২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সৌদি আরব আফগানিস্তানের কাবুলে তাদের কূটনৈতিক মিশন আবার চালু করার ঘোষণা দেয়। ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর সৌদি আরব তাদের কাবুল দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছিল। দূতাবাস চালুর ঘোষণা সৌদি আরবের নীতির পরিবর্তন ও আফগান তালেবানের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহকে প্রকাশ করে।

যাহোক, আফগানিস্তান ও সৌদি আরব দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি নির্ভর করবে তালেবান সরকার সৌদি আরবের আধুনিকীকরণ কর্মসূচির সঙ্গে নিজেদের কতটা প্রাসঙ্গিক করে তুলতে পারবে, তার ওপর। বিষয়টি সৌদি আরব–আফগানিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে মূল ভূমিকা পালন করবে।

ঐতিহাসিকভাবে সৌদি আরব আফগানিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। সোভিয়েত–আফগান যুদ্ধের সময় সৌদি আরব আফগান মুজাহিদিনদের প্রয়োজনীয় সম্পদ ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছিল।

সোভিয়েতদের সরে যাওয়ার পর আফগানিস্তানে যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, তারই এক পর্যায়ে ১৯৯৬ সালে তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তিনটি দেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে তৃতীয় দেশটি ছিল সৌদি আরব।

যাহোক, সম্পর্কে বড় একটা ধাক্কা লাগে ১৯৯৮ সালে। সৌদি আরব তালেবান সরকারকে আল–কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হস্তান্তর করতে বলেছিল। তালেবান সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বড় ধরনের অবনতি হয়েছিল। সৌদি আরব তালেবান সরকারকে অর্থ সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছিল।

৯/১১ বা যুক্তরাষ্ট্রে আল–কায়েদার হামলার (টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে হামলা) পর সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তালেবানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। ওই সন্ত্রাসী হামলার দুই সপ্তাহ পর, সৌদি আরব বলেছিল, মৌলবাদীদের আশ্রয় না দেওয়ার ব্যাপারে তারা যে সতর্কবার্তা দিয়েছিল, সেটা আমলে নেয়নি তালেবান। ৯/১১–এর সন্ত্রাসী হামলার কোনো দায় যাতে না আসে, সে কারণে আফগান তালেবান ও ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে দূরত্ব দেখানোটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

কাবুলে সৌদি আরবের দূতাবাস আবার চালু করা আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সৌদি আরবের একটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ। কিন্তু সৌদি আরবের যে আধুনিকায়ন কর্মসূচি, তাতে করে আফগানিস্তানে তারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এমবিএসের নেওয়া সংস্কার কর্মসূচিই দুই পক্ষের মধ্যে মতাদর্শগত বিভেদ তৈরি করবে।

২০০৮ সালে তালেবান ও আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছিল সৌদি আরব। আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল মক্কা শহরে রমজান মাসে। আয়োজক ছিলেন সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ।

এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি সম্পাদন করা, যার মধ্য দিয়ে অস্ত্র সমর্পণ করে তালেবান আফগান সরকারের মূলধারায় সংযুক্ত হবে। কিন্তু সেই আলোচনা ব্যর্থ হয়। কিন্তু সৌদি আরব সরকার তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আবার সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার নীতি নিয়েছিল, এ ঘটনাটি তারই প্রতিফলন ছিল।

২০১৭ সালে সৌদি যুবরাজ মোহাম্দ বিন সালমান (এমবিএস) সৌদি আরব সংস্কার কর্মসূচি চালু করেন। এমবিএস সৌদি সমাজে নারীদের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কিছু বাধা সরিয়েছেন, উৎসবের ওপর বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছেন, বিদেশে মসজিদ ও মাদ্রাসায় অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছেন।

এই সংস্কার কর্মসূচির প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো, পশ্চিমাদের কাছে ইসলামের একটি সহনশীল এবং মধ্যপন্থী ভাবমূর্তি উপস্থাপন করে।

আফগানিস্তান নিয়ে সৌদি আরবের যে নীতি, সেটাকে অংশত তালেবানবিরোধী বলা যায়। সৌদি আরব আফগানিস্তানে সহিংসতার ব্যবহার ও চরমপন্থার নিন্দা জানিয়েছে। আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে ২০১৮ সালে সৌদি আরব ওআইসির দুই দিনের সম্মেলন আয়োজন করেছিল। সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় পণ্ডিতেরা এসেছিলেন, যাঁরা তালেবানের সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছিলেন। সম্মেলনে আফগানিস্তানের প্রতি সৌদি আরবের নতুন কূটনৈতিক অবস্থানকে তুলে ধরা হয়েছিল।

২০২১ সাল থেকে সৌদি আরব আফগানিস্তানে ন্যূনতম সহায়তা দিয়ে আসছে। শুধু মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগে ত্রাণসহায়তা দিয়েছে সৌদি আরব। ওআইসি ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে এমবিএস তাঁর প্রভাব ব্যবহার করে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা ট্রাস্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে এই সহায়তাগুলো দিচ্ছেন।

তিন বছর পর এটা স্পষ্ট যে আফগান তালেবান হলো বাস্তবতা। প্রতিবেশী বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোকে তাদের সঙ্গেই সম্পৃক্ত হতে হবে। সৌদি আরবের ক্ষেত্রে মানবিক সহায়তা এবং ওআইসির কাজের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

যদিও তালেবান নেতৃত্বে পরিচালিত আফগানিস্তান পুরোপুরিভাবে সৌদি আরবের সংস্কারমূলক কর্মসূচি মেনে নেবে না। কিন্তু বাস্তবসম্মত উপায়ে তালেবানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ খুঁজতে হবে। বিশেষ করে উন্নয়ন ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সেই পথ তৈরি করা দরকার।

কাবুলে সৌদি আরবের দূতাবাস আবার চালু করা আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সৌদি আরবের একটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ। কিন্তু সৌদি আরবের যে আধুনিকায়ন কর্মসূচি, তাতে করে আফগানিস্তানে তারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এমবিএসের নেওয়া সংস্কার কর্মসূচিই দুই পক্ষের মধ্যে মতাদর্শগত বিভেদ তৈরি করবে।

আফগানিস্তানের নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বেশ কিছু অতি রক্ষণশীল আইন পাস করেছে। এর মধ্যে পুরুষদের দাড়ি কামানো থেকে বিরত রাখা ও নারীদের শিক্ষা বন্ধের মতো পদক্ষেপ রয়েছে।

একইভাবে ইসলামিক স্টেট অব খেরসন, আল–কায়েদা ও তেহরিক–ই–তালেবান পাকিস্তানের মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপস্থিতির কারণে আফগানিস্তান এখনো সন্ত্রাসবাদের উর্বর ক্ষেত্র।

সৌদি আরবের সংস্কার কর্মসূচির সঙ্গে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পেতে হলে তালেবানের একটি পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক পটভূমির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে একটি শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হলে, মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলতে হবে।

সোলায়মান মুয়েজ ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক
মিডলইস্ট মনিটর থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনূদিত

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন র ত ল ব ন সরক র আরব র স কর ছ ল র একট

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকার প্রো-বাংলাদেশপন্থী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে দাবি করে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, “বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে।”

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ওঠা প্রশ্নের ব্যাখ্যায় শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ কথা বলেন।

বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার উদাহরণ তুলে ধরে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড শতাব্দী ধরে অসংখ্য যুদ্ধ করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হাত মিলিয়েছে। একই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জাপানে বোমাবর্ষণ করেছিল, কিন্তু পরে তারা মিত্রে পরিণত হয়।”

আরো পড়ুন:

অবশেষে জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচারকারী চ্যানেল পেলো বিসিবি

পশ্চিমবঙ্গের সহিংসতার বিষয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য নাকচ ভারতের

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি কি পাকিস্তানপন্থী হয়ে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি আমরা। এ ধরনের প্রশ্ন আমাদের মোটেও অবাক করেনি। এমন কিছু মানুষ সব সময়ই থাকবে, যারা বাংলাদেশের স্বাধীন পরিচয়ে খুব কমই বিশ্বাস করবে।”

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব বলেন, “আমাদের জবাব স্পষ্ট ছিল। অতীতে দেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে যা–ই ঘটুক না কেন, এখন থেকে এটি বাংলাদেশপন্থী নীতি হবে, যা আমাদের নিজস্ব স্বার্থে পরিচালিত হবে।”

এক প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে অন্য প্রতিবেশী থেকে দূরে সরে যাওয়া একটি স্বাধীন জাতির পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, “সফররত পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচকে দুই দেশের মধ্যকার অমীমাংসিত বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার তার কথাগুলোকে কাজে রূপ দিতে ২৪ ঘণ্টার কম সময় নিয়েছে। একই সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মতি জানিয়েছে।”

আজাদ মজুমদার বলেন, “বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টিকারী একটি আবেগঘন বিষয় হলো ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর গণহত্যা ও নৃশংসতার জন্য দেশটির পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি। এমনকি পাকিস্তানের সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই বিশ্বাস করতেন, ক্ষমা চাওয়া-সদিচ্ছা ও উদারতার একটি কাজ হবে। কিন্তু পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর ও সামরিক আমলাতন্ত্র সর্বদা এই ধরনের কথার বিরোধিতা করেছে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো ক্ষমা চাওয়া হয়নি।”

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশ সম্পদের বিভাজনের বিষয়টির ওপরও জোর দিয়েছে, যা অতীতের শাসকদের কাছে ভুলে যাওয়া একটি বিষয় ছিল। অতীতে শাসকেরা এটি আলোচনার চেয়ে বিচ্ছিন্নতা পছন্দ করতেন।

তিনি বলেন, “১৯৭৪ সালের একটি অনুমিত হিসাব অনুযায়ী, পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা ৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন (৪৩২ কোটি) মার্কিন ডলার। অভ্যন্তরীণ মূলধন সৃষ্টি, বৈদেশিক ঋণ নিষ্পত্তি এবং বৈদেশিক আর্থিক সম্পদ ধরে রাখার অনুমিত হিসাবের ভিত্তিতে এটি নির্ধারণ করা হয়।”

আজাদ মজুমদার বলেন, “বাংলাদেশের আরো প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করেছে, যা ১৯৭০ সালের নভেম্বরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ/সংস্থা অনুদান দিয়েছিল। ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের লাহোর শাখায় স্থানান্তরিত হওয়ার আগে এই অর্থ ঢাকায় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের অফিসে পড়ে ছিল।”

আজাদ মজুমদার তার পোস্টে উল্লেখ করেন, আটকেপড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন আরেকটি বিষয় ছিল, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে বাধাগ্রস্ত করেছিল। অতীতে পাকিস্তান তাদের লোকদের মাত্র এক লাখ ২৫ হাজার জন ফিরিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের ১৪টি জেলার ৭৯টি শিবিরে প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার জন ছিল।

তিনি বলেন, “এই বিষয়গুলোই দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ ও ভবিষ্যৎমুখী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে রয়ে গেছে। সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম বিকল্প হলো আলোচনা এবং অন্তর্বর্তী সরকার ঠিক এটাই করার চেষ্টা করছে। অনেক বছর পর বাংলাদেশ পাকিস্তানকে আলোচনায় এনেছে এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা অন্বেষণ করার পাশাপাশি যথাযথভাবে বিষয়গুলো উত্থাপন করেছে।”

উপ-প্রেস সচিব স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ডিসেম্বরে মিশরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে এক বৈঠকে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বালুচের সঙ্গে বৈঠক করার সময় তিনি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একই বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “ভবিষ্যতের সুবিধার্থে অতীতের ইস্যুগুলো সমাধানের জন্য সম্ভবত এখন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের এক সঙ্গে কাজ করা ও এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।”

ঢাকা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ