Samakal:
2025-03-31@13:17:43 GMT

বুয়েট ব্ল্যাক পার্লের বিশ্বজয়

Published: 23rd, February 2025 GMT

বুয়েট ব্ল্যাক পার্লের বিশ্বজয়

পরিবেশবান্ধব, টেকসই, নিরাপদ, অত্যাধুনিক ফেরি ‘নাইজা স্পিরিট’-এর ডিজাইন করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের টিম ‘টিম ব্ল্যাক পার্ল’। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফেরি সেফটি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউএফএসএ) বিশ্বজুড়ে ফেরি দুর্ঘটনা কমানোর লক্ষ্যে নিরাপদ ফেরি ডিজাইন ও পরিচালনার কাজ করে আসছে। কয়েক বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠান নিরাপদ ফেরি ডিজাইন ছাড়াও পরিবেশদূষণ কমানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে; কেননা মোট পরিবেশদূষণের ২০ শতাংশ আসে নৌ-সেক্টর থেকে। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উদ্দেশ করে ফেরি দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, নিরাপদ ফেরি ডিজাইনের পাশাপাশি পরিবেশদূষণ কমানোর লক্ষ্যেই এ সংস্থা প্রতি বছর একটি আন্তর্জাতিক ফেরি ডিজাইন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। 
গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ প্রতিযোগিতার দ্বাদশ আসর। সে আসরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড.

জোবায়ের ইবনে আওয়ালের তত্ত্বাবধানে নৌপরিবহনে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও নিরাপদ একটি নকশা উপহার দেন বুয়েটের সাত দামাল প্রকৌশলী। রাইনোসার্স থ্রিডিতে নাইজার স্পিরিট নামে এ ফেরির নকশাটি মাত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডব্লিউএফএসএর দ্বাদশ মঞ্চ। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর নকশা জমা দিলেও ফলাফল আসে ৯ ফেব্রুয়ারি। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে শিপবিল্ডিং ইনস্টিটিউট অব পলিটেকনিক সুরাবায়া, ইন্দোনেশিয়া এবং যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে আইটিএস ইন্দোনেশিয়া এবং ইউনিভার্সিটি অব ইন্দোনেশিয়া, জাকার্তা।
চ্যাম্পিয়ন বুয়েটের ‘টিম ব্ল্যাক পার্ল’র সদস্যরা হলেন– মো. সাফায়েত হোসেন শিশির (দলনেতা), মো. আব্দুল কাদের, আবু রাসেল, মাহমুদুল হাসান শাহেদ, আফিফ বিন হাবিব অমি, মো. আতিকুর রহমান ও মো. কাউসার মাহমুদ জিদান। এর আগের ১১তম, দশম এবং নবম আসরেও টিম ব্ল্যাক পার্ল যথাক্রমে দ্বিতীয়, অনারেবল মেনশন এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল। ফলে ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ হিসেবে এবার প্রথম স্থান অর্জন করে বুয়েট টিম। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করায় বুয়েটের টিম ব্ল্যাক পার্ল পাঁচ হাজার ডলার পুরস্কার পেয়েছে। টিম ব্ল্যাক পার্লে সদস্য আবু রাসেল বলেন, প্রতিযোগিতায় ফেরির রুট, যাত্রী সংখ্যা ও ধরন নির্দিষ্ট করা থাকে। এবারের আসরে রুট ছিল নাইজেরিয়ার লাগোস শহরের অভ্যন্তরীণ জলপথ ইকোরোভু টার্মিনাল থেকে সিএমএস। লাগোস নাইজেরিয়ার একটি অধিক জনবহুল শহর। অত্যধিক জনবহুল হওয়ায় তাদের পরিবহন ব্যবস্থায় প্রতিনিয়ত ব্যাঘাত ঘটে। তিনি বলেন, লাগোস শহরের বাসিন্দাদের এ সমস্যা দূর করতে লাগোস শহরের ইকোরোভু থেকে সিএমএস ২৫ কিলোমিটার জলপথের জন্যে ফেরি ডিজাইন করাই ছিল মূল বিষয়বস্তু, যা একই সঙ্গে ২০০ জন যাত্রী পরিবহনে সক্ষম এবং বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। দলের আরেক সদস্য আফিফ বিন হাবিব অমি বলেন, আমাদের ডিজাইন করা সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত নাইজা স্পিরিট ফেরিটি নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। পাশাপাশি হালকা ও দৃঢ় কাঠামোর জন্য ফেরির কাঠামোটিতে অ্যালুমিনিয়াম দেওয়া হয়েছে। ২৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ মিটার প্রস্থের দ্বিতল ক্যাটাম্যারান ফেরিতে প্রোপালশন সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে রিচার্জেবল ব্যাটারি। v

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড জ ইন ন র পদ

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় ঈদের দিনে যুবককে গুলি করে হত্যা

ফতুল্লায় মাদকের টাকার লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে মো. পাভেল নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

এরআগে রোববার  চাঁদরাতে পাভেল ও পাশের বাড়ির সকালে রায়হান বাবু ওরফে ‘কবুতর বাবুর’ মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এ ঘটনায় ঈদের দিন সকালে ‘কবুতর বাবু’ পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। নিহত পাভেল (৩৭) ফতুল্লা থানার কাশিপুর মধ্যপাড়া এলাকার হাসমত উল্লাহর ছেলে।
 
নিহত পাভেলের বড় ভাই মাসুম জানান, ঈদের দিন সকালে ‘কবুতর বাবু’ পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় পাভেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।

সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, ভোর ৪টার ঘটনা। তখন পাভেল নামে ওই যুবক রাস্তায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়েছিল।

পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি মারা যান।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি অভিযুক্ত রায়হান বাবু এলাকায় মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসা করতেন। পাভেল তার পূর্ব পরিচিত। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক এবং যাওয়া আসা ছিল। 

ধারণা করা হচ্ছে, মাদক কেনাবেচার টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় মামলা হবে এবং আমরা তদন্তসহ অভিযুক্ত রায়হান বাবুকে আটকের চেষ্টা করছি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ