আজ সোমবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিশ্বে বায়ুদূষণে নবম স্থানে আছে রাজধানী ঢাকা। আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ১৬৭। বায়ুর এ মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পাননি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।

বায়ুদূষণে আজ প্রথম স্থানে আছে বসনিয়া হারজেগোভিনিয়ার সারায়েভো। এ শহরেরও স্কোর ২০৫।

রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকাগুলোর মধ্যে যেসব এলাকায় বায়ুর মান মারাত্মক দূষিত, সেগুলোর মধ্যে আছে সাভারের হেমায়েতপুর (২১৯), মাদানি অ্যাভিনিউর বেস এইজ ওয়াটার (১৮৪) ও পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি (১৮২)।

রাজধানীর বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক এবং নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে। কিন্তু দূষণ কমছে না।

দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারিতে দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকায় জানুয়ারিতে একাধিক দিন বায়ুর মান ৩০০-এর বেশি হয়েছে। আজ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর বায়ুর মান চট্টগ্রামে ১৩১, রাজশাহীতে ১৬৪ ও খুলনায় ১৫৬।

আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২ দশমিক ৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩৭ গুণ বেশি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ও মজলুম ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে মুসল্লিগণ ও তৌহিদ জনতা।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুম্মার নামাজের পর ওই এলাকার কয়েকটি গ্রামে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এসময় গ্রামের প্রতিটি পাড়া মহল্লা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে কম্পিত হয়।

কান্দারগাঁও জামে মসজিদের ইমাম মুফতী মোঃ আফফান হোসাইনের নেতৃত্বে মিছিলে ছেলে-বুরো, যুবক, শিশু ও আলেম ওলামারা অংশ নেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ