ত্রাণ উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতের সাক্ষাৎ
Published: 24th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারক ই আজমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত জুলি বিশপ।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে উপদেষ্টার দপ্তরের তিনি সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা উভয়েই বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মানবিক বিবেচনায় আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। তবে এই সঙ্কটটির সমাধান নিহিত রয়েছে মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের ওপর। আমরা চাই প্রত্যাবর্তন বিষয়ে জাতিসংঘ স্পষ্ট একটি রোডম্যাপ তৈরি করুক।’
সভায় উপস্থিত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। বিশেষ দূত সার্বিক বিষয়ে অবহিত হয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দীর্ঘসময় ধরে অবস্থানের নেতিবাচক দিক বিশেষ করে ওই এলাকায় বসবাসরত মূল জনগোষ্ঠীর ওপর এর বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, অতিসত্বর যদি প্রত্যাবাসন শুরু না হয় তাহলে এটি কেবল এই এলাকারই সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে না; বরং তা ওই অঞ্চলের বাইরেও অস্থিরতা তৈরি করবে।
বিশেষ দূতকে উপদেষ্টা ভাসানচর প্রকল্পের কথা অবহিত করে বলেন, এখানে রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
জাতিসংঘ যাতে ভাসানচরে মানবিক সহায়তা প্রদান করে সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন উপদেষ্টা।
মিয়ানমারে যাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা হয় এবং অচিরেই যাতে প্রত্যাবাসন কাজ শুরু করা যায় সেজন্য জাতিসংঘ সদস্যরাষ্ট্রসহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের সকল অংশীজনদের সঙ্গে বিশেষ দূত যোগাযোগ ও আলোচনা অব্যাহত রেখেছে মর্মে উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
এছাড়া ভাসানচর পরিদর্শন করতে বিশেষ দূত তার আগ্রহের কথা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কেএম আব্দুল ওয়াদুদ, এবিএম শফিকুল হায়দার, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুরসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
ভাষা শহীদদের প্রতি নাঃগঞ্জ গণ অধিকার পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন
অমর ২১শে ফেব্রুয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন গণ অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতৃবৃন্দরা।
একুেশের প্রথম প্রহরে (২১ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সভাপতি ইন্জিনিয়ার নাহিদ বলেন, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি একটি শোক ও বেদনার দিন হলেও, এটি বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শহীদদের আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এক বিশেষ দিন।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পূর্ববাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র, যুবক এবং সাধারণ মানুষ প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসেন।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মিছিলের গতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক শহীদ হন।
গণ অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি ডা. মোঃ আসিফ মাহমুদ বলেন, ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল বাংলার তরুণদের তাজা প্রাণের বিনিময়ে।
বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে সেদিন যারা আত্মত্যাগ করেছিলেন, তাদের রক্তের বিনিময়েই পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে। সেই থেকেই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে "ভাষা শহীদ দিবস" হিসেবে পালিত হয়ে আসছে, যা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জন করে।
তাই আমাদের দাবী ২৪ এর ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণের জন্য ও নতুন স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে নতুন রাজনীতি প্রয়োজন।
নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন এবং নতুন সংস্কৃতি প্রয়োজন। এদেশের মানুষ রাজনীতি দ্বারা বারবার প্রতারিত হয়েছে। তাই জনগণ এখন নতুন নেতৃত্বকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত।
এসময় শ্রদ্ধা নিবেদনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, গণ অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ইন্জিনিয়ার নাহিদ, সহ-সভাপতি ডা. মোঃ আসিফ মাহমুদ, সেক্রেটারী কাউসার আহমেদ শিমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল ও আখতারুজ্জামান রাজু সহ সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।