সেঞ্চুরির পর নিজের বয়স মনে করিয়ে কী বোঝাতে চাইলেন কোহলি
Published: 23rd, February 2025 GMT
কত ঝড় বয়ে গেছে এতগুলো বছরে—বিরাট কোহলির গল্প তবুও বারবারই গিয়ে মেলে একই মোহনায়। সেঞ্চুরি করেন, ম্যাচ জেতান, রেকর্ডটাও গড়েন সব সময়ের মতোই। পাকিস্তানের বিপক্ষেও আজ সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জিতিয়েছেন, ওয়ানডেতে ১৪ হাজার রানে দ্রুততম হিসেবে গড়েছেন রেকর্ডও।
তাঁর সেঞ্চুরির পর আনন্দ বয়ে গেছে পুরো ভারতীয় ড্রেসিংরুমেই। চার মেরে তাঁর তিন অঙ্কে পৌঁছানোর পর দলও জিতেছে। এত আনন্দের ভিড়ে বিরাট কোহলি স্বস্তি খুঁজছেন অন্য এক জায়গায়—আগামী এক সপ্তাহ যে তাঁদের কোনো ম্যাচ নেই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তিন দিনের ব্যবধানে দুই ম্যাচ খেলা ফেলার পর ভারতের পরের ম্যাচটি ২ মার্চ।
কোহলি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নেওয়ার পর তাঁকে কথাটা মনে করিয়ে দেন ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ—এক সপ্তাহ ছুটি পেয়ে কেমন লাগছে? ‘সত্যি বলতে, ৩৬ বছর বয়স হয়ে গেলে ভালোই লাগে (হাসি)। আমি জানি না, যাদের ২৩–২৪ বছর তাদের কেমন লাগছে, আমার খুব ভালো লাগে। দুই দিন কিছুই করব না। কারণ, এখন অনেক কিছু করতে হয় মাঠে এ ধরনের পরিশ্রম করার জন্য।’
কোহলি যতই মাঠে পরিশ্রম করেন, তাঁর ব্যাট হাসছিল না অনেক দিন ধরেই। তাতে সমালোচনাও ধেয়ে আসছিল অবধারিতভাবেই। ওসব নিয়ে তাঁর ভাবনাটা কী? পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জিতিয়ে তিনি বলছেন, ওদিকে নাকি তাকানই না!
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশকে ঘেরাও করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিলো বিএনপি নেতা ও স্বজনরা
কক্সবাজার শহরে পুলিশকে ঘেরাও করে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবদুল মান্নানকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিএনপি নেতা ও তাদের স্বজনরা। রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডের কবিতা চত্বর সড়কে ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আকতার কামাল আযাদের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবদুল মান্নান ১নং ওয়ার্ড কুতুবদিয়াপাড়ার মৌলভি আহামুদুর রহমানের ছেলে ও সাবেক কাউন্সিলর কামালের ছোটভাই।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, রোববার সন্ধ্যা ৬টায় পুলিশের একটি টিম স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মান্নানকে কবিতা চত্বর সড়ক থেকে আটক করে। পরে তাকে নিয়ে থানায় আসার পথে রাস্তায় ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (পূর্ব শাখা) নূর উদ্দিন, বিএনপি নেতা মুন্না, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম নুরু, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াছ মানিক, কৃষক লীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. তারেকসহ ২০/৩০ জন পুলিশকে ঘিরে ধরে মালেককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এরই এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে সাবেক কাউন্সিলর আকতার কামাল এসে পুলিশকে ধাক্কা মেরে তার ছোটভাইকে ছিনিয়ে নেন।
এ বিষয়ে সাবেক কাউন্সিলর আকতার কামাল আযাদ বলেন, আমার ভাই কোন মামলার আসামি নন। পুলিশ সন্দেহের বশে রাস্তায় দাড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ওখানে জড়ো হয়। ছিনিয়ে নেয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।
অন্যদিকে, বিএনপি নেতা নূর উদ্দিন বলেন, আমি অসুস্থ। এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. ইলিয়াছ খান বলেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের এক নেতার অবস্থান জেনে পুলিশ অভিযানে যায়। তাকে পাওয়ার পর নিয়ে আসছে দেখে স্থানীয় নারী-পুরুষ মিলে বিপুল মানুষের উপস্থিতি বাড়লে সংখ্যায় কম হওয়ায় পুলিশ আর ব্যারিকেড না দিয়ে ফিরে এসেছে।