রাজধানীর ভাটারা এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহরিয়ার কবির (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিফাত আল আফসানি বলেন, ভুক্তভোগী নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারীর দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর নির্যাতনের শিকার। প্রতিকারের জন্য অনেক জায়গায় গিয়েছেন। সেই সূত্রে শাহরিয়ার কবিরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ভুক্তভোগী ওই নারী স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে শাহরিয়ার তাঁকে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাটারায় নিজের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং ঘটনা প্রকাশ না করার ভয় দেখিয়ে বের করে দেন। পরে তিনি বাড়িতে এসে সবার সঙ্গে কথা বলে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল শনিবার এ ঘটনায় মামলা করেন।

ঢাকা মেডিকেলের ওসিসির সমন্বয়ক চিকিৎসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী আজ রোববার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগামীকাল সোমবার তাঁর ফরেনসিক পরীক্ষার প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আ. লীগের বিচার শুরুর আগে কোনো নির্বাচন হবে না: নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী

আওয়ামী লীগের বিচার শুরুর আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকারের প্রথম কাজ আওয়ামী লীগের বিচার করা। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের বিচার প্রশ্নে নীরবতা দেখালে, জনগণ রাজপথে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে।

গতকাল রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত ‘জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদন : জুলাই হত্যাকাণ্ডের ব্যবচ্ছেদ, দায় ও বিচার’ শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন নাসিরুদ্দীন।

সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ওনাদের চামড়া গন্ডারের মতো। ওনাদের ছয় মাস আগে কিছু বলা হলে, তা দেখা যায় ছয় মাস পর। চামড়াগুলো একটু পাতলা করুন। উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে অনেক বড় বড় কথা বলতেন। কিন্তু যখনই তিনি চেয়ারে বসে গেছেন, গদি অনেক মোটা হয়ে গেছে। জনতা আপনাদের যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালনে বাধ্য। এখানে অবাধ্য হওয়ার সুযোগ নেই।’

নাসিরুদ্দীন বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমঝোতা করে পরবর্তী সরকারে আসার পথ উপদেষ্টারা পরিষ্কার করবেন, এমন সুযোগ আর দেওয়া হবে না। কারণ, আপনারা যে চেয়ারে বসেছেন, সেটি শহীদদের রক্ত মাড়িয়ে বসেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলি না বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিচার শুরু এবং কিছু প্রক্রিয়া শুরুর আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হবে না। কারণ, আওয়ামী লীগ ও খুনি হাসিনার বিষয় সুরাহা ছাড়া নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিলে, তা সুষ্ঠু হবে না।’

নাগরিক কমিটির নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার সেলের সম্পাদক শফিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সদস্য অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা, অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর প্রমুখ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া।

সম্পর্কিত নিবন্ধ