ছবি: সংগৃহীত

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নির্বাচন ৩ মে, জনপ্রিয়তায় বাম-ডানপন্থিরা সমানে সমান

অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ মে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত উদ্যোগ, পরমাণু শক্তি ও আবাসন খাতের ইস্যু এই নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। খবর- বিবিসি

মধ্য-বামপন্থি লেবার পার্টির নেতা আলবানিজের নেতৃত্বাধীন সরকারের তিন বছরের মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। ১৭ মে এর মধ্যে এ সরকারকে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। জরিপে দেখা যাচ্ছে, বর্তমান সরকার রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করছে। লেবার পার্টি ২০২২ সালের মে মাসে ক্ষমতা গ্রহণ করে। প্রায় এক দশক ক্ষমতায় থাকার পর জনপ্রিয়তা হারানো কনজারভেটিভ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে তারা। শুরুতে আলবানিজের সরকারকে ঘিরে আশা-প্রত্যাশা ও উৎসাহ থাকলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করেছে তার দল।

জনমত জরিপে ডানপন্থি নেতা পিটার ডাটন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ প্রায় একই ধরনের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। আসন্ন নির্বাচনে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

৬২ বছর বয়সী সরকার প্রধান আলবানিজ চলতি সপ্তাহের শুরুতে তাদের বার্ষিক বাজেট প্রকাশ করেছেন। এতে আশ্চর্যজনকভাবে কর কমনো ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে, যাতে ভোটারদের আকৃষ্ট করা যায়। অপরদিকে বিরোধী দলের রক্ষণশীল নেতা পিটার ডাটন আলবানিজের সমালোচনা করে তার সরকারকে ‘দুর্বল’ নেতৃত্ব বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং সরকারি অনুদানের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি উসকে দেওয়ার অভিযোগ করেন।

২০২২ সালের মে মাসে আলবেনিজদের সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ডিসেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে  ২ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে আসে। তবুও অনেক পরিবার এখনো খাদ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুতের উচ্চমূল্যের সঙ্গে লড়াই করছে। বার্ষিক ডেমোগ্রাফিয়া ক্রয়ক্ষমতা সূচক অনুসারে, সিডনি ও মেলবোর্নের প্রধান শহরগুলো এখন সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের বিশ্বের শীর্ষ ১০ আবাসন বাজারের মধ্যে স্থান পেয়েছে।

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ