Samakal:
2025-04-17@16:54:15 GMT

ফার্মাসি পড়ে ক্যারিয়ার

Published: 23rd, February 2025 GMT

ফার্মাসি পড়ে ক্যারিয়ার

ফার্মাসি একটি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল সাবজেক্ট এবং স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা। সহজভাবে এটি হলো ওষুধবিজ্ঞান। ওষুধ বানানো, এর মান নির্ধারণ, ব্যবহার, বিতরণ, পরিবেশন– এসবই এর আলোচ্য বিষয়। 
ফার্মাসিতে পড়ার সুযোগ রয়েছে যেখানে:
ফার্মাসি প্রোগ্রামে পড়তে চাইলে এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি বিষয়ে স্নাতকে ভর্তি হতে ‘ক’ ইউনিট কিংবা জীববিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি পড়ানো হয়। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়,আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি বিষয়ে পড়ানো হয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল কর্তৃক রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্টরাই ‘এ’ গ্রেড ফার্মাসিস্ট যারা ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে ওষুধের ফর্মুলেশন, উৎপাদন, মানোন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও নিশ্চিতকরণ, স্থিতিশীলতা, গবেষণাসহ ফার্মাসি সংশ্লিষ্ট পণ্য নিয়ে কাজ করে থাকেন। 
যেসব বিষয় পড়ানো হয়: 
ফার্মাসি একটি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট (একসঙ্গে অনেক বিষয়ের সমন্বয়)। ফার্মাসিতে যা পড়ানো হয় তার মধ্যে রয়েছে– রসায়ন (inorganic/organic/physical/ Analytical/Medicinal chemistry), মানবদেহ (Physiology/Anatomy), ওষুধবিদ্যা (Pharmacognosy /Pharmacology / Pharmaceutical technology / Quality control / Pharmaceutical Engineering /Biopharmaceutics), লাইফ সায়েন্সের অন্যান্য বিষয়(Microbiology / Biochemistry / Biotechnology) Hospital pharmacy / Clinical pharmacy, Pathology, Drug and disease management, Statistics) সহ আরও কিছু বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট বলে। এ ছাড়া দেশে ও দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পিএইচডিসহ অন্যান্য ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। 
ফার্মাসিস্টদের চাকরির ক্ষেত্র:
একজন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নতুন ওষুধ আবিষ্কার থেকে শুরু করে রোগী কর্তৃক ব্যবহার পর্যন্ত যে কোনো প্রকার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেন। 
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাদের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও মার্কেটিং সেক্টরে সুযোগ বেশি। এখানে প্রায় দুই শতাধিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব কোম্পানিতে প্রডাকশন, প্রডাক্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ম্যানুফ্যাকচারিং বা সেলস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ট্রেনিংসহ বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে থাকেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিস্টরা। এর বাইরে সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, আর্মড ফোর্সেস, সরকারি হাসপাতাল, ঔষধ প্রশাসনসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন উচ্চপদে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের চাহিদা রয়েছে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

টিপকাণ্ড: লতা সমাদ্দার, সুবর্ণা মোস্তফাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় টিপকাণ্ডের ঘটনায় তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দার, তার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় মালা এবং শোবিজের ১৬ তারকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হকের আদালতে চাকরিচ্যুত সেই কনস্টেবল নাজমুল তারেক মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শেরেবাংলা নগর থানাকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলেন নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী তৌহিদ খান এ তথ্য জানান।

মামলায় আরো যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সুবর্ণা মোস্তফা, নাট্য অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন, সাজু খাদেম, প্রাণ রায়, সায়মন সাদিক, মনোজ প্রামাণিক, স্বাধীন খসরু, চয়নিকা চৌধুরী, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, দেবী সান, নাজনীন নাহার চুমকি, সুষমা সরকার, কুসুম সিকদার। এছাড়া শোবিজের আরো বেশ-কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার

জামালপুরে মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২২ সালে টিপ পরা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের সময় এসব তারকারা ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশের মানহানি ঘটিয়েছেন। তারা সামাজিক মাধ্যমে ছবি ও বক্তব্য দিয়ে নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন, যার ফলে তার পেশাগত ও সামাজিক জীবনে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।

জানা যায়, ২০২২ সালের ২ এপ্রিল রাজধানীর ফার্মগেটে একটি বাইক লতা সমাদ্দারের পায়ে লাগার জেরে পুলিশের পোশাক পরা ব্যক্তি তাকে ‘টিপ পরছোস কেন’ বলে কটূক্তি করেন-এমন অভিযোগ তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেন তিনি। এরপর বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়। শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা লতার পক্ষ নিয়ে টিপ পরা ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদে অংশ নেন।

ঘটনার জেরে নাজমুল তারেক চাকরি হারান। পরে তিনি আইনি লড়াইয়ে যান এবং চাকরি ফেরতের আবেদনও করেন। বর্তমানে সেই মামলা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।পাশাপাশি পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছেও চাকরি পুনর্বহালের আবেদন করেছেন তিনি।

ঢাকা/এম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ