মুন্সীগঞ্জে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড
Published: 24th, February 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে বৈদ্যুতিক বাতি বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের পঞ্চম তলার একটি কক্ষে ঘটনাটি ঘটে।
মুন্সীগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, “রাত সাড়ে ৯টার দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি টিম হাসপাতালে যায়। তারা পৌঁছানোর আগেই হাসপাতালে থাকা নির্বাপন সরঞ্জাম দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিরা। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথামিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
রামেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, রোগীদের ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেলে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা.
ঢাকা/রতন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পাঁচ দাবিতে সড়ক অবরোধ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের
এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে রংপুরে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। গতকাল শনিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তির শিকার হন মানুষ।
কর্মসূচিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ, প্রাইম মেডিকেল কলেজ, কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ ও আর্মি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অংশ নেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যে পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আলটিমেটাম দেন তারা। অন্যথায় সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করার হুঁশিয়রি দেন।
দাবির কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবেন না। বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। বিএমডিসি থেকে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
আন্দোলনকারীরা আরও বলেন, উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট এবং এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওষুধ লিখতে পারবেন না। পাশাপাশি রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরে কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না। স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সব শূন্য পদ পূরণ করতে হবে।
আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে আগের মতো ষষ্ঠ গ্রেডে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে। সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করার দাবি জানান তারা।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলছেন, এরই মধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের স্যাকমো পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। নতুনভাবে ম্যাটসে ভর্তি বন্ধ করতে হবে। ম্যাটস শিক্ষার্থীদের প্যারামেডিকসে প্রবেশ দিয়ে সম্পূর্ণভাবে ম্যাটস বন্ধের পাশাপাশি চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করার কথা বলেন তারা।
রংপুর মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও আন্দোলনকারী ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং মন্ত্রণালয়ের হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রংপুর অঞ্চলের মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আন্দোলনে নেমেছেন। এরই অংশ হিসেবে তিন দিন বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করা হয়েছে।
২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি এবং ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে মাহফুজুর রহমান বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।