হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

আহতদের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন- আরব আলী (৭০), মোতালিব (৪৬) লুৎফুর মিয়া (৫২), রায়হান (২০), জাফর মিয়া (৩৫), মোতালিব (৪৬), রায়হান (৩২) দিলোয়ার (৩১), আল আমিন (৩০), বিমু (৪৪), রফিকুল (৪৬), সাদেক (৪৫), ফজলু (৪৩), আবুল হোসেন (৩০), ইলিয়াস (৫০) শাহীনুর (৩৪), মঈন উদ্দিন (২২), জাহানুর (২০) ও রুবেল (৩০)। 

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল হাসান জানান, সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে শ্রমিক ও মালিক পক্ষ ৪টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকায় সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তারা দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুপুরে সিএনজি স্ট্যান্ড দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে তকদির ও আজিবুর গ্রুপের লোকজন। এতে বাধা দেন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান ও তার লোকজন। এরই জেরে বিকেলে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশ চলে যাওয়ার পর দু’পক্ষের লোকজন ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।

ঢাকা/মামুন/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট য ন ড দখল র ল কজন স ঘর ষ স এনজ

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতরা পেলেন আর্থিক সহায়তা 

লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ব্যানারে তাদের হাতে ৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেপি দেওয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরমান হোসাইন। 

প্রশাসন সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে লক্ষ্মীপুরে ১৬ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ২৫৮ জন। শহীদদের পরিবার ও আহতদের সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হয়। রবিবার শহীদ পরিবারের একজনকে ১০ হাজার ও আহত ৯৭ জনকে ৫ হাজার টাকা করে চেক বিতরণ করা হয়েছে।

চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, “৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। ইতোমধ্যে অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।” 

জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, “আপনারা জীবন্ত ইতিহাস। মনের গভীর থেকে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। যে জাতি ইতিহাসকে স্মরণ করতে পারে না, সে জাতি জাতি হিসেবে গড়ে ওঠে না। ইতোমধ্যে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২২ জনকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”

গত বছরের ৫ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লক্ষ্মীপুরে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতরা পেলেন আর্থিক সহায়তা 
  • সুনামগঞ্জে যাত্রীবাহী দু’ বাসের সংঘর্ষ, আহত ২০ 
  • পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দেন হাসিনা
  • হাসিনা হাসপাতালে গিয়ে বলেছিলেন ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’: চিফ প্রসিকিউটর
  • পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর
  • মনোবল বাড়াতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গেলেন বাবর
  • নরসিংদীতে বাস-ট্রাক-প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৬৩ 
  • নরসিংদীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৬৩
  • গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল চালক-সুপারভাইজারের