমণে থাকতে হবে অবিচল।
মানুষ বুঝে না বুঝে আপনার সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু আপনাকে তা ঠান্ডা মাথায় মোকাবিলা করতে হবে। যে সমালোচনা যৌক্তিক, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের দুর্বলতা শুধরে ফেলুন। আর অযৌক্তিক সমালোচনা এড়িয়ে যান সযত্নে।
সব সমালোচনা হাসি মুখে সামাল দিতে পারলে মানুষ দিন শেষে আপনার হাসিমাখা মুখটাই মনে রাখবে। আর সমালোচনায় বিরক্ত হলে, মানুষ আপনার বিরক্তিভাবটাই মনে রাখবে, এর পেছনের কারণ নয়। সমালোচনা সহ্য করার এই গুণ আপনার আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
৫. এমন কিছু শেয়ার করুন, যা করতে বুকের পাটা লাগেকিছু মানুষ নিজের দুর্বল দিক তুলে ধরেও মানুষের প্রশংসায় ভাসেন। কেন? কারণ, তাঁরা এমন কিছু শেয়ার করেন, যা করতে বুকের পাটা লাগে। কিছু দুর্বল দিক শেয়ার করলে মানুষ দৃশ্যত আপনার ভেতরে খুঁত খুঁজে পাবে ঠিকই, কিন্তু এটা আপনাকে সামাজিকভাবে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলবে।
ধরুন, আপনি একসময় চরম দরিদ্র ছিলেন। কিন্তু এখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত। আপনার দারিদ্র্য তুলে ধরলে কেউ কেউ হয়তো এটাকে আপনার দুর্বলতা ভেবে ভুল করবে, কিন্তু বেশির ভাগের কাছেই আপনি সংগ্রামী এবং লড়াকু হিসেবে প্রশংসিত হবেন।
দুর্বল দিক তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে পারেন, বিষয়টা যেন আপনার হেরে যাওয়া মনোভাবের পরিচায়ক না হয়। বরং তা যেন অন্যদের জন্য হয়ে ওঠে প্রেরণাদায়ী। এমন আপাত দুর্বল দিক আপনাকে অন্যের সামনে সবল করেই উপস্থাপন করবে।
আরও পড়ুনছবিতে প্রথমে কী দেখতে পাচ্ছেন? জেনে নিন আপনি মানুষ হিসেবে কেমন২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫৬. শরীর যেখানে, মনও সেখানেমাঝেমধ্যে খেয়াল করবেন, কিছু মানুষ কোনো অনুষ্ঠানে একত্র হলেও তাঁদের মন সেখানে নেই। তাঁদের শরীর এক স্থানে তো মন আরেক জায়গায়। ফলে তাঁরা মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন, হাসছেন, মিশছেন বটে, আদতে কিছুই করছেন না। তাঁদের মন যেন ‘হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কোন্খানে।’
কোনো মিলনমেলায় আপনি ‘ওখানে’ই থাকুন। অর্থাৎ আপনার শরীর যেখানে, মনটাকেও সেখানেই রাখুন। আপনার সামনের মানুষটাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন। তাঁর কথাই সবচেয়ে মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
আপনার এই মনোযোগ মানুষকে আপনার প্রতি আরও মনোযোগী করবে। আপনার শরীর-মনের এই যৌথ উপস্থিতি আপনাকে অন্যের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণই করবে।
৭. বেশি ভালো ভালো নয়কথায় বলে, বেশি ভালো ভালো নয়। এটা মাথায় রাখুন। সব সময় অতিরিক্ত ভালোমানুষি দেখাবেন না। মাঝেমধ্যে ‘খারাপ’ হোন! ভাবছেন, এ কেমন সুপরামর্শ? শুনুন, সব সময় খারাপ আচরণ করা, আর মাঝেমধ্যে রুদ্রমূর্তি ধারণ করা এক নয়।
অনেক মানুষ সাত চড়েও রা করেন না। ফলে বাকিরা তাঁকে বোকা হিসেবেই চিহ্নিত করে। একটানা এই ভালোমানুষী তাঁর সম্পর্কে মানুষের প্রত্যাশাও বাড়িয়ে দেয়। ফলে কোনো সময় প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সামান্য ফারাকও অন্যরা মেনে নিতে চান না। আবার একটানা ভালো আচরণ মানুষের ভেতরে একঘেয়েমি তৈরি করে, অন্যরাও তাঁকে একঘেঁয়ে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে।
তাই মাঝেমধ্যে সামান্য ‘দুষ্টু’ হওয়ায় তেমন ক্ষতি নেই। এতে সম্পর্কে বৈচিত্র্য আসে। একঘেঁয়েমি কাটে। মানুষও আপনাকে নির্বোধ ভাবায় ক্ষান্তি দেবে। আপনাকে যে চাইলেই ‘ব্যবহার’ করা যায় না, সেটাও লোকজনকে বুঝতে দিতে হবে। আর জানেনই তো, যাকে চাইলেই পাওয়া যায়, অর্থাৎ যার সরবরাহ বেশি, তার চাহিদাও কম।
সুতরাং নিজেকে আলাদা করে তুলে ধরতে মাঝেমধ্যে কম ভদ্র, দুষ্টুমিষ্টি আচরণ করুন। এতে মানুষ আপনাকে আরও ভালোইবাসবে।
সূত্র: মিডিয়াম
আরও পড়ুনজীবনের সবচেয়ে বড় ভুল কোনটি?১৪ এপ্রিল ২০২৪