পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা সবার রয়েছে।  আমাদের দেশ থেকেও অনেক শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থী পড়াশোনা করার জন্য আসে। কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ সুবিধা ও শিক্ষার মান পৃথিবীর অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। আমেরিকার প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ মিলতে পারে যে কারও। ২০২৫ সালে এ বৃত্তির আওতায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএতে পড়তে পারবেন যে কেউ। বৃত্তির নাম বোস্তানি ফাউন্ডেশন বৃত্তি । বিশ্বের অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও। ২০২৫ সালে শরৎ (অটাম) সেশনের জন্য এ বৃত্তি দেওয়া হবে। অনেক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে আছেন ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট, হেনরি কিসিঞ্জার, বারাক ওবামা, বিল গেটস, জন এফ কেনেডি, টি এস ইলিয়ট, মার্ক জাকারবার্গসহ আরও অনেক নাম। বিশ্ববিদ্যালয়টি অনেক ক্ষেত্রে ইতিহাসের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হার্ভার্ডের এমবিএ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষার ব্যবসায়িক প্রোগ্রাম। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল প্রতি দুই বছরে একবার বোস্তানি এমবিএ হার্ভার্ড বৃত্তি দিয়ে থাকে। এ বৃত্তি দুই বছরের কোর্সের জন্য।
আবেদনের যোগ্যতা
বাংলাদেশসহ নানা দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বোস্তানি ফাউন্ডেশনের এমবিএ বৃত্তির আবেদন উন্মুক্ত। তবে এ জন্য কিছু শর্ত আছে। যেমন: আবেদনকারী প্রার্থীকে একাডেমিক পড়াশোনায় ভালো হতে হবে। যে কেউ এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। হার্ভার্ড এমবিএ প্রোগ্রাম থেকে ভর্তির অফার পাওয়ার পরে প্রার্থীরা স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বৃত্তির সুযোগ-সুবিধা
* ৭৫ শতাংশ টিউশন ফি প্রদান করবে;
* ভ্রমণ খরচ প্রদান করবে;
* বোস্তানি ফাউন্ডেশন কর্তৃক দুই মসের ইন্টার্নশিপ সুবিধা আছে;
আবেদন পদ্ধতি কীভাবে—
হার্ভার্ডের বোস্তানি ফাউন্ডেশনের এমবিএ বৃত্তির আবেদন করতে আগ্রহী প্রার্থীদের একটি সিভি ছবিসহ পাঠাতে হবে। এ ছাড়া জিএমএটি স্কোর এবং যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্বীকৃতিপত্রের চিঠি admissions@boustany-foundation.

org-তে পাঠাতে হবে। সব সিভি বাছাই করে তালিকা করা হবে। সংক্ষিপ্ত তালিকায় মনোনীত প্রার্থীকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সাক্ষাৎকারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে।
আবেদনের শেষ সময়
এ বছরের ৩১ মে পর্যন্ত আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সুইজারল্যান্ড ও মোনাকোভিত্তিক বোস্তানি ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয় ২০০৬ সালে। নাবিল বোস্তানি ও তাঁর ছেলে ফাদির হাত ধরে এ ফাউন্ডেশনের পথচলা শুরু। এর আগে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১৯৯৭ সাল থেকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি দেওয়া হচ্ছিল। এরপর ২০০৬ সালে ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে বোস্তানি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। v
আবেদনের বিস্তারিত জানা যাবে–
https://boustany-foundation.org/ scholarship-programmes/mba-harvard/

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র এমব এ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ

২০২৫ সালের শুরু থেকে কানাডা সরকারের এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে ফ্রেঞ্চভাষী আবেদনকারীদের প্রতি অগ্রাধিকার বাড়ানো হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৫ হাজার ৫৮৮ জন আবেদনকারীকে ITA (Invitation to Apply) প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ আবেদনকারীদের জন্য তিনটি পৃথক ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ১৮ হাজার ৫০০ জন আবেদনকারী আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

এতে এটা স্পষ্ট হয় যে কানাডা বর্তমানে দ্বিভাষিক (ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ) সমাজকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ ব্যক্তিদের স্থায়ী বসবাসের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।

কেন এই অগ্রাধিকার ফ্রেঞ্চ ভাষাভাষীদের জন্য?

কানাডা একটি দ্বিভাষিক দেশ। ইংরেজির পাশাপাশি ফ্রেঞ্চও সরকারি ভাষা। বিশেষ করে কুইবেক প্রদেশসহ পূর্বাঞ্চলের অনেক এলাকায় ফ্রেঞ্চ হলো প্রথম ভাষা। স্থানীয় অর্থনীতি, শিক্ষা ও সামাজিক খাতে ফ্রেঞ্চভাষীদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ কারণে কানাডা সরকার চায় যেন অভিবাসীরা শুধু ইংরেজিভাষী না হয়ে ফ্রেঞ্চ ভাষায়ও দক্ষ হন।

ভাষা জানলে বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুযোগ

বাংলাদেশে শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীদের জন্য এখনই সুবর্ণ সুযোগ—ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের রাস্তা সহজ করে নেওয়া। তুলনামূলক কম CRS (Comprehensive Ranking System) স্কোরে কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষরা।

আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে কোথায় শেখা যায় ফ্রেঞ্চ ভাষা?

ফ্রেঞ্চ শেখার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

1. Alliance Française de Dhaka

অবস্থান: ধানমন্ডি ও গুলশান

ওয়েবসাইট: www.afdhaka.org

ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখানোর জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।

2. Institute of Modern Languages (IML), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এখানে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ফ্রেঞ্চ কোর্স রয়েছে।

3. Online Platforms:

Duolingo (বিনা মূল্যে)

Babbel, Coursera, Udemy (সার্টিফিকেটসহ কোর্স)

ফ্রেঞ্চ শেখা কতটা কঠিন সময়সাপেক্ষ?

বাংলাদেশিদের জন্য এই ভাষা শেখা হয়তো একটু কঠিন হতে পারে। সাধারণভাবে, একজন শিক্ষার্থী যদি প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা সময় দেন, তাহলে ৬ মাসের মধ্যে একটি ভালো বেসিক লেভেল অর্জন করা সম্ভব। উচ্চতর দক্ষতা অর্জনে সময় লাগতে পারে ১ থেকে দেড় বছর, তবে এর বিনিময়ে কানাডার মতো দেশের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ এক অনন্য প্রাপ্তি।

শেষ কথা

বর্তমান বিশ্বে শুধু ডিগ্রিই নয়, ভাষাদক্ষতাও হয়ে উঠেছে অভিবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কানাডার মতো দেশে ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা সহজেই গড়তে পারেন তাঁদের ভবিষ্যৎ। শুধু দরকার একটু আগ্রহ, নিয়মিত চর্চা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা।

আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৮ এপ্রিল ২০২৫)
  • জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘এআই অলিম্পিয়াড ২০২৫’
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার পরীক্ষার ফল প্রকাশ
  • বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে মাস্টার্সের সুযোগ
  • চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ৩৯
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৭ এপ্রিল ২০২৫)
  • যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে শিক্ষার্থীরা কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করছেন, কারণ কী
  • পুলিশ স্টাফ কলেজে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স
  • প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ৫.৪%
  • কানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ