ধামরাইয়ে টিনের আঘাতে যুবদল কর্মীর মৃত্যু
Published: 24th, February 2025 GMT
ঢাকার ধামরাইয়ে নিজের মুরগির খামারে কাজ করার সময় টিনে আঘাত লেগে রুবেল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবদল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।
এর আগে, একই দিন বিকেলে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া এলাকায় আঘাত পান তিনি।
আরো পড়ুন:
নিজের পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল দম্পতির
মসজিদে হামলার ঘটনায় আহত ইব্রাহীমের মৃত্যু
মারা যাওয়া রুবেল ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি যুবদলের কর্মী ও পদ প্রত্যাশী ছিলেন।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিকেলে নিজের মুরগির খামারের চালায় মই দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন রুবেল। তিনি পা ফসকে মই থেকে নিচে পড়ে যান। এ সময় টিনের আঘাতে হাতের কবজির ধমনী কেটে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রুবেল হোসেনকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
রুবেলের বোন জামাই ফিরোজ হোসেন বলেন, “রুবেল টিনের চালায় উঠেছিল মই দিয়ে, হাতে টিন ছিল। হঠাৎ মই ফসকে নিচে পড়ে যায় রুবেল। টিন ডান হাতের ওপর পড়ে। তখন থেকেই রক্ত ঝরছিল। হাসপাতালে নিয়েছি, কিন্তু রক্ত ঝরা থামেনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।”
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনচার্জ মো.
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুড়িগ্রামে নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার চিলমারী মডেল থানায় মামলাটি করেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এ ছাড়া নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৯৫ (ক)–এর ধারায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানারও অভিযোগ করা হয়েছে।
নাহিদ হাসান (নলেজ) চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের রমনা মিস্ত্রিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।মামলার বাদী গোলাম মোস্তফার বাড়ি উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ছোটকুষ্টারি গ্রামে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি রাখাল রাহাকে নিয়ে তৌহিদী মুসলিম জনতার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন নাহিদ হাসান। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে তৌহিদী মুসলিম জনতার পক্ষে অভিযোগ তোলা হলে তিনি পোস্টটি ডিলিট করেন।
এদিকে নাহিদ হাসান তাঁর ফেসবুক পোস্টটি সরিয়ে নিলেও তৌহিদী মুসলিম জনতার ব্যানারে দুই দিন ধরে চিলমারী, উলিপুর ও কুড়িগ্রাম জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ জনসমাবেশ হয়েছে। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নিয়েছেন। গতকাল চিলমারীতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে নাহিদ হাসানকে আজ সোমবার বেলা দুইটার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে নাহিদ হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ফেসবুকে এক পোস্টে নাহিদ হাসান নিজেকে ‘বিশ্বাসী মুসলিম’ দাবি করে লিখেছেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আল্লাহ ও প্রিয় রাসুলের বিরুদ্ধে কোথাও কিছু লিখেছি—এটা কেউ দেখাতে পারবে না। এমন কিছু কখনো বলিনি, লিখিনি, তাই কেউ দেখাতেও পারবে না। গণ-অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করা, প্রিয় মাতৃভূমিকে অস্থিতিশীল করতে চাওয়া একটি পক্ষের আইন হাতে তুলে নিতে চাওয়ার বিপক্ষে আমি মত দিয়েছি। এটা কি অপরাধ হতে পারে? তবু সেই পোস্ট আমি ডিলিট করেছি।’
চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশাহেদ খান আজ সকালে বলেন, ‘নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা ডিজিটাল ও অ্যানালগ—দুই পদ্ধতিতে নাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে তুলে দিতে পারব।’