Samakal:
2025-04-18@03:35:56 GMT

সারা রাত রাজধানী ঢাকায় যা ঘটলো

Published: 24th, February 2025 GMT

সারা রাত রাজধানী ঢাকায় যা ঘটলো

ঢাকায় গতকাল রাত অনেকটা আতঙ্কে কেটেছে রাজধানীবাসীর। রোববার রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডির শংকরে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া সেখানে আতঙ্ক তৈরি হয়। পরে বনশ্রী এলাকায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণালংকার ও টাকা ছিনতাই করে অস্ত্রধারীরা।

গোড়ানে একজনকে কুপিয়ে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। রাত ১টার দিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এসব ঘটনা নিয়ে রাত ৩টার দিকে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। 

ধানমন্ডিতে যা ঘটে

রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধানমন্ডির শংকর আলী হোসেন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ১০ থেকে ১২ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা মসজিদে মাইকে ঘোষণা দেন যে, মহল্লায় ডাকাতদল প্রবেশ করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দলটি আশপাশের দোকানগুলোতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছিল। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দ্রুত দোকান বন্ধ করে দেন এবং সাধারণ মানুষ নিরাপদ স্থানে চলে যান। প্রায় পাঁচ-দশ মিনিট অবস্থান করার পর সশস্ত্র দলটি এলাকা ত্যাগ করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এলাকাবাসী নিরাপত্তার জন্য পুলিশের সহযোগিতা চান। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ডিএমপি ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান বলেন, ধানমন্ডি এলাকায় কয়েকটি মোটরসাইকেলে ১৫-২০ জন তরুণ আসে। তবে তাদের হাতে কোনো অস্ত্রশস্ত্র ছিল না। এছাড়া ধানমন্ডি এলাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ১৫-২০ জন তরুণ ধানমন্ডির শংকর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হাজী ইউসুফ হাইস্কুলের পাশের গলির মুখে চা খাওয়ার জন্য দাঁড়ান। এ সময় নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন। এটা দেখে পাশের কোন ব্যক্তি মসজিদের মুয়াজ্জিনকে বলেন এখানে ডাকাত এসেছে। তারপরে সে নিজের মতো করে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়। এরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করে। সেখানে দেখতে পায় এসব তরুণদের হাতে কোন ধরনের অস্ত্র নেই। তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে চলে যান।

বনশ্রীতে যা ঘটে

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ধ নমন ড আতঙ ক

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েট শিক্ষার্থীদের নামে মামলা ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের নামে মামলা এবং বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল প্রাক্তন শিক্ষার্থী। এই কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

সমাবেশে কুয়েটের ২০১৪–১৫ সেশনের যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাইনুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মনে করেন উপাচার্য তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি–সমর্থিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালালে তিনি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেনাবাহিনীকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন যখন আরও জোরালো হলো, ছাত্রছাত্রীরা অপরাধীদের বিচারের দাবি জানালেন, তখন উপাচার্য ক্যাম্পাস বন্ধ করে দিলেন। এরপরেও শিক্ষার্থীরা যখন থাকার চেষ্টা করলেন, তিনি তখন হলের বিদ্যুৎ ও পানি বন্ধ করে দিলেন, ফলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে বাড়ি চলে যান।

কুয়েটের এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী জিহাদুল হক তালুকদার বলেন, ‘আমরা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বর্তমান শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি। ভিসি যেই কাজ করেছেন, এরপর আর তাঁর পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। তিনি সেই নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।’

আরও পড়ুন৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার, ২ মে হল খোলার সিদ্ধান্ত২১ ঘণ্টা আগে

সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ‘যারা ছাত্রদল, বিএনপি ও যুবদল সন্ত্রাসীদের হাতে মার খেলো, রক্তাক্ত হলো, মিথ্যা বানোয়াট মামলা খেলো, তাদেরকেই এখন বহিষ্কার করা হলো। বহিষ্কৃত ৩৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে বেশির ভাগই হামলার শিকার হয়েছিলেন।’

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়। ওই দিন রাতেই খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে প্রশাসন। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়। এর মধ্যে ১০ এপ্রিল কুয়েটের ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে মামলা করেন নগরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার হোচেন আলী নামের এক ব্যক্তি।

মামলার পরপরই ১৩ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুনকুয়েটের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রাম নগরে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে একদল যুবকের দৌড়াদৌড়ি
  • কুয়েট শিক্ষার্থীদের নামে মামলা ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ