জুনে নেপালের বিদ্যুৎ আসবে বাংলাদেশে
Published: 24th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ত্রিপক্ষীয় এক চুক্তির আওতায় ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করবে নেপাল। জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য নেপাল থেকে এই বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হবে। ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি হয় গত বছর ৩ অক্টোবর। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারত। চুক্তিতে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশে নেপালের বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
নেপাল তাদের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাবে। এর মধ্যে দেশটির ত্রিশুলি থেকে ২৫ মেগাওয়াট এবং চিলমি হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট থেকে ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে বাংলাদেশে।
নেপালি সংবাদমাধ্যম নেপাল মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার বিদ্যুৎ সম্পর্ক জোরদার করতে ভারতের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে আগামী জুনে। সম্প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালি রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়ে জানান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভারতের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই বিদ্যুৎ রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করাই এই চুক্তির লক্ষ্য।
ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, নেপাল ২০২৫ সাল থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরের ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। নেপাল থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বাংলাদেশ কিনবে ৮ দশমিক ১৭ রুপিতে। যার মধ্যে ভারতের সঞ্চালন লাইনের খরচও থাকবে।
রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি নেপাল মনিটরকে বলেন, নেপালের বিশাল জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বছরগুলোতে আরও বেশি বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে চায় নেপাল।
তিনি বলেন, আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি বাড়ানোর আশা করছি। এতে কেবল বাংলাদেশই উপকৃত হবে না, বরং নেপালকে তার প্রাকৃতিক সম্পদের আরও ভালো ব্যবহারে সহায়তা করবে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
ইলিশ: দাম স্বাভাবিক, ক্রেতা কম
বাংলা নববর্ষ উদযাপনে পান্তা ইলিশের একটি রেওয়াজ আছে। প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ এলে বাজারে ইলিশের চাহিদা ও দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এবার বাজারে বড় সাইজের ইলিশের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতা কম বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক কেজি বা একটু বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সুইটি রানী রাইজিংবিডিকে বলেন, “পয়লা বৈশাখে পান্তা ইলিশ না খেলে নববর্ষ উদযাপন হবে কী করে? তাই স্বামীকে নিয়ে ইলিশ নিতে এসেছি। এখানে ভালো মানের ইলিশ পাওয়া যায়। আমি এক কেজি ওজনের দুটি ইলিশ নিয়েছি। আমার কাছ থেকে চার হাজার টাকা রেখেছে। গত সপ্তাহেও এই দামে নিয়েছি।”
আরো পড়ুন:
কড়া নাড়ছে ঈদ, চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা
শেষ মুহূর্তে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা
সাজ্জাদুল ইসলাম নামের আরেকজন ক্রেতা রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের অফিসের জন্য ১৫ কেজি ইলিশ নিয়েছি। অফিসের সবাই ইলিশ দিয়ে নববর্ষ উদযাপন করব। ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম রেখেছে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে। অন্য সময় হয়তো ১ হাজার ৫০০ তে পেতাম। তবে এখানকার মাছগুলো টাটকা।”
পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছ কিনতে আসা কাইয়ুম মজুমদার রাইজিংবিডিকে বলেন, “এবার বাজারে অন্য বছরের তুলনায় ইলিশের দাম কম দেখলাম। বড় ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা মধ্যে। কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত রয়েছে তাদের পক্ষে এই দামেও ইলিশ কেনা সম্ভব না।”
কারওয়ান বাজারে সুজন মৎস্য আড়ৎ এর স্বত্বাধিকারী মো. সুজন সিকদার রাইজিংবিডিকে বলেন, “বাজারে এখন পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ সরবরাহ থাকার কারণে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের দাম বাড়েনি। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। নদীর ইলিশের চাহিদা বেশি। এখন ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে আগে যেমন পয়লা বৈশাখে বাজারে ভিড় থাকত। এ বছর ভিড় দেখছি না, বিক্রিও কম।”
বাবুল মৎস্য আড়ৎ এর ইলিশ বিক্রেতা বাবুল মোল্লা রাইজিংবিডিকে বলেন, “এবার বাজারে ইলিশের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এর অন্যতম কারণ বড় ইলিশ মাছের সরবরাহ ঠিক আছে।”
ঢাকা/রায়হান/সাইফ