চট্টগ্রাম কলেজের একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। 

রোববার নগরীর চকবাজারের কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় জড়িত দিকে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রদলের নেতা রিদুয়ান রিদুর নেতৃত্বে একটি দল ক্যাম্পাসে ঢুকে সদস্য ফরম বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের দিকে তেড়ে আসেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে আরও কিছু শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হয়ে এর প্রতিবাদ করে। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে তারা একে অপরের সঙ্গে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগর ছাত্রদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ কলেজে খেলা ছিল। তাই অনেকে খেলা দেখতে এসেছিল। তবে একটি পক্ষ কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া আমাদের সঙ্গে ঝামেলা তৈরি করে। এক পর্যায়ে তারা খারাপ ব্যবহার করে; হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাস সবার। কোনো গোষ্ঠী বা দলের নয় এটি। 

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ঝামেলা তৈরি করে বলে দাবি করেন তিনি। কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল করিম বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের সব সময় ভালো সম্পর্ক ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমাদের কয়েকজন কর্মী ক্লাস করতে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শিবিরের কয়েকজন তাদের ওপর হামলা করে। ছাত্রদলের কেউ কলেজে সদস্য ফরম বিতরণ করতে যায়নি বলে দাবি করেন তিনি। 

ছাত্রশিবিরের মহানগর উত্তরের সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল বলেন, আমাদের কেউ কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি। একটি গ্রুপ উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিবিরকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ছ ত রদল র ন ত র ন ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

নিউজিল্যান্ডকে চমকে দিতে আজ ভিন্ন কিছু করতে চায় বাংলাদেশ

টনি হেমিং যে ধারণা দিলেন, তাতে আজ রানবন্যায় ভাসতে পারে বাংলাদেশ–নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। এখন রানবন্যায় নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশকে ভাসাবে, নাকি বাংলাদেশ ভাসাবে নিউজিল্যান্ডকে, সেটাই দেখার বিষয়।

বিসিবির চাকরি ছেড়ে সাত–আট মাস হলো হেমিং পিসিবির প্রধান কিউরেটর। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উইকেট তাঁর রেসিপিতেই করা। সেই হেমিং যখন বলেন, রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের উইকেট হতে পারে ব্যাটিং–স্বর্গ, তাতে বিশ্বাস না রেখে উপায় কি! গত ডিসেম্বরে টানা ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা হওয়ায় কিছুদিন আগপর্যন্তও পিন্ডির উইকেটে ঘাসের দেখা ছিল না, যা এখন অনেকটাই সবুজ।

আমিরাত ও পাকিস্তান মিলিয়ে হওয়া এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কাল পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের তিনটিই তিন শর বেশি রান দেখে ফেলেছে। লাহোরে তো ইংল্যান্ডের ৩৫১ রান তাড়া করেও জিতে গেছে অস্ট্রেলিয়া! হেমিংয়ের দেওয়া পূর্বাভাসের পর মনে হচ্ছে, রাওয়ালপিন্ডির উইকেটেও নিরাপদ হবে না সে রকম রান। বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্সেরও সেটাই ধারণা। কাল সংবাদ সম্মেলনে কোচ বলেছেন, ‘এটা বড় রানের মাঠ এবং সেটা আমরা কাল লাহোরেও দেখেছি। কাজেই বড় রান করাই লক্ষ্য আমাদের। রান করতে হবে তিন শর বেশি।’

কাল দুপুরে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারও একই কথা বলেছেন। বড় রানে চোখ তাঁদেরও। কিন্তু নিউজিল্যান্ড যদি আগে ব্যাট করে ৩০০–৩৫০ করে ফেলে, সেটা তাড়া করে জেতার সামর্থ্য কি আছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের! বিশেষ করে দুবাইয়ে টপ অর্ডারকে অমন ভেঙে পড়তে দেখে সে আশা করাটাই অসম্ভব মনে হচ্ছে। তবে সিমন্স যেহেতু কোচ, তিনি আশা ছাড়বেন কেন, ‘গত পাঁচটি ওয়ানডেতে আমরা কয়েকবারই তিন শর বেশি রান করেছি। কাজেই আমাদের তা করার সামর্থ্য আছে। সর্বশেষ ম্যাচে আমরা ভালো শুরু করিনি। যদি শুরুটা ভালো করি, আমরা তিন শর বেশি রান করতে পারব।’

আরও পড়ুন‘এ তো বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া বা পাকিস্তান নয় যে অবিশ্বাস্য কিছু করে ফেলবে’২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কয়েকবার অবশ্য নয়, দুবাইয়ে হওয়া ভারত ম্যাচটা বাদ দিলেও আগের পাঁচ ওয়ানডেতে মাত্র একবারই তিন শর বেশি রান করেছিল বাংলাদেশ। গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সেই ম্যাচে ৩২১ রান করেও অবশ্য ৪ উইকেটে হারতে হয়েছিল ২৫ বল বাকি থাকতেই।

অর্থাৎ তিন শ রান যদি এনেও দেন ব্যাটসম্যানরা, সেটাকে নিরাপদ রাখতে বোলারদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। সিমন্স এরও সুন্দর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যেটা আসলে সবারই জানা, ‘সেসব ম্যাচে প্রতিপক্ষ আমাদের চেয়ে ভালো ব্যাটিং করেছিল। আমরা ৩০০ করেছি, তারা তার চেয়ে বেশি করেছে। আমরা তাদের আটকে রাখার মতো ভালো বল করিনি। খেলাটা আসলে এ রকমই।’

সংবাদ সম্মেলনে ফিল সিমন্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ