দ্বিতীয় কিস্তির টাকা মেলেনি বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি
Published: 23rd, February 2025 GMT
শুরুতে দেরি হলেও পরে সঠিক গতিতেই চলেছে তাহিরপুর অঞ্চলের ফসল রক্ষা বাঁধের সংস্কার। এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এসব প্রকল্পের ৮১ ভাগ কাজ। এখনও দ্বিতীয় কিস্তি না পেয়ে হতাশ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) কৃষকরা। সে কষ্টের খানিকটা ধুয়ে গেছে এক পশলা বৃষ্টিতে।
বাঁধের নতুন মাটি ও ঘাসে প্রচুর পানি দিতে হয় কাজ শেষে। এতে প্রচুর টাকা এবং শ্রম ব্যয় করতে হয়। তাই এ সময় বোরো চাষিদের মতো প্রকল্প সংশ্লিষ্টরাও বৃষ্টি চান। শনিবার সদর মসজিদে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজের ঘোষণাও দেওয়া হয়। তার আগেই রোববার দুপুরে বৃষ্টি ঝরিয়ে বাঁধের নতুন মাটি আর ঘাসে পানি ছিটাল প্রকৃতি নিজেই।
পিআইসির সদস্যরা জানান, অনেক বছর পর কোনো চাপ ছাড়া কাজ হয়েছে। কমিটিগুলোতে স্থানীয় কৃষকদের সংখ্যাই বেশি। তাই বরাদ্দের টাকাতেই অধিকাংশ বাঁধের কাজ হয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা এখনও না পাওয়ায় হতাশ তারা। তবে বাঁধের ঘাসে পানি ছিটানোর কাজে স্বস্তি পেয়েছেন বৃষ্টির কারণে। এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, নয়া বাঁধে বৃষ্টির ছটা সৌভাগ্যের লক্ষণ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পিআইসিগুলো উপজেলার বিভিন্ন হাওরে রক্ষা বাঁধের কাজ ৮১ ভাগ সম্পন্ন করেছে। তবে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা এখনও পরিশোধ করেনি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবরা। নির্ধারিত সময়ের পরও কাজের বিল না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন তাদের কেউ কেউ।
সুনামগঞ্জ পাউবো জানায়, তাহিরপুরের ৭৪টি প্রকল্পে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ প্রায় শেষ। এ কাজের প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। কাজ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত পিআইসিগুলোকে দেওয়া হয়েছে মোট টাকার ২৩ ভাগ।
প্রকল্প সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, দ্বিতীয় কিস্তির টাকা তারা পাননি। ধার করে ও সুদে টাকা এনে প্রকল্পের কাজ শেষ করেছেন।
শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ জানান, যাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি, তারা দুর্ভোগে আছেন মাটি সংকটের কারণে। এ পর্যন্ত পিআইসিগুলো ৮১ ভাগ কাজ সম্পন্ন করার বিপরীতে বিল পেয়েছে মূল টাকার ২৩ ভাগ।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, ফসল রক্ষা বাঁধের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আগামী দু-একদিনের মধ্যেই পরিশোধ করা হবে। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান, দ্বিতীয় কিস্তির টাকার চেক প্রস্তুত হচ্ছে। দ্রুতই পিআইসিগুলো তাদের নির্ধারিত টাকা পেয়ে যাবেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৭, আহত ২৯
ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের ওপর বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ রবিবার (১৩) রাতের হামলায় ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২৯ জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সানার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, রবিবার রাতে রাজধানীর কাছে একটি সিরামিক কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এতে ৭ জন নিহত এবং আরো অন্তত ২৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশু এবং একজন নারী রয়েছেন। নিহতরা কারখানার শ্রমিক এবং এর পাশের বাড়ির বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
ইউক্রেনে সুমি শহরে রাশিয়ার হামলায় নিহত ৩৪, ‘ভয়াবহ ঘটনা’ বললেন ট্রাম্প
মার্কিন দূতাবাসের কড়া বার্তা
যে কারণে কখনো যুক্তরাষ্ট্র যেতে পারবেন না
এদিকে হুতিদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, হাজ্জাহ গভর্নরেটের আকাশসীমায় একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
হুতিদের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, হাজ্জাহ গভর্নরেটের আকাশসীমায় এমকিউ-৯ মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী গত ১৫ মার্চ থেকে হুতিদের ওপর বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছে। লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে হুতিদের আক্রমণ বন্ধ করার লক্ষ্যে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে এই অভিযান বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে হুতি গোষ্ঠী বলেছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা লোহিত সাগরের জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে এবং তাদের বাহিনী হামলার জবাব দেবে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে ইয়েমেনে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে ইরান সমর্থিত হুতিরা। ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চলই এখন তাদের দখলে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হলে এর প্রতিবাদে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে তারা ১০০ এর বেশি হামলা চালিয়েছে।
এরপর হুতিদের থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে হামলা শুরু হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। তাই নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে আবারো হুতিদের ওপর হামলা জোরদার করার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ফিরোজ