আরপিসিএল-নরিনকোতে চাকরি, মূল বেতন ৯১ হাজার, আবেদন করুন দ্রুত
Published: 24th, February 2025 GMT
বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল)-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেডে (আরএনপিএল) জনবল নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার। এই কোম্পানিতে ম্যানেজার (সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি) পদে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে সরাসরি, ডাকযোগে বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।
পদের নাম: ম্যানেজার (সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি)
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। গ্রেডিং সিস্টেমে পাসের ক্ষেত্রে সিজিপিএ-৫-এর স্কেলে ৩.
বয়স: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে সর্বোচ্চ ৫৫ বছর
কর্মস্থল: কলাপাড়া, পটুয়াখালী
বেতন-ভাতা: মাসিক মূল বেতন ৯১,০০০ টাকা। এ ছাড়া বাসাভাড়া ভাতা, প্রকল্প ভাতা, বছরে দুটি উৎসব বোনাস, পরিবহন ভাতা, মেডিকেল ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, গোষ্ঠী বিমাসহ প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে।
আরও পড়ুনডাক বিভাগে আবারও বড় নিয়োগ, পদ ৫০৪২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে কভার লেটারসহ সিভি সরাসরি, ডাকযোগে বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। নির্ধারিত আবেদন ফরম এই লিংকে পাওয়া যাবে।
আবেদন ফি
আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেডের অনুকূলে আবেদন ফি বাবদ ৫০০ টাকা পে-অর্ডার করে রসিদ আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: ম্যানেজিং ডিরেক্টর, আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেড, এশিয়ান টাওয়ার (লেভেল-১০), বাসা-৫২, রোড # ২১, নিকুঞ্জ-২, ঢাকা-১২১২।
আবেদনের শেষ সময়: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
আরও পড়ুনডাক জীবন বীমায় চাকরি, নয় ক্যাটাগরিতে পদ ৫৬২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘বিয়ের প্রলোভনে যৌন সম্পর্ক’ কি শুধু পুরুষেরই অপরাধ
ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদন হওয়া খসড়া অনুযায়ী ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধ যৌন সম্পর্ক’কে ধর্ষণের সংজ্ঞায় রাখা হয়নি। এটি আইনে আলাদা ধারায় চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হবে সাত বছরের কারাদণ্ড। (প্রথম আলো অনলাইন, ২০ মার্চ ২০২৫)
বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিয়ে ছাড়া ১৬ বছরের বেশি বয়সী নারীর ক্ষেত্রে প্রতারণামূলকভাবে তাঁর সম্মতি আদায় করে যৌন সংগম করাকে ধর্ষণ হিসেবে বলা হয়েছে। এর ফলে বহু মামলায় বিয়ের ‘প্রতিশ্রুতি’ বা ‘প্রলোভনে’ ধর্ষণ, এ রকম অভিযোগের উল্লেখ দেখা যায়।
অনুমোদিত খসড়া অনুযায়ী ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে অবৈধ যৌন সম্পর্ক’কে ধর্ষণের সংজ্ঞায় না রাখার বিষয়টি এক অর্থে ‘ইতিবাচক’। কিন্তু এর পরও অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে।
আগে ‘প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায়ের’ কথা বলা হলেও সংশোধিত খসড়া অধ্যাদেশে সুনির্দিষ্টভাবে ‘বিয়ের প্রলোভনে যৌন সম্পর্ক’কে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে শাস্তির বিধান করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কী করলে প্রকৃত অর্থে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে, তার সুস্পস্ট কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। কেউ বিয়ের কথা বলে যৌন সম্পর্ক করার সঙ্গে সঙ্গেই অপরাধ সংঘটিত হবে, নাকি পরবর্তী সময়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি পালন না করলে অপরাধ হবে? অর্থাৎ অপরাধকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে।
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর প্রতিশোধপরায়ণ কেউ এ আইনের অপব্যবহার করতে পারেন। কেউ কেউ এ রকম ধারায় মামলা করে নিজের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করতে পারেন। এর ফলে মামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, মামলাবাণিজ্যও হতে পারে।একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখালেই তিনি শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বেন—এই ধরনের চিন্তা বা অনুমান খুবই পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। এ দৃষ্টিভঙ্গিতে একজন নারীকে ‘লোভী’ বা ‘নির্বোধ’ হিসেবে দেখা হয়, যিনি কোনো পুরুষের প্রলোভনে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পরেন। আর এ ক্ষেত্রে তাঁর পুরুষ সঙ্গীটির সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
সম্মতির ভিত্তিতে প্রাপ্তবয়স্ক নারী–পুরষের শারীরিক সম্পর্কে ‘কন্ট্রিবিউটরি পার্টিসিপেশন’ থাকে। তাহলে শুধু এক পক্ষকে শাস্তি দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। অনেক ক্ষেত্রে নারীরাও প্রেম বা সম্পর্ক ভেঙে দেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর প্রাক্তন কি একইভাবে সেই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন? খসড়া অধ্যাদেশে এ রকম কোনো কিছুর সুযোগ নেই। তাহলে আইনের এ ধারাটা কি বৈষম্যমূলক হচ্ছে না?
‘বিয়ের প্রলোভনে যৌন সম্পর্ক’কে- অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হলে ‘ব্লাকমেলিং’ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর প্রতিশোধপরায়ণ কেউ এ আইনের অপব্যবহার করতে পারেন। কেউ কেউ এ রকম ধারায় মামলা করে নিজের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করতে পারেন। এর ফলে মামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, মামলাবাণিজ্যও হতে পারে।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া বা তা রক্ষা করা একটি নৈতিক এবং সামাজিক বিষয় হতে পারে, কিন্তু শুধু প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করার কারণে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা কোনোভাবেই ন্যায়সংগত নয়। সম্পর্কের টানাপোড়েন, ব্যক্তিগত মতপার্থক্য বা পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে অনেক সময়ই কারও পক্ষে বিয়ের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব না–ও হতে পারে। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় না রেখেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটা সমাজ ও রাষ্ট্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে—এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ইশরাত হাসান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী