ধর্ষণ ও বাসে নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ
Published: 23rd, February 2025 GMT
দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা এবং ডাকাতিসহ বাসে নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এসব ঘটনায় জড়িতদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
রোববার মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, হত্যার মতো নৃশংস সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ ধরনের ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার চিত্র দেশে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, স্বাভাবিক জীবনযাপন এবং তাঁদের অগ্রযাত্রার পথে প্রতিবন্ধকতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এসব ঘটনায় জড়িতদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানায় মহিলা পরিষদ। নারী এবং কন্যার প্রতি সহিংসতার ঘটনায় দেশের নারীদের অবস্থান ও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে আশু কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায় সংগঠনটি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাভারে স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান, আটক ৩
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড’–এর পতাকা হাতে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর স্মৃতিসৌধের বেদির সামনে থেকে তাঁরা ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব, লও লও লও সালাম’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’সহ নানা স্লোগান দিয়ে ফটকের দিকে আসেন।
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা-পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের মহাসচিব সেলিম রেজা (৪৭), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম (৫০) ও আশুলিয়ার গাজীরচট শের আলী এলাকার সোহেল পারভেজ (৪১)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের পতাকা হাতে স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁরা স্মৃতিসৌধ থেকে বের হওয়ার সময় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’সহ নানা স্লোগান দেন। পরে স্মৃতিসৌধে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এলে তাঁরা বিভিন্ন দিকে দৌড় দেন। কয়েকজন মূল ফটকের দিকে গেলে জনতার সঙ্গে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে একজনকে পিটুনি দেন জনতা। মারধরের সময় উপস্থিত সংবাদকর্মীসহ বেশ কয়েকজন তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। পরে তিনজনকে আটক করে আশুলিয়া থানা-পুলিশ।
স্লোগান দেওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে সংগঠনটির কয়েকজন স্লোগান দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাঁরা বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি, আমরা স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি।’ পরিচয় জানতে চাইলে তাঁদের একজন বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এটা আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়।’ পরে জানান, তাঁর নাম আমিন মুসল্লি। তিনি বরগুনা সদর থেকে এসেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বলেন, স্মৃতিসৌধ চত্বর থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছিলেন।