নিউজিল্যান্ডকে চমকে দিতে আজ ভিন্ন কিছু করতে চায় বাংলাদেশ
Published: 24th, February 2025 GMT
টনি হেমিং যে ধারণা দিলেন, তাতে আজ রানবন্যায় ভাসতে পারে বাংলাদেশ–নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। এখন রানবন্যায় নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশকে ভাসাবে, নাকি বাংলাদেশ ভাসাবে নিউজিল্যান্ডকে, সেটাই দেখার বিষয়।
বিসিবির চাকরি ছেড়ে সাত–আট মাস হলো হেমিং পিসিবির প্রধান কিউরেটর। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উইকেট তাঁর রেসিপিতেই করা। সেই হেমিং যখন বলেন, রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের উইকেট হতে পারে ব্যাটিং–স্বর্গ, তাতে বিশ্বাস না রেখে উপায় কি! গত ডিসেম্বরে টানা ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা হওয়ায় কিছুদিন আগপর্যন্তও পিন্ডির উইকেটে ঘাসের দেখা ছিল না, যা এখন অনেকটাই সবুজ।
আমিরাত ও পাকিস্তান মিলিয়ে হওয়া এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কাল পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের তিনটিই তিন শর বেশি রান দেখে ফেলেছে। লাহোরে তো ইংল্যান্ডের ৩৫১ রান তাড়া করেও জিতে গেছে অস্ট্রেলিয়া! হেমিংয়ের দেওয়া পূর্বাভাসের পর মনে হচ্ছে, রাওয়ালপিন্ডির উইকেটেও নিরাপদ হবে না সে রকম রান। বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্সেরও সেটাই ধারণা। কাল সংবাদ সম্মেলনে কোচ বলেছেন, ‘এটা বড় রানের মাঠ এবং সেটা আমরা কাল লাহোরেও দেখেছি। কাজেই বড় রান করাই লক্ষ্য আমাদের। রান করতে হবে তিন শর বেশি।’
কাল দুপুরে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারও একই কথা বলেছেন। বড় রানে চোখ তাঁদেরও। কিন্তু নিউজিল্যান্ড যদি আগে ব্যাট করে ৩০০–৩৫০ করে ফেলে, সেটা তাড়া করে জেতার সামর্থ্য কি আছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের! বিশেষ করে দুবাইয়ে টপ অর্ডারকে অমন ভেঙে পড়তে দেখে সে আশা করাটাই অসম্ভব মনে হচ্ছে। তবে সিমন্স যেহেতু কোচ, তিনি আশা ছাড়বেন কেন, ‘গত পাঁচটি ওয়ানডেতে আমরা কয়েকবারই তিন শর বেশি রান করেছি। কাজেই আমাদের তা করার সামর্থ্য আছে। সর্বশেষ ম্যাচে আমরা ভালো শুরু করিনি। যদি শুরুটা ভালো করি, আমরা তিন শর বেশি রান করতে পারব।’
আরও পড়ুন‘এ তো বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া বা পাকিস্তান নয় যে অবিশ্বাস্য কিছু করে ফেলবে’২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫কয়েকবার অবশ্য নয়, দুবাইয়ে হওয়া ভারত ম্যাচটা বাদ দিলেও আগের পাঁচ ওয়ানডেতে মাত্র একবারই তিন শর বেশি রান করেছিল বাংলাদেশ। গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সেই ম্যাচে ৩২১ রান করেও অবশ্য ৪ উইকেটে হারতে হয়েছিল ২৫ বল বাকি থাকতেই।
অর্থাৎ তিন শ রান যদি এনেও দেন ব্যাটসম্যানরা, সেটাকে নিরাপদ রাখতে বোলারদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। সিমন্স এরও সুন্দর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যেটা আসলে সবারই জানা, ‘সেসব ম্যাচে প্রতিপক্ষ আমাদের চেয়ে ভালো ব্যাটিং করেছিল। আমরা ৩০০ করেছি, তারা তার চেয়ে বেশি করেছে। আমরা তাদের আটকে রাখার মতো ভালো বল করিনি। খেলাটা আসলে এ রকমই।’
সংবাদ সম্মেলনে ফিল সিমন্স.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র উইক ট স মন স র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
মারধরে কলেজশিক্ষকের মৃত্যু, হামলাকারী আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় মারধরে এক কলেজশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। দোকান ভাড়া–সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তির মারধরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত দেড়টার দিকে উখিয়া সদরের ঘিলাতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে।
নিহত শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ ইকবাল (৫০)। তিনি উখিয়া ডিগ্রি কলেজের শরীরচর্চার শিক্ষক ছিলেন। আটক ব্যক্তির নাম মো. শরিফ প্রকাশ বট্টল (৪৫)। তিনি উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারবিল গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছে, এলাকায় কলেজশিক্ষক ইকবালের একটি দোকানে ভাড়াটে হিসেবে রয়েছেন শরিফ। রাতে দোকান ভাড়া–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শরিফের সঙ্গে ইকবালের কথা-কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে মোহাম্মদ ইকবালের ওপর হামলা করেন শরিফ। ইকবালের চোখ-মুখ, মাথা, পেটে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন তিনি। হইচই শুনে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ইকবালকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোহাম্মদ ইকবালের বড় ছেলে ইফতিয়াজ নুর বলেন, ‘চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় শরিফকে দোকান ছেড়ে দিতে তাগাদা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাতে গড়িমসি শুরু করেন শরিফ। গতকাল রাতে দোকান ছাড়ার কথা নিয়ে বাবার সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি। হাতাহাতির এক পর্যায়ে বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর মাথা-মুখ ও পেটে লাথি মারতে থাকেন শরিফ। এতে বাবার মৃত্যু হয়।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসাইন বলেন, হত্যায় অভিযুক্ত মো. শরিফকে আটক করা হয়েছে। কলেজশিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।